প্রতীকী ছবি।
একটি দানবাকৃতি মহাজাগতিক বস্তু ঢুকে পড়তে চলেছে সৌরমণ্ডলে। আসছে সৌরমণ্ডলের 'পাঁচিল'-এর ওপারে থাকা পুরু বরফের মহাসাম্রাজ্য ‘ওরট্ ক্লাউড’ থেকে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা রবিবার এই খবর দিয়েছে।
এ-ও জানিয়েছে, গোড়ার দিকে বোঝাই যায়নি সেটি কী ধরনের মহাজাগতিক বস্তু। তা কি কোনও গ্রহাণু (‘অ্যাস্টারয়েড’) নাকি কোনও ধূমকেতু? বিজ্ঞানীরা হালে নিশ্চিত হয়েছেন, সৌরমণ্ডলের এই অচেনা, অজানা আগন্তুক আদতে একটি সুবিশাল ধূমকেতু। নাসা বলছে, “এত বড় আকারের ধূমকেতুর হদিশ এর আগে মেলেনি।” এর একটি বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে। ‘সি/২০১৪ ইউএন ২৭১’। চওড়ায় ১৩০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। পুরোটাই পুরু বরফ। সদ্য বেরিয়েছে ওরট্ ক্লাউড থেকে।
বরফের রাজ্য থেকে বেরিয়ে প্রদক্ষিণের জন্য যতই সূর্য-মুখী হয় ধূমকেতুরা, ততই তাদের দক্ষিণা দিতে হয় সূর্যকে! সূর্যপ্রণামের জন্য! উত্তরোত্তর সূর্যের দিকে এগিয়ে আসার ফলে সৌরতাপ ও বিকিরণে তার বরফের দেহ গলতে শুরু করে। সেই বরফ গলে মহাকাশে ছড়িয়ে পড়তে পড়তে তৈরি করে ধূমকেতুর পুচ্ছ।
নাসা জানিয়েছে, সবে ওরট্ ক্লাউড থেকে বেরিয়েছে ধূমকেতুটি। সৌরমণ্ডলে ঢুকে পড়লেই তাকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে হবে। আর তখনই তার পুচ্ছ গজিয়ে উঠবে। সেটি এখনও গজিয়ে ওঠেনি বলেই, ২০১৪-য় এই মহাজাগতিক বস্তুটির প্রথম হদিশ মেলার পরেও এত দিন বিজ্ঞানীদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়নি সেটি আদতে ধূমকেতু কি না। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যতটা, এখন তার ১০ থেকে ২০ হাজার গুণ দূরে রয়েছে অচেনা, অজানা সেই ধূমকেতু।
নাসা জানিয়েছে, এখনও যে পথ ধরে সেটি ছুটে আসছে সৌরমণ্ডলের দিকে, তা বিচার করে বলা যায় সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে লাগবে তার ৫৫ লক্ষ বছর সময়। ফলে, এর আগে যে সেটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে আসেনি, এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ২০৩১ সালে এই ধূমকেতুটি আসবে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে। তখন থাকবে শনিগ্রহের একটি কক্ষপথের অদূরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy