ফাইনালে এ বার নাদাল-জকোভিচের যুদ্ধ।
ফরাসি ওপেনের শুরু থেকে বলে আসছিলাম জকোভিচই সেরা। কিন্তু শুক্রবার মারের বিরুদ্ধে নাদালের পারফরম্যান্স বুঝিয়ে দিল, এই মুহূর্তে ওকে ছাড়া আর কাউকে এগিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
হ্যাঁ, রবিবার রোলাঁ গারোয় ফাইনালে নাদালই এগিয়ে। শুক্রবার মারেকে যে ভাবে ধূলিসাৎ করে দিল এই স্প্যানিয়ার্ড, তার পর ওর উপর বাজি না ধরার ঝুঁকি আর ক’জন নেবে? আমি অন্তত নিতে পারছি না। অনেকে হয়তো বলবেন, শেষ তিনবারের লড়াইয়ে তো নাদালই জকোভিচের কাছে হেরেছে। কিন্তু শুক্রবার জকোভিচও বুঝে নিল, লাল মাটির কোর্টে এই মুহূর্তে কে অপ্রতিরোধ্য।
এমনিতেই ক্লে কোর্ট নাদালের প্রিয়। টানা পাঁচ বার ফরাসি ওপেন জয়ের নজিরের সামনে ও। জকোভিচ কিন্তু এই কোর্টে অতটা স্বচ্ছন্দ বোধ করে না। শুক্রবারের প্রথম সেমিফাইনালে সেটাই বোঝা গেল। চার সেটে ওকে জিততে হল ম্যাচটা। তাও আমি বলব, চতুর্থ সেটটা ভাগ্যের জোরে জিতেছে। কোর্টে ওর নড়াচড়া দেখেও পুরো ফিট মনে হচ্ছে না। কেমন যেন ‘আন্ডারকুকড্’ লাগছে ওকে। তার উপর নাদালের এই বিধ্বংসী পারফরম্যান্স। কোয়ার্টার ফাইনালে যে ভাবে ও ডেভিড ফেরারকে শেষ দুটো সেটে ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং সেমিফাইনালে পুরো ম্যাচেই যে ভাবে রাশ নিজের হাতে রাখল, তার পর ট্রফিটা ওর ছাড়া আর কারও হাতে দেখছি না।
নাদাল কখনও ক্লান্ত হয় না। এটা ওর শত্রুরা সবাই জানে। জকোভিচ তাই ফাইনালে বেশি র্যালিতে যাওয়ার চেষ্টা করবে না। নাদালের সেই ভয় নেই। ও চাইলে চার-পাঁচ ঘণ্টা কেন, দশ ঘণ্টাও লড়ে যেতে পারে। তবে জকোভিচের ব্যাকহ্যান্ড নাদালের পক্ষে সামলানো মাঝে মাঝে বেশ সমস্যার হয়। এ ছাড়া নাদালকে বধ করার কোনও অব্যর্থ অস্ত্র নেই জকোভিচের হাতে। তবে আমার ধারণা, নাদাল বিপক্ষকে বেশি র্যালি খেলতে বাধ্য করবে। এতেই সমস্যায় পড়ে যেতে পারে জকোভিচ।
এই সব ম্যাচে অবশ্য টেকনিক, স্ট্র্যাটেজির চেয়ে মনস্তাত্বিক দিকটা প্রধান হয়ে দাঁড়ায়। সে দিক থেকেও নাদালকেও এগিয়ে রাখব। ৫৫-৪৫-এ এগিয়ে থাকবে স্প্যানিশ তারকা। কারণ, সেই পুরনো, চেনা নাদালকে ফিরে আসতে দেখা যাচ্ছে যে। আর এটা ও নিজেও বুঝতে পারছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy