Advertisement
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
venus

Habitable Venus: শুকতারাতেও থাকতে পারে প্রাণ, মেঘের উপরের স্তরে, জানাল গবেষণা

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘অ্যাস্ট্রোবায়োলজি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র এই দাবি করেছে।

পৃথিবীর যমজ গ্রহ শুক্র। -ফাইল ছবি।

পৃথিবীর যমজ গ্রহ শুক্র। -ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৫৮
Share: Save:

হ্যাঁ, পৃথিবীর ‘যমজ গ্রহ’ শুক্রেও থাকতে পারে প্রাণ। সেই প্রাণ হতে পারে অণুজীব। যারা অক্সিজেন ছাড়াও বাঁচতে পারে।

আকাশে যাকে আমরা ‘শুকতারা’ বলে চিনি, জানি, সেই শুক্রগ্রহের বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে থাকতে পারে এই ধরনের অণুজীব। যে প্রাণ সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে বাঁচে। পৃথিবীতে যে পদ্ধতিতে 'রান্নাবান্না করে' উদ্ভিদ।

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘অ্যাস্ট্রোবায়োলজি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র এই দাবি করেছে। গবেষণাটির নেতৃত্বে রয়েছেন আমেরিকার পোমোনায় ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও গবেষকরা।

কয়েক বছর আগে শুক্রের বায়ুমণ্ডলে ফসফিন গ্যাস থাকার প্রমাণ মিলেছিল। পৃথিবীতে এই গ্যাস যেহেতু তৈরি হয়েছে মূলত অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচতে পারে, এমন অণুজীব (অ্যানএয়ারোবিক ব্যাক্টেরিয়া)-দেরই দৌলতে, তাই ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্বের প্রমাণ মেলার পর থেকেই শুক্রেও প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে কৌতূহলের জন্ম হয় বিজ্ঞানীমহলে।

শুক্রপৃষ্ঠের (সারফেস) গড় তাপমাত্রা (৪৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৮৮০ ডিগ্রি ফারনেহাইট) এতটাই বেশি যে, পৃথিবীর এই যমজ গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে এত দিন বিশ্বাসই করতে চাইতেন না বিজ্ঞানীরা। সেই গ্রহের বাতাসের প্রায় পুরোটাই ভরা কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসে। নেই ছিটোফোঁটা অক্সিজেন। শুক্রে বাতাসের গতিবেগও প্রচণ্ড। শুক্রপৃষ্ঠে বায়ুমণ্ডলের চাপ পৃথিবীর ১০০ গুণ।

শুধু তা-ই নয়, এত দিন তাঁদের ধারণা ছিল শুক্রের মেঘে জলকণা নেই বিন্দুমাত্র। সেই মেঘ ভরে রয়েছে বিষাক্ত সালফিউরিক অ্যাসিডে। তাই এই মুলুকে প্রাণের হদিশ মেলার আশা এক রকম ছেড়েই দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।

সাম্প্রতিক গবেষণা জানাল, একেবারেই আশা ছেড়ে দেওয়ার কারণ নেই। প্রাণ থাকতে পারে শুক্রের বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরের মেঘে। সেই প্রাণ হতে পারে কোনও অণুজীব। যাঁদের বাঁচার জন্য অক্সিজেন লাগে না। যারা বাঁচে সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে তাদের বাঁচার রসদ বানিয়ে। পৃথিবীতে যে ভাবে বাঁচে অধিকাংশ উদ্ভিদই। সূর্যরশ্মির বিষাক্ত ছোবল থেকে সেই অণুজীবদের রক্ষা করে, বাঁচিয়ে রাখে শুক্রের বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে থাকা পুরু মেঘ। সেই মেঘে বিষাক্ত সালফিউরিক অ্যাসিড খুব বেশি পরিমাণে রয়েছে বলে এত দিন যে ধারণা ছিল বিজ্ঞানীদের, তাকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন গবেষকরা।

গবেষণাপত্রটি জানিয়েছে, ওই মেঘ অতটা অম্ল না-ও হতে পারে। সেই মেঘে থাকতে পারে জলকণাও। একেবারে নীচের স্তরের মেঘে সালফিউরিক অ্যাসিডের ঘনত্ব ৯৮ শতাংশ হলেও তার কিছুটা উপরের স্তরের মেঘে তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। কম-বেশি ৭৫ শতাংশ। তারও উপরের স্তরগুলির মেঘে তা অনেকটাই কম। এমনকি সেখানে জলকণাও রয়েছে বলে দাবি গবেষণাপত্রের।

অন্য বিষয়গুলি:

venus Photosynthesis
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy