ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চান, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদের মাটিতে মানুষ নামাবে ভারত। কিন্তু সেই অভিযান আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না, তা বুঝতে সাহায্য করবে চাঁদে ভারতের পরবর্তী অভিযান চন্দ্রযান-৪। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৪ চাঁদের ভূপৃষ্ঠ থেকে পাথর কুড়িয়ে আনবে। সে কাজে সফল হলে তবেই চাঁদে মানুষ পাঠানোর ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে।
এক বার ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান। পালকের মতো ভেসে নিরাপদ অবতরণ করানোয় সফল হয়েছে ইসরো। তার পর থেকেই চাঁদ নিয়ে আরও বড় স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী মোদী ইতিমধ্যেই তাদের সামনে চাঁদে ভারতীয় নভেশ্চর পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন। সময় বেঁধে দিয়েছেন ১৬ বছর। কিন্তু সত্যিই কি ২০৪০ সালে চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারবে ভারত?
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোমনাথ বলেছেন, ‘‘২০৪০-এ প্রধানমন্ত্রী চাঁদে পৌঁছে দিতে চান এক ভারতীয়কে। কিন্তু মহাকাশে মানুষ পৌঁছনোর জন্য সবচেয়ে আগে নিশ্চিত করতে হবে মহাকাশচারীর নিরাপত্তা। অথচ এখনও আমরা চাঁদে গিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসার পরীক্ষাই করিনি। তাই সবচেয়ে আগে সেই পরীক্ষা করা দরকার। চন্দ্রযান-৪ সেই চেষ্টাই করবে।’’
সব ঠিক থাকলে ২০২৮ সালে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা চন্দ্রযান-৪-এর। সোমনাথ জানিয়েছেন, এর আগে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধের যে অংশে অবতরণ করেছিল, সেখান থেকেই নমুনা সংগ্রহ করবে চন্দ্রযান-৪। চন্দ্রযান-৩-এর ওই অবতরণ ক্ষেত্রটিকে বলা হয় ‘শিবশক্তি পয়েন্ট’। প্রধানমন্ত্রী মোদীই ওই নাম দিয়েছিলেন। ইসরোর পরবর্তী চন্দ্রাভিযানে সেই ‘শিবশক্তি পয়েন্ট’ থেকেই পাথর সংগ্রহ করবে চন্দ্রযান-৪। তার পরে ফিরে আসবে পৃথিবীর মাটিতে। তবে সোমনাথ জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৪ এখনই চাঁদে পাড়ি না দিলেও চাঁদে মানুষ পাঠানোর উপযোগী রকেট বানাতে কী কী দরকার, সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করে দিয়েছে ইসরো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy