পৃথিবী ছেড়ে পালানোর মুলুক। নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে। ছবি্- টুইটারের সৌজন্যে।
অতিমারি, উষ্ণায়নের মতো হাজার সমস্যায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পৃথিবীতে থাকতে আর মোটেও ভাল লাগছে না? ভাবছেন এই নীলাভ গ্রহ ছেড়ে পালাবেন অন্য কোথাও, অন্য কোনওখানে? কিন্তু তার পরেই পিছিয়ে যাচ্ছেন! ভাবছেন কোথায়ই বা যাবেন এই পৃথিবী ছেড়ে!
চিন্তা নেই। নাসা আপনাদের জন্য সুখবর দিয়েছে। খুঁজে দিচ্ছে এই পৃথিবী ছেড়ে পালানোর মুলুক। পাক্কা এক বছরের জন্য। কাছেপিঠের গ্রহ মঙ্গলের মুলুকে। সেখানে থাকার জন্য আবেদন জানাতে হবে নাসার কাছে। গত শুক্রবার থেকে অনলাইনে সেই আবেদনপত্র দিতে শুরু করেছে নাসা।
তবে সেই লাল গ্রহে যাওয়ার জন্য চাপতে হবে না কোনও মহাকাশযানে। পাড়ি জমাতে হবে না প্রায় ৩ কোটি ৪০ লক্ষ মাইল।
১ হাজার ৭০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে লালগ্রহ মঙ্গলের সেই আস্তানা বানিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। হিউস্টনে জনসন স্পেস সেন্টারে। থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে লালগ্রহের সেই অবাক করা আস্তানা বানানো হয়েছে। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্স ডিউন আলফা’। সেই আস্তানায় ৪ জনের বেশি থাকা যাবে না বলে নাসার তরফে জানানো হয়েছে।
কেন এই আস্তানা বানাল নাসা? আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, আর কয়েক বছর পরে তো লালগ্রহ মঙ্গলের বুকে সভ্যতার দ্বিতীয় উপনিবেশ গড়ে তোলার জন্য এমন বহু আস্তানা বানাতেই হবে। তারই প্রস্তুতি হিসাবে বানানো হয়েছে এই মার্স ডিউন আলফা। মঙ্গলে গিয়ে অনেক দিন কাটানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে এই আস্তানায়। কী ভাবে চাষবাস করা হবে লালগ্রহে তারও পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হবে এই আস্তানায়। বোঝার চেষ্টা হবে মঙ্গলের পরিবেশে অনেক দিন কাটাতে গিয়ে মহাকাশচারীদের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা কী রকম হতে পারে।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত শুধু আমেরিকার নাগরিকদেরই থাকার অধিকার থাকবে সেই মার্স ডিউন আলফা-য়। আবাসিকদের বয়স হতে হবে ৩০ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। হতে হবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। আর তাঁদের ধূমপান করা যাবে না বা তাঁদের কোনও নেশায় আসক্তি রাখা চলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy