প্রতীকী ছবি।
ভারতে কোভিডের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোভিডের কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ সে ভাবে নেই।
তবে আমেরিকার শিকাগোর রাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল ভারতীয় বিজ্ঞানীর দাবি, কোভিডের সঙ্গে লড়াই করে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে রক্ষা করতে পারে এমন একটি ওষুধ আবিষ্কার করেছেন তাঁরা। দলটিতে রয়েছেন একাধিক বাঙালি।
এই আবিষ্কার সংক্রান্ত গবেষণাপত্র জার্নাল অব নিউরো ইমিউন ফার্মাকোলজি পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। তাঁদের আশা, আগামী এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়ে যাবে। অধ্যাপক কালীপদ পাহানের নেতৃত্বে ওই দলে রয়েছেন রমেশ পাইদি, মালবেন্দু জানা, রাম মিশ্র, দেবাশিস দত্ত ও সুমিতা রাহা। কালীপদবাবুর দাবি, তাঁদের আবিষ্কৃত ওষুধটি নাকের ড্রপের মতো ব্যবহার করা যাবে। তার ফলে সাধারণ মানুষ নিজেরাই এই ওষুধ প্রয়োগ করতে পারবেন।
কালীপদবাবু জানিয়েছেন, এই ওষুধ অ্যামাইনো অ্যাসিডের একটি ‘পেপটাইড’। তাঁর বক্তব্য, আমাদের শরীরে প্রবেশ করার পরে নভেল করোনাভাইরাস স্পাইক ‘এস-১’ আমাদের কোষের উপরে থাকা ‘এস-২’ উৎসেচকের সঙ্গে আবদ্ধ হয়। এই আবদ্ধ হওয়ার ফলেই
আমাদের শরীরে কোভিড সংক্রমণ ঘটতে পারে। বিজ্ঞানী দলটির দাবি, তাঁদের আবিষ্কৃত ওষুধ ভাইরাসের দাঁড়া বা স্পাইকের সঙ্গে কোষকে আবদ্ধ হতে দেবে না। ইঁদুরের উপরে পরীক্ষা করে কালীপদবাবুরা দেখেছেন, এই ওষুধ প্রয়োগ করলে জ্বর হয় না, ফুসফুসও স্বাভাবিক ভাবে কাজ করে। এমনকি, হৃদ্যন্ত্রও ঠিক মতো কাজ করে।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, প্রতিষেধক এসে যাওয়ার পরে এই ওষুধের প্রয়োজনীয়তা কী? ওই বিজ্ঞানী দলের বক্তব্য, প্রত্যেক মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়সাধ্য বিষয়। ভ্যাকসিন তৈরি এবং তা ঠিক মতো সংরক্ষণ করে রাখাও জটিল কাজ। শুধু তাই নয়, রোগাক্রান্ত হলে প্রতিষেধক কাজ করবে না। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ওষুধ প্রয়োজন। তাঁদের আবিষ্কার সেই কাজটিই করবে।
কালীপদবাবু বলেন, ‘‘কোভিডে আক্রান্ত মানুষ ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে যেমন এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন, তেমনই রোগাক্রান্তদের কাছাকাছি থাকা মানুষও আগাম সতর্কতা হিসেবে এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy