Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

শুধু চাঁদ নয়, নজর সাগরের অতলেও

অরবিটার, বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে পাঠিয়ে চাঁদের রহস্য সন্ধানেই থামছে না ভারত। নজর রয়েছে মঙ্গল ও অন্য গ্রহেও।

চন্দ্রযান-২। ছবি: ইসরোর সৌজন্যে।

চন্দ্রযান-২। ছবি: ইসরোর সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:০৩
Share: Save:

এ বার নামার প্রস্তুতি। আজ সন্ধেয় চন্দ্রযান ২-কে তার চূড়ান্ত কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছে ইসরো। এই পথটি প্রায় গোলাকার। এ দিন সন্ধে ৬টা ২১ মিনিটে শুরু হয় কক্ষপথ বদলের কাজ। ৫২ সেকেন্ডে সেটি পঞ্চম তথা চূড়ান্ত কক্ষে পৌঁছে যায়। কাল সোমবার এই কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতেই রোভার প্রজ্ঞানকে নিয়ে ল্যান্ডার বিক্রম আলাদা হয়ে যাবে চন্দ্রযান ২-এর পিছনের অংশ তথা অরবিটার থেকে। সোমবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টা ৪৫— এই এক ঘণ্টার মধ্যে তা করা হবে।

তার পরে শুরু হবে চাঁদে সফ্‌ট ল্যান্ডিংয়ের জন্য ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ও ৪ সেপ্টেম্বর ভোর-রাতে ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে দু’ দফায় বিক্রমের পথ বদল ঘটানো হবে। অরবিটার চালিয়ে যাবে চন্দ্র পরিক্রমা। শুক্রবার রাত দেড়টা থেকে আড়াইটের মধ্যে (ইংরেজি তারিখের হিসেবে যা ৭ সেপ্টেম্বর) বিক্রম নামবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে।

অরবিটার, বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে পাঠিয়ে চাঁদের রহস্য সন্ধানেই থামছে না ভারত। নজর রয়েছে মঙ্গল ও অন্য গ্রহেও। এমনকি পৃথিবীর সমুদ্রের গভীরেও লুকিয়ে রয়েছে বহু অজানা তথ্য ও প্রকৃতির ভাণ্ডার। তার সন্ধানে ২০২১-২২ নাগাদ অভিযানে নামবে ভারতের ‘সমুদ্রযান’।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশেন টেকনোলজি (এনআইওটি)-র ডিরেক্টর এমএ আত্মানন্দ জানাচ্ছেন, ‘আর্থ সায়েন্স’ প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ কিলোমিটার গভীরে যান নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। ইসরো গগনযানে করে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে, আর এনআইওটি সমুদ্রযানে তিন জন অভিযাত্রীকে পাঠাবে সাগরতলে। দেশীয় প্রযুক্তিতে ওই যান সাগরতলে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। তাতে কী হবে? আত্মানন্দ জানাচ্ছেন, সাগরের নীচ থেকে খনিজ সংগ্রহকারী উন্নত দেশগুলির সঙ্গে ভারত এক গোত্রে ঠাঁই করে নেবে এতে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE