Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
black hole

ছুটছে ছায়াপথের কেন্দ্রে থাকা দৈত্যাকার ব্ল্যাক হোল, দেখা গেল এই প্রথম

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল’-এ।

-প্রতীকী ছবি।

-প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২১ ২৩:৫৫
Share: Save:

ছায়াপথ বা গ্যালাক্সির কেন্দ্রের কাছাকাছি যার ঘাপটি মেরে বসে থাকার কথা রাশি রাশি খাবারের জন্য, সেই দৈত্যাকার ‘ব্ল্যাক হোল’ বা কৃষ্ণগহ্বরকে এ বার ঝড়ের গতিতে ছুটতে দেখা গেল। ছায়াপথের মধ্যেই। এই প্রথম।

সেই ছায়াপথের নাম ‘জে০৪৩৭+২৪৫৬’। সেটি রয়েছে পৃথিবী থেকে ২২ কোটি ৮০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষকরা দেখেছেন, এই গ্যালাক্সির দৈত্যাকার কৃষ্ণগহ্বরটি ছুটছে দিগ্বিদিকশূন্য হয়ে। সেকেন্ডে প্রায় ৪ হাজার ৮১০ কিলোমিটার গতিবেগে (বা সেকেন্ডে ২ হাজার ৯৯০ মাইল)। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল’-এ।

যে কোনও ছায়াপথই ভরা থাকে হাইড্রোজেন গ্যাসে। সেই গ্যাসের মেঘ থেকেই তারাদের জন্ম হয়। গবেষকরা দেখেছেন, ছায়াপথের দৈত্যাকার কৃষ্ণগহ্বরটি যেমন ঘাপটি মেরে কেন্দ্রের কাছাকাছি বসে না থেকে ছুটছে, তেমনই সরে সরে যাচ্ছে হাইড্রোজেন গ্যাসের মেঘ। তার গতিবেগ আরও বেশি। সেকেন্ডে ৪ হাজার ৯১০ কিলোমিটার।

যেটা আরও অবাক করে দিয়েছে গবেষকদের সেটা হল ছায়াপথের গতিবেগ যা, তার সঙ্গে মিল নেই দৈত্যাকার ব্ল্যাক হোলের গতিবেগের।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধ্যাপক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডোমিনিক পেসকে বলেছেন, ‘‘আমরা আশা করেছিলাম, গতিবেগ সমানই হবে। কিন্তু তা নয়। তাই ধরেই নেওয়া যায় কোনও কারণে অস্থিরমতি হয়ে পড়েছে ছায়াপথের দৈত্যাকার ব্ল্যাক হোলটি।’’

সেই কারণটি কী?

পেসকে জানিয়েছেন, কোনও ছায়াপথের কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকা কোনও দৈত্যাকার ব্ল্যাক হোলকে ছুটতে দেখা যায়নি এর আগে। কেউ এমনটা আশাও করেনি কোনও দিন। কারণ এই কৃষ্ণগহ্বর এতটাই ভারী হয় যে তাদের ছোটা সম্ভব হয় না। এই দৈত্যাকার কৃষ্ণগহ্বরের ভর সূর্যের ভরের ৩০ লক্ষ গুণ। তবু এটা ছুটছে। এর অনেকগুলি কারণ হতে পারে। হয়তো এই ছায়াপথের সঙ্গে আর একটা ছায়াপথের ধাক্কা লেগেছে। তাই অস্থিরমতি হয়ে পড়েছে কৃষ্ণগহ্বরটি। অথবা এই দৈত্যাকার কৃষ্ণগহ্বরটির সঙ্গে অন্য ছায়াপথের কোনও দৈত্যাকার কৃষ্ণগহ্বরের ধাক্কা লেগেছে। আবার এ-ও হতে পারে এই দৈত্যাকার কৃষ্ণগহ্বরটির কোনও দোসর রয়েছে। তারই সঙ্গে গুঁতোগুঁতি চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

black hole Supermassive Black Hole
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy