এই ভাবেই উল্কাপিণ্ডটিকে দেখা গিয়েছিল ইংল্যান্ডের আকাশে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। ছবি সৌজন্যে- ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম, লন্ডন।
কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবীতে প্রাণসৃষ্টির উপাদান কি বয়ে এনেছিল উল্কাপিণ্ডই? ইংল্যান্ডের গ্লসেস্টারশায়ারে আছড়ে পড়া উল্কাপিণ্ডের অংশ সেই সন্দেহকেই জোরদার করে তুলল। ওই উল্কাপিণ্ড থেকে পাওয়া গেল কার্বন পরমাণু দিয়ে তৈরি এমন কয়েকটি রাসায়নিক যৌগ, যাদের ছাড়া প্রাণসৃষ্টি অসম্ভব।
বিজ্ঞানীদের আরও একটি জোরালো বিশ্বাস, কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবীতে জল এনে দিয়েছিল গ্রহাণুরাই। যাদের জন্ম হয়েছিল সৌরমণ্ডলের একেবারে আদি পর্বে। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষেই পৃথিবী ভেসে গিয়েছিল অতলান্ত জলে। সেই গ্রহাণুরই অংশবিশেষ উল্কাপিণ্ড।
যে উল্কাপিণ্ড থেকে প্রাণসৃষ্টির উপাদান মিলেছে, ইংল্যান্ডের আকাশ সেই অগ্নিগোলকটিকে দেখা গিয়েছিল গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। সেটি আছড়ে পড়ে গ্লসেস্টারশায়ারের উইঞ্চকোম্বে। এখন সেটি রাখা হয়েছে লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ৩০০ গ্রাম ওজনের পুরোদস্তুর কালো রঙের সেই পাথরের খণ্ডটি একটি ‘কার্বনেশিয়াস কন্ড্রাইট’। কার্বনঘটিত নানা রকমের রাসায়নিক যৌগ দিয়ে গড়া। আর কার্বন ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টিই সম্ভব হত না কোনও কালে।
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে এও দেখেছেন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ার আগে এই উল্কাপিণ্ডটি তার জীবনের বেশির ভাগ সময়টাই ছিল মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝামাঝি নানা কক্ষপথে। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝামাঝি এলাকাতেই রয়েছে গ্রহাণুদের মুলুক। ‘অ্যাস্টারয়েড বেল্ট’। তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা, সৌরমণ্ডলের জন্মের সময় এই উল্কাপিণ্ডটিও ছিল কোনও গ্রহাণুরই অংশ। পরে সেটি কোনও কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গ্রহাণুটি থেকে।
এর আগে পৃথিবীতে আছড়ে পড়া প্রায় ৬৫ হাজার উল্কাপিণ্ড সংগ্রহ করে রেখেছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এই উল্কাপিণ্ডটির রাসায়নিক উপাদান যা, তা এর আগে পাওয়া গিয়েছে আর মাত্র ৫১টি উল্কাপিণ্ডের মধ্যে। তাই প্রাণসৃষ্টির উপাদান পৃথিবীতে বয়ে আনা উল্কাপিণ্ডের হদিশ যে আধুনিক বিজ্ঞান তেমন একটা পায়নি, তা বলাই বাহুল্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy