—ফাইল চিত্র।
চাঁদে মহাকাশচারীদের থাকার জন্য শক্তির উৎস তৈরি করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মাধ্যমেই চাঁদের তাপমাত্রা সহ্য করে সেখানে থেকে গবেষণা করা যাবে বলে দাবি। ব্রিটেনের এক দল বিজ্ঞানী চাঁদে শক্তির উৎস হিসাবে সর্ষেদানার মতো দেখতে নিউক্লিয়ার জ্বালানি কোষ তৈরি করেছেন। তার নাম দেওয়া হয়েছে ট্রাইসোফুয়েল। মহাকাশচারীদের থাকার রসদ জোগাবে সেই কোষই।
১৯৭২ সালে নাসার অ্যাপোলো ১৭ মিশনে চাঁদে শেষ বার মানুষের পা পড়েছিল। তার পর আর কখনও পৃথিবী থেকে কোনও মহাকাশচারী চাঁদে যাননি। তবে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থাই চাঁদে মানুষ পাঠাতে নতুন করে উদ্যোগী হয়েছে। আর্টেমিস মিশনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে আউটপোস্ট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে নাসা। ভবিষ্যতে চাঁদকে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন একটি স্টেশনে পরিণত করা হতে পারে। যার মাধ্যমে দূরের গ্রহে পাড়ি দেওয়া সহজ হবে। চাঁদে নেমে বিশ্রামও নিতে পারবেন মহাকাশচারীরা। বিশেষত, মঙ্গল অভিযানে চাঁদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
ব্রিটেনের বাঙ্গর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা চাঁদে শক্তির উৎস তৈরি করেছেন। দাবি, সেখানে হিমাঙ্কের প্রায় ২৫০ ডিগ্রি নীচে নেমে যাওয়া তাপমাত্রায় মানুষ বা যে কোনও প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে তাঁদের তৈরি নিউক্লিয়ার জ্বালানি কোষের মাধ্যমে। ব্রিটেনের এই বিজ্ঞানীর দল নাসা, ব্রিটেনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এবং আমেরিকার বিজ্ঞানীদের সঙ্গেও কাজ করেছে। তাদের তৈরি নিউক্লিয়ার কোষগুলি অন্যত্র পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
কী ভাবে কাজ করবে ট্রাইসোফুয়েল? চাঁদে একটি মাইক্রো নিউক্লিয়ার জেনারেটরে বিদ্যুৎসংযোগ করা যাবে এর মাধ্যমে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই জেনারেটর এবং নিউক্লিয়ার কোষটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy