বর্জ্য: এভারেস্টে জঞ্জাল সরানোর কাজ। টুইটার
বিশ্বের সর্বোচ্চ আবর্জনা ফেলার জায়গাও এখন এভারেস্ট শৃঙ্গ!
গত এপ্রিল মাস থেকে সেনার সাহায্য নিয়ে হিমালয়ে সাফাই অভিযান শুরু করেছে নেপাল প্রশাসন। তাতে ইতিমধ্যেই ৫ টন, অর্থাৎ কি না, পাঁচ হাজার কেজি জঞ্জাল উদ্ধার হয়েছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ থেকে।
প্রশাসনের দাবি, প্লাস্টিক থেকে জৈব বর্জ্য, প্রায় কয়েক দশক ধরে পড়ে রয়েছে ওই সব আবর্জনা। অভিযাত্রীদেরই এর জন্য দায়ী করেছে প্রশাসন। নেপালের পর্যটন দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল ডান্ডু রাজ ঘিমিরে বলেন, ‘‘১৪ এপ্রিল শুরু হয়েছিল অভিযান। ৮ মে পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার কেজি বর্জ্য পাওয়া গিয়েছে। আকাশপথে ওই আবর্জনা সরিয়ে আনছে সেনা।’’ সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক চললে জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই অভিযান শেষ হবে। ঘিমিরে বলেন, ‘‘আবর্জনার স্তূপে কী নেই! অক্সিজেন সিলিন্ডার, টিনের পাত্র, প্লাস্টিক ব্যাগ, জিনিসপত্র আরও কত কী। মানব-বর্জ্যও রয়েছে।’’
১৪ এপ্রিল নেপালি নববর্ষ শুরু। ওই দিনই ৪৫ দিন ব্যাপী ‘স্বচ্ছ এভারেস্ট অভিযান’ শুরু হয়। অভিযানের পিছনে রয়েছে সোলুখুম্বু জেলার খুম্বু পাসাংলামু রুরাল মিউনিসিপ্যালিটি। তাদের অনুমান, সব মিলিয়ে অন্তত ১০ হাজার কেজি আবর্জনা পাওয়া যাবে এভারেস্ট থেকে। এভারেস্টের পথে আটকে পড়ে মারা যাওয়া অভিযাত্রীদের মৃতদেহও উদ্ধার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চারটি দেহ চিহ্নিত করেছে উদ্ধারকারী দল।
এভারেস্ট জয়ের মতো সাফাই অভিযানেও আগে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে জল, খাবার, তাবু সব জোগাড় করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হেলিকপ্টার ও দক্ষ পর্বতারোহী। সব মিলিয়ে খরচ পড়বে অন্তত ২ কোটি ৩০ লক্ষ নেপালি অর্থ।
প্রতি বছর, কয়েকশো অভিযাত্রী ও শেরপা এভারেস্ট অভিযানে যান। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে বেঁচে যাওয়া খাবার, বিয়ারের বোতল ফেলে রেখে চলে আসেন তাঁরা। আবর্জনার এই স্তূপ থেকে হিমালয়কে বাঁচাতে মরিয়া নেপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy