রাতের আকাশে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে কবে? — প্রতীকী ছবি।
আগামী ৫ মে বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে রাতের আকাশে। সূর্যের আলো তির্যক ভাবে পৃথিবীতে পড়ে যে ছায়ার সৃষ্টি হয় তার একেবারে বাইরের অংশকে বলা হয় পেনুমব্রা। ওই দিন পৃথিবীর সেই সূক্ষ্ম আবছায়া অংশের মধ্যে দিয়ে যাবে চাঁদ। চন্দ্রগ্রহণের সময় রাত ৮টা ৪৪ মিনিট।
জানা যাচ্ছে, এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনাটি আগামী ৫ মের পর আবার দেখতে অপেক্ষা করতে হবে প্রায় দু’দশক। ২০৪২ সালে আবার এমন ঘটনা আকাশে দেখা যাবে। অর্থাৎ, আগামী ৫ মে-র গ্রহণ দেখতে না পারলে তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৯ বছর।
৫ মে-র চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে রাতের আকাশে। অর্থাৎ, গ্রহণের সময় বিশ্বের যে অর্ধে রাত, সেখানে বিরল চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে। তবে শর্ত একটাই, আকাশ পরিষ্কার থাকতে হবে। না হলে মেঘের ছায়ায় হতাশ হতে হবে উৎসাহীদের। এই বিশেষ গ্রহণটিকে পরিভাষায় পেনুব্রাল গ্রহণও বলা হয়ে থাকে। কারণ, পৃথিবীর একেবারে বাইরের ছায়াকে বলা হয় পেনুমব্রা। পৃথিবীর সেই আবছা ছায়া অতিক্রম করবে চাঁদ। সূক্ষ্ম আবছায়ার কারণে এই ধরনের চন্দ্রগ্রহণ দেখা বেশ কঠিন।
সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় চাঁদ। সূর্যের আলো চাঁদের উপর পড়ে প্রতিফলিত হলে চাঁদকে আলোকিত দেখায়। মহাজাগতিক নিয়মে সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এক সরলরেখায় চলে এলে, পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। তখন হয় চন্দ্রগ্রহণ। একই সরলরেখায় অবস্থান করলেও সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদের অবস্থানের উপর নির্ভর করে পূর্ণগ্রাস বা আংশিক (খণ্ড) গ্রাস, চন্দ্রগ্রহণ হয়।
সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরলরেখায় না অবস্থান করার কারণে পৃথিবী সূর্যের আলোর কিছু অংশ চাঁদে পৌঁছনো থেকে আটকে দেয় এবং চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে ঢুকে যায়। বস্তুত, চন্দ্রগ্রহণের উপযোগী পরিবেশ নির্ভর করে মূলত দু’টি বিষয়ের উপর। প্রথমত, পূর্ণচন্দ্র বা পূর্ণিমার সময় হতে হবে এবং দ্বিতীয়ত, সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদকে মোটামুটি ভাবে সরলরেখায় অবস্থান করতে হবে। আগামী ৫ মে, মহাকাশে তেমনই ঘটনা ঘটতে চলেছে। যা আবার দেখা যাবে ১৯ বছর পর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy