প্রতীকী ছবি।
রওনা দিয়েছিলে গত বড় দিনে। এক মাসে পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে পৌঁছে গেল মহাকাশ-দূরবিন জেমস ওয়েব। গন্তব্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে সে। এ বার সন্তর্পণে ছোটখাটো তিনটি মোচড় (মিড-কোর্স কারেকশনস বা এমসিসি) দিতে হবে তার চলনে। এমসিসি-১এ, এমসিসি-১বি, এমসিসি-২। তাতেই ‘দ্বিতীয় ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট (এল২)’ নামে বিশেষ একটি কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়া হবে জেমস ওয়েবকে। যেখান থেকে সে ইনফ্রারেড রশ্মি পর্যবেক্ষণ করবে। জানার চেষ্টা করবে বিগ ব্যাং-এর সময়ের, অর্থাৎ এই মহাবিশ্বের জন্মলগ্নের কথা।
কাজটি সহজ নয়। ইনফ্রারেড তথা অবলোহিত রশ্মি কার্যত তাপরশ্মি। ফলে নিজেকে ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে জেমস ওয়েবকে। ফ্রেঞ্চ গিয়ানায় ইউরোপের মহাকাশ বন্দর থেকে এরিয়ান-৫ রকেটে চেপে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে গরম হয়ে রয়েছে দূরবিনটি। সেটিকে প্রথমে ঠান্ডা করতে হবে। এর পর সূর্যের তাপ থেকে বাঁচাতে হবে এটিকে।
এ ক্ষেত্রে কৌশলটি হল, জেমস ওয়েব এমন ভাবে সূর্যকে পাক খাবে যাতে সব সময়েই পৃথিবী ও চাঁদ থাকে মাঝে। এ ভাবে পৃথিবীর অন্ধকার পাশে থেকে সূর্য থেকে লুকিয়ে চলবে জেমস ওয়েবের পরিক্রমা। এতে সেটি মহাকাশের গভীর থেকে আসা তাপ রশ্মি ধরতে পারবে নিখুঁত ভাবে। সূর্য-পৃথিবী-চাঁদ তিনটি ভারী বস্তুকে এক দিকে ও এক রেখায় রেখে চললে দূরবিনটির উপরে মহাকর্ষ আকর্ষণ ও সেটির বাইরের দিকে ছিটকে যাওয়ার বলের মধ্যে ভারসাম্য থাকবে। জ্বালানি খরচও অনেক কম হবে তাতে।
আমাদের কাছাকাছি বেশ কয়েকটি ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট রয়েছে। এল-১ রয়েছে পৃথিবী থেকে সূর্যের দিকে, এটিও ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে। সেখানে অনেকগুলি দূরবিন রয়েছে সূর্যের মতিগতি বোঝার জন্য। কক্ষপথ হিসেবে এল-৪ ও এল-৫ স্থিতিশীল হলেও জেমস ওয়েবের জন্য এল-২-ই আদর্শ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy