মুগডাল দিয়ে কী বানাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালির গেরস্থালিতে ডাল বলতে মুগ, মুসুর, বিউলি আর ছোলা। ভাতের সঙ্গে হয় মুগ, না হয় মুসুর। যে দিন পোস্ত থাকে, সে দিন দোসর বিউলি। আর লুচি বা রুটির সঙ্গে রইল ছোলার ডাল। তবে সামান্য হলেও অড়হর বা সবুজ মুগ হেঁশেলে মজুত থাকে। তবে বাঙালি গেরস্ত বাড়িতে মুগ ডালের রাজত্বই বেশি। মাছ-মাংস থাক না থাক, ভাতের সঙ্গে এক বাটি ডাল না হলেই নয়। প্রতি দিন শরীরে যে পরিমাণ প্রোটিন প্রয়োজন হয়, তার অনেকটাই পাওয়া যায় ডাল থেকে। এ ছাড়া বিভিন্ন রকম খনিজ রয়েছে মুগ ডালে।
তবে মুগ ডালকে শুধু ভাত কিংবা তরকার মধ্যে আবদ্ধ রাখবেন কেন? গোটা কিংবা সোনা মুগডাল দিয়ে তো রকমারি মুখরোচক খাবার বানানো যায়। মাঝেমধ্যে সেই সব খাবারও চেখে দেখতে পারেন।
১) অদাই
ইডলি, দোসার বিকল্প হিসাবে দক্ষিণে এই খাবার খাওয়ার চল রয়েছে। ভেজানো মুগডাল বেটে তার সঙ্গে নানা রকম মশলা দিয়ে তৈরি করা মিশ্রণ অল্প ঘিয়ে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে অদাই। দেখতে অনেকটা সরুচাকলি বা প্যানকেকের মতো। সকালের জলখাবারে টক-ঝাল-মিষ্টি চাটনি কিংবা কাজের মাঝে টিফিনে টক দইয়ের সঙ্গে খেতে মন্দ লাগবে না।
২) মুগ ডালের চাট
ভেজানো সবুজ মুগ ডাল পাতলা সুতির কাপড়ে জড়িয়ে রেখে দিন। এক রাত রেখে দিলেই ডাল থেকে অঙ্কুর বেরিয়ে পড়বে। এই অঙ্কুরিত ডালের সঙ্গে শসা, টম্যাটো, পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে নিন। সঙ্গে সামান্য নুন, জিরে গুঁড়ো এবং লেবুর রস ছড়িয়ে দিলেই চাট তৈরি। বিকেল কিংবা সন্ধ্যার জলখাবার হিসাবে এই চাট দারুণ মুখরোচক।
৩) ডালের হালুয়া
হালুয়া সাধারণত সুজি কিংবা গাজর দিয়েই তৈরি করা হয়। তবে, মুগ ডাল দিয়ে হালুয়া খাওয়ার চল রয়েছে উত্তর ভারতে। ভেজানো মুগ ডাল মিহি করে বেটে নিন। তার পর কড়াইতে ঘি গরম হলে ডালবাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। বেশি চিনি খেতে না চাইলে গুড় দিতে পারেন। এই সময়ে সামান্য ছোট এলাচ গুঁড়ো করে দিয়ে দিতে পারেন। মিশ্রণ খুব ঘন হয়ে গেলে সামান্য দুধ দেওয়া যেতে পারে। নামানোর আগে বিভিন্ন ধরনের বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন একমুঠো। খেতেও ভাল লাগবে। দেখতেও সুন্দর হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy