হেগ-এর পোস্ট অফিসের সেই বাক্স যার মধ্যে পাওয়া গিয়েছে এমন ৫৭৭টি চিঠি। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
বাক্স না খুলেই একটা ৩০০ বছরের পুরনো চিঠির আদ্যোপান্ত পড়ে ফেললেন বিজ্ঞানীরা। এক্স-রে-র ‘চোখ’ দিয়ে।
৩ শতাব্দী আগে কেউ চিঠিটি বিশেষ ভাবে ভাঁজ করে বাক্সে তালাবন্ধ করে রেখে দিয়েছিল। সেই কয়েক শতাব্দীর পুরনো চিঠির ভাঁজ খোলা তো দূরের কথা, বাক্সটাই না খুলে সেই চিঠির পাঠোদ্ধার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি(এমআইটি)-র বিজ্ঞানী, গবেষকরা। তাঁদের এই অভিনব উদ্ভাবনের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার কমিউনিকেশন্স’-এ। মঙ্গলবার।
গবেষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা সেই চিঠির আদ্যোপান্ত পড়তে পেরেছেন সেটি নানা ভাবে ভাঁজ করে রাখা হয়েছিল বলে। এই সদ্য উদ্ভাবিত পদ্ধতি আগামী দিনে ইতিহাসবিদদের অনেক পুরনো চিঠি ও পাণ্ডুলিপির পাঠোদ্ধার করতে সাহায্য করবে বলে জানানো হয়েছে গবেষণাপত্রে।
এই ভাবে ভাঁজ করে রাখলে যে কোনও চিঠির লিপি অবিকৃত থাকে, তা ১৭ শতক থেকেই জানা ছিল। একে বলা হয় ‘লেটারলকিং’। কিন্তু সেই চিঠির পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হল এত দিনে। এই প্রথম।
যে চিঠির পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, সেটি পাওয়া গিয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ-এর একটি ডাকঘরের ৩ শতকের পুরনো ট্রাঙ্ক থেকে। সেখানে এমন মোট ৫৭৭টি চিঠির হদিশ পেয়েছেন গবেষকরা। যেগুলি ১৬৮০ থেকে ১৭০৬ সালের মধ্যে লেখা।
এক্স রে দিয়ে সেই চিঠির প্রতিটি ভাঁজ স্ক্যান করেন গবেষকরা। তার পর কম্পিউটার অ্যালগরিদমের মাধ্যমে তার পাঠোদ্ধার করেন। চিঠিটি এক তুতো ভাই পাঠিয়েছিলেন তার আর এক তুতো ভাইকে। কিন্তু সেটি ঠিকানায় পৌঁছয়নি। চিঠিতে একটি নির্দিষ্ট দিনে আর এক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে কী কী করতে চান, তা সবিস্তারে জানিয়েছিলেন চিঠির লেখক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy