ভাল পরোটা তৈরি মুখের কথা নয়, জানতেহবে কৌশল। ছবি: ফ্রিপিক।
পরোটায় কামড় বসালেই জিভ পাবে সুস্বাদু পুরের স্বাদ। তবেই না পুর ভরা পরোটা! পরোটার উপরটা হবে মুচমুচে, তবে পাঁপড় ভাজার মতো নয়। আবার পরোটা মুখে দিলে পুরের স্বাদটাও ভরপুর খাকবে।
এমন পরোটা বানাতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছেন? কেউ বলেন, পরোটার ভিতরে পুর ভরে বেলতে গেলেই, তা ফেটে বেরিয়ে যায়। কারও হাতে পরোটার উপরের ভাগ অতিরিক্ত শক্ত হয়ে যায়। আসলে পরোটা বানানোরও কিছু কায়দা রয়েছে। শুধু পুর নয়, পরোটার আটা অথবা ময়দা মাখা, বেলা, পুর ভরার কৌশল, ভাজা এই সমস্ত কিছুর উপরেই স্বাদ নির্ভর করে।
১.কেউ ময়দার পরোটা খান, কেউ আবার আটার। পরোটার স্বাদ অনেকটাই নির্ভর করে আটা অথবা ময়দা মাখার উপরে। সঠিক ময়ান, সঠিক জল এবং ময়দা মাখার কৌশল খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরোটার উপরের খোল মুচমুচে করার জন্য ময়ান দিতে হয়। আবার পরোটা যাতে নরম হয় সে জন্য খুব ভাল করে সময় নিয়ে ঠেসে ঠেসে আটা বা ময়দা মাখতে হবে।
২. ময়দা অথবা আটা মেখে সঙ্গে সঙ্গে পরোটা করলে স্বাদ ভাল হবে না। বরং কিছু ক্ষণ শুকনো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। তার পর মেখে রাখা ময়দা বা আটা আরও এক বার মেখে নিতে হবে। এতে পরোটার স্বাদ ভাল হবে, নরম হবে।
৩. আলু হোক বা ফুলকপি কিংবা মাংস, গরম অবস্থায় পুর ভরতে গেলে, তা বেলার সময় ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। পুর ঘরের তাপমাত্রায় আসার পর তা ভরুন।
৪. পুর ভরার কৌশলটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। পুর একেবারে কম হলে পরোটা খেতে ভাল হবে না। আবার বেশি ঠেসে ভরতে গেলে বেলার সময় পরোটা ফেটে যেতে পারে। আবার মুলো বা পেঁয়াজের পুর ভরতে গেলে, সেগুলি থেকে জল বেরিয়ে ময়দা বা আটা নরম হয়ে যেতে পারে। তাই পুর এমন ভাবে ভরতে হবে, যাতে কম বা বেশি কোনওটাই না হয়। পুর ভরার পর মুখটি ভাল ভাবে বন্ধ করতে হবে। মুলো বা পেঁয়াজের পুর দিয়ে পরোটা করতে গেলে যতটা সম্ভব হাত দিয়ে চেপে মুলোর বা পেঁয়াজের রস কিছুটা বার করে নিলে সমস্যা কমতে পারে।
৫. পরোটা বেলার সময় অতিরিক্ত চাপ দিলেই তা ফেটে যাবে। তাই ধীরে, হালকা চাপ দিয়ে বেলতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে পুরটা যেন পুরো পরোটায় সমান ভাবে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy