-ফাইল ছবি।
সফ্ট ড্রিঙ্কস, প্যাকেটে ভরা নানা ধরনের স্ন্যাক্স, চিকেন নাগেটসই কি বিপদের কারণ হয়ে উঠছে? আমাদের ক্রোধোন্মত্ত করে তুলছে? অকারণে অসংযমী আচার, আচরণে অভ্যস্ত করে তুলছে?
সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এ বার এই প্রশ্ন উঠে এল। গবেষণা জানাল, সস্তায়, চটজলদি পাওয়া যায়, খিদে মেটানো যায় বলে যে ধরনের খাবারে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি উত্তরোত্তর সেগুলিই আমাদের মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। কোনও কোনও হরমোনের ক্ষরণের মাত্রাকে অস্বাভাবিক করে তুলছে।
আচার আচরণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা তারই অনিবার্য পরিণতি। ফলে, আমাদের হঠাৎ হঠাৎ রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে যাওয়া, রেগে ঘরের সবকিছু ভাঙচুর করা, রাস্তায় অন্যের সঙ্গে অভব্য আচার আচরণ করা, অন্যকে গালিগালাজ করার ঘটনা বাড়ছে।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব নিউট্রিশন’-এ।
গবেষণাটি জানিয়েছে, গত কয়েক দশকে আমাদের রোজকার খাদ্যাভ্যাসে খুব বড়সড় রদবদল ঘটে গিয়েছে। আমরা প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের মতো ‘ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট’ (যে সব পুষ্টিকর খাবারের অণুগুলি আকারে বড়)-গুলির চেয়ে ‘মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট’ (যে সব পুষ্টিকর খাবারের অণুগুলি আকারে ছোট) বেশি পরিমাণে খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। যে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট-গুলি মূলত থাকে সফ্ট ড্রিঙ্ক্স, প্যাকেটে ভরা নানা ধরনের স্ন্যাক্স, ওট্সের মতো প্রাতঃরাশে প্রয়োজনীয় সুমিষ্ট কিছু খাবারদাবার, চিকেন নাগেট্সের মতো কয়েকটি খাবারে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, মানবদেহে বিভিন্ন বিপাকক্রিয়ার ফলে যে উপজাতগুলি (বাইপ্রোডাক্টস) তৈরি হয় তাদের বেশির ভাগই অবাঞ্ছিত। সেগুলিকে দ্রুত ভেঙে ফেলা বা শরীর থেকে সরিয়ে দিতে না পারলে শরীরের ক্ষতি হয়। এই কাজগুলিই করে মানবমস্তিষ্কে থাকা সেরোটোনিন ও ডোপামাইন। এগুলি মস্তিষ্কে তৈরি হওয়ার জন্য অন্তত ৩০টি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের খুব প্রয়োজন। কিন্তু সেই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টগুলি শরীরে পরিমাণে নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে অনেক বেড়ে গেলে আবার হিতে বিপরীত হয়।
তখন মস্তিষ্কে এত বেশি পরিমাণে সেরোটোনিন ও ডোপামাইন তৈরি হয় আর সেগুলি এতটা জমে যায় যে তাতে ব্যাঘাত ঘটে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজকর্মের। তার পরিণতিতে কয়েকটি হরমোনের ক্ষরণের মাত্রা বেড়ে যায় অস্বাভাবিক ভাবে।
আর তখনই আমরা মেজাজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy