—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সম্প্রতি সূর্যে যে ঝড় হয়েছে, তা গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। প্রবল ঝড়ের দাপটে আগুনের ঝাপটে ছিটকে বেরিয়েছে সূর্যের বাইরে মহাকাশেও। পৃথিবীর দিকেও ছিটকে এসেছে সেই ঝাপটা। সৌরঝড়ের প্রভাব পড়েছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। সূর্যের মধ্যেকার সেই তীব্র ঝড়ের ছবি তুলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সৌরযান আদিত্য-এল১।
ইসরো মঙ্গলবার আদিত্য-এল১-এর তোলা সৌরঝড়ের ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছে। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে সেই ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘‘সূর্যে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের ঘটনার ছবি তুলেছে ইসরো।’’ সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝের ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে (এল ১ পয়েন্ট) রয়েছে আদিত্য-এল১। সেখান থেকে প্রতি মুহূর্তে সে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করছে। তার ক্যামেরায় সৌরঝড়ের চিত্র ধরা পড়েছে। তবে শুধু সৌরযান নয়, চাঁদ থেকেও ওই ঝড়ের ছবি তোলা হয়েছে। চাঁদের চারদিকে ঘুরছে চন্দ্রযান-২-এর অরবিটার। সেই ক্যামেরাতেও সৌরঝড় ধরা পড়েছে।
সৌরঝড়ের ছবি তুলেছে নাসাও। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার একাধিক ক্যামেরায় সৌরঝড়ের মুহূর্ত ধরা পড়েছে। নাসা জানিয়েছে, ১৪ মে শক্তিশালী আগুনের ফুলকি নির্গত হয়েছে সূর্য থেকে। বিস্ফোরণের ঘনত্ব ছিল এক্স৮.৭। গত ৫০ বছরে এত শক্তিশালী বিস্ফোরণ সূর্যে হয়নি। এর আগে ১১ মে এবং ১৩ মে সূর্যে একই জায়গায় দু’টি বিস্ফোরণ হয়েছিল। ১৪ তারিখ ওই একই জায়গা থেকে তৃতীয় বিস্ফোরণটি হয়। সেই কারণেই তৃতীয় বিস্ফোরণের অভিঘাত এত তীব্র ছিল।
সৌরঝড়ের প্রভাব পড়েছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেও। তার প্রভাবে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ইন্টারনেট ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটেছে বলে মত বিজ্ঞানীদের একাংশের। এ ছাড়া, সৌরঝড়ের প্রভাবে ইউরোপ, অস্ট্রেলেশিয়া অঞ্চলের বহু দেশে রাতের আকাশে দেখা গিয়েছে রঙবেরঙের মেরুপ্রভা বা মেরুজ্যোতি। এমনকি, লাদাখের আকাশও সূর্যের ঝড়ের কারণে রঙিন হয়ে উঠেছিল বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy