Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Neil Armstrong

নিল আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুট তৈরি করেছিল মহিলাদের অন্তর্বাস প্রস্তুতকারী সংস্থা!

বিস্ময়কর হলেও সত্যি, চাঁদে পা রাখা প্রথম মানুষের স্পেসস্যুট তৈরি হয়েছিল যন্ত্রে নয়, বরং হাতে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মহিলা সীবন-কর্মীরা তিলে তিলে সেটা তৈরি করেছিলেন। এতটাই সতর্কতার সঙ্গে, যে বত্রিশ ভাগের মধ্যে এক ভাগ ভুল হলেও তা বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:০৮
Share: Save:
০১ ১২
যোদ্ধার রণসাজের মতো মহাকাশচারীর পোশাকও খুব গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত পোশাক না হলে অভিযান ব্যর্থ। ফলে মহাকাশ অভিযানের অন্যতম মুখ্য অংশ হল স্পেসস্যুট। যেমন নিল আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুট। যা পরে তিনি জায়ান্ট লিপ দিয়েছিলেন চাঁদের মাটিতে। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই। মহাকাশযাত্রার খুঁটিনাটি ছাড়াও এই পোশাকের অন্যান্য বিশেষত্বে সাধারণ মানুষের চক্ষু চড়কগাছ হওয়াই সামিল।

যোদ্ধার রণসাজের মতো মহাকাশচারীর পোশাকও খুব গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত পোশাক না হলে অভিযান ব্যর্থ। ফলে মহাকাশ অভিযানের অন্যতম মুখ্য অংশ হল স্পেসস্যুট। যেমন নিল আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুট। যা পরে তিনি জায়ান্ট লিপ দিয়েছিলেন চাঁদের মাটিতে। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই। মহাকাশযাত্রার খুঁটিনাটি ছাড়াও এই পোশাকের অন্যান্য বিশেষত্বে সাধারণ মানুষের চক্ষু চড়কগাছ হওয়াই সামিল।

০২ ১২
আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুটের মডেলের নাম ‘এ সেভেন এল’। ক্রমিক সংখ্যা ০৫৬। সে সময়েই এর আনুমানিক ব্যয় ছিল ১ লক্ষ মার্কিন ডলার। এখনকার বাজারদর অনুযায়ী প্রায় ৬ লক্ষ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকা।

আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুটের মডেলের নাম ‘এ সেভেন এল’। ক্রমিক সংখ্যা ০৫৬। সে সময়েই এর আনুমানিক ব্যয় ছিল ১ লক্ষ মার্কিন ডলার। এখনকার বাজারদর অনুযায়ী প্রায় ৬ লক্ষ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকা।

০৩ ১২
চাঁদের মাটিতে তাপমাত্রার তারতম্য অকল্পনীয়। দিনের বেলায় সেখানে তাপমাত্রা থাকে প্রায় ২৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। রাতে সেটাই নেমে দাঁড়ায় মাইনাস ২৮০ ফারেনহাইটে। ফলে অভিযাত্রীর পোশাকও হতে হবে উপযুক্ত।

চাঁদের মাটিতে তাপমাত্রার তারতম্য অকল্পনীয়। দিনের বেলায় সেখানে তাপমাত্রা থাকে প্রায় ২৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। রাতে সেটাই নেমে দাঁড়ায় মাইনাস ২৮০ ফারেনহাইটে। ফলে অভিযাত্রীর পোশাকও হতে হবে উপযুক্ত।

০৪ ১২
আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুট  ছিল মোট একুশটি স্তরের। মূল উপকরণ সিন্থেটিক্স, নিওপ্রেন রাবার এবং মেটালাইজড পলিয়েস্টার ফিল্ম। শুধু তাপমাত্রার তারতম্যই নয়। এই বিশেষ পোশাক আর্মস্ট্রংকে সুরক্ষা দিয়েছিল বায়ুমণ্ডলহীন চাঁদে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও।

আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুট ছিল মোট একুশটি স্তরের। মূল উপকরণ সিন্থেটিক্স, নিওপ্রেন রাবার এবং মেটালাইজড পলিয়েস্টার ফিল্ম। শুধু তাপমাত্রার তারতম্যই নয়। এই বিশেষ পোশাক আর্মস্ট্রংকে সুরক্ষা দিয়েছিল বায়ুমণ্ডলহীন চাঁদে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও।

০৫ ১২
বিস্ময়কর হলেও সত্যি, চাঁদে পা রাখা প্রথম মানুষের স্পেসস্যুট তৈরি হয়েছিল যন্ত্রে নয়, বরং হাতে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মহিলা সীবন-কর্মীরা তিলে তিলে সেটা তৈরি করেছিলেন। এতটাই সতর্কতার সঙ্গে, যে বত্রিশ ভাগের মধ্যে এক ভাগ ভুল হলেও তা বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)

বিস্ময়কর হলেও সত্যি, চাঁদে পা রাখা প্রথম মানুষের স্পেসস্যুট তৈরি হয়েছিল যন্ত্রে নয়, বরং হাতে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মহিলা সীবন-কর্মীরা তিলে তিলে সেটা তৈরি করেছিলেন। এতটাই সতর্কতার সঙ্গে, যে বত্রিশ ভাগের মধ্যে এক ভাগ ভুল হলেও তা বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)

০৬ ১২
১৯৬৭ সালে গ্রাউন্ড টেস্টের সময়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছিল মহাকাশচারীদের পোশাক। ফলে নাসা-র নির্দেশ ছিল, যাতে নতুন পোশাকগুলি এক হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রাও সহ্য করতে পারে। ফলে টেফলনের প্রলেপ সমেত গ্লাস মাইক্রোফাইবারের বিটা ক্লথ দিয়ে তৈরি হয়েছিল আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুট।

১৯৬৭ সালে গ্রাউন্ড টেস্টের সময়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছিল মহাকাশচারীদের পোশাক। ফলে নাসা-র নির্দেশ ছিল, যাতে নতুন পোশাকগুলি এক হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রাও সহ্য করতে পারে। ফলে টেফলনের প্রলেপ সমেত গ্লাস মাইক্রোফাইবারের বিটা ক্লথ দিয়ে তৈরি হয়েছিল আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুট।

০৭ ১২
এই বিশেষ পোশাক তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল ডোভারের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ল্যাটেক্স কর্পোরেশনকে। চ্যালেঞ্জের অগ্নিপরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছিল এই সংস্থা। তাদের খেয়াল রাখতে হয়েছিল, যাতে এই পোশাকে ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যটুকু দেওয়া যায় মহাকাশচারীদের। পোশাক ঠিকমতো তৈরি হচ্ছে কি না, তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররা।

এই বিশেষ পোশাক তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল ডোভারের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ল্যাটেক্স কর্পোরেশনকে। চ্যালেঞ্জের অগ্নিপরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছিল এই সংস্থা। তাদের খেয়াল রাখতে হয়েছিল, যাতে এই পোশাকে ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যটুকু দেওয়া যায় মহাকাশচারীদের। পোশাক ঠিকমতো তৈরি হচ্ছে কি না, তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররা।

০৮ ১২
অনেকের কাছেই যা অজানা, তা হল, এই ল্যাটেক্স কর্পোরেশন-এর একটি শাখা মহিলাদের অন্তর্বাসও তৈরি করে।  (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)

অনেকের কাছেই যা অজানা, তা হল, এই ল্যাটেক্স কর্পোরেশন-এর একটি শাখা মহিলাদের অন্তর্বাসও তৈরি করে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)

০৯ ১২
চাঁদের পিঠে অভিযাত্রীদের পোশাক তৈরির সময় বিশেষ নজর ছিল পোশাকের কাঁধ, কনুই, হাঁটু এবং গোড়ালির অংশের দিকে। যাতে মহাকাশচারীদের ওই অংশ ভাঁজ করতে সমস্যা না হয়। ব্যবহার করা হয়েছিল স্টিল এয়ারক্র্যাফ্ট কেবল। ফলে নিচু হয়ে চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহে সমস্যা হয়নি মহাকাশচারীদের।

চাঁদের পিঠে অভিযাত্রীদের পোশাক তৈরির সময় বিশেষ নজর ছিল পোশাকের কাঁধ, কনুই, হাঁটু এবং গোড়ালির অংশের দিকে। যাতে মহাকাশচারীদের ওই অংশ ভাঁজ করতে সমস্যা না হয়। ব্যবহার করা হয়েছিল স্টিল এয়ারক্র্যাফ্ট কেবল। ফলে নিচু হয়ে চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহে সমস্যা হয়নি মহাকাশচারীদের।

১০ ১২
বিশ্বে মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুটের যত ছবি তোলা হয়েছে, অন্য স্পেসস্যুটের ক্ষেত্রে তা হয়নি। অভিযানের অনেক বছর পরে, ১৯৯৪ সালে আর্মস্ট্রং একটি চিঠিতে নাসা-কে ধন্যবাদ জানান পোশাকের জন্য। তাঁর মতে, স্পেসস্যুটটি ফোটোজেনিক ছিল তো বটেই। তবে এটা যে ঠিক  ভাবে কাজ করেছিল, সেটাই এর প্রকৃত সৌন্দর্য।

বিশ্বে মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুটের যত ছবি তোলা হয়েছে, অন্য স্পেসস্যুটের ক্ষেত্রে তা হয়নি। অভিযানের অনেক বছর পরে, ১৯৯৪ সালে আর্মস্ট্রং একটি চিঠিতে নাসা-কে ধন্যবাদ জানান পোশাকের জন্য। তাঁর মতে, স্পেসস্যুটটি ফোটোজেনিক ছিল তো বটেই। তবে এটা যে ঠিক ভাবে কাজ করেছিল, সেটাই এর প্রকৃত সৌন্দর্য।

১১ ১২
প্রায় ৩০ বছর ধরে নিল আর্মস্ট্রংয়ের ওই স্পেসস্যুট স্মিথসোনিয়ানের গ্যালারিতেই রাখা ছিল। কিন্তু স্যুট নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ২০০৬-এ সেটি গ্যালারি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

প্রায় ৩০ বছর ধরে নিল আর্মস্ট্রংয়ের ওই স্পেসস্যুট স্মিথসোনিয়ানের গ্যালারিতেই রাখা ছিল। কিন্তু স্যুট নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ২০০৬-এ সেটি গ্যালারি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

১২ ১২
চাঁদে মানুষের পা রাখার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিল আর্মস্ট্রংয়ের পোশাক চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রদর্শনীতে রাখা হয়। গত ১৩ বছর ধরে নামী স্পেসস্যুট ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বলেন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। তার পর ওই স্পেসস্যুটটিতে সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করার পর তা ফের স্মিথসোনিয়ানের গ্যালারিতে নিয়ে আসা হয়েছিল।

চাঁদে মানুষের পা রাখার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিল আর্মস্ট্রংয়ের পোশাক চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রদর্শনীতে রাখা হয়। গত ১৩ বছর ধরে নামী স্পেসস্যুট ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বলেন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। তার পর ওই স্পেসস্যুটটিতে সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করার পর তা ফের স্মিথসোনিয়ানের গ্যালারিতে নিয়ে আসা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy