আমিষ খিচুড়ি দিয়েই জমবে ভূরিভোজ। ছবি: শাটারস্টক।
বর্ষার দিনে সকাল থেকেই উঠে মন ভাল হয়ে যায় মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি দেখলে। টানা বৃষ্টিতে দুপুর কিংবা রাতের খাবার বলতেই মন চলে যায় খিচুড়ির দিকে। সত্যিই বর্ষা আর খিচুড়ি এই দুটোকে আলাদা করা বেজায় মুশকিল। সঙ্গে বেগুনি, ডিমভাজা কিংবা ইলিশমাছ ভাজা থাকলে তো কথাই নেই! বৃষ্টিবাদলের দিনে বাড়িতে চটজলদি বানিয়ে ফেলা যায় রইল তিনটি আমিষ খিচুড়ির সহজ রেসিপি।
মুরগির ভুনা খিচুড়ি: প্রেশার কুকারে তেল গরম করে নিয়ে গোটা গরমমশলা দিন। এর পর পেঁয়াজ কুচি, আদা-লঙ্কা কুচি, রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। এর পর মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে ভাল করে ভাজুন। খানিক ভাজা হয়ে গেলে তার মধ্যে টম্যাটো কুচি দিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়ুন। মাখোমাখো হয়ে এলে চাল ও ডাল মেশান। এর পর হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো-সহ বাকি মশলাগুলো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে গরম জল দিন। যদি এক কাপ চাল নেন, তা হলে দেড় কাপ জল দেবেন। সেই মতো কত কাপ চাল নিচ্ছেন, দেখে জল নিন। এ বার প্রেশার কুকারে একটা সিটি দিন। হয়ে গেলে কুকার খুলে ঘি ও গরমমশলার গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
মটন কিমা খিচুড়ি: আধ বাটি মুগের ডাল হালকা করে ভেজে নিন। এ বার ভাজা মুগডাল, আধ বাটি মুসুরির ডাল আর বাসমতি চাল জলে ভিজিয়ে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে জিরে, তেজপাতা আর গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিন। তার পর পেঁয়াজ কুচি, টম্যাটো কুচি, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। মশলা কষানোর পর হলুদ, ধনে, জিরে আর লঙ্কার গুড়ো একটু জলে গুলে কড়াইয়ে দিয়ে দিন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে নুন-চিনি দিয়ে দিন। তার পর কিমা দিয়ে কষিয়ে দিন। এ বার জল ঝরিয়ে রাখা ডাল-চালের মিশ্রণ দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করে পরিমাণ মতো গরম জল দিয়ে দিন। এ বার ঢাকা দিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন। চাল-ডাল, কিমা সেদ্ধ হয়ে গেলে ঘি আর গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন।
ইলিশ খিচুড়ি: প্রথমে মাছের টুকরোগুলো পরিষ্কার করে নুন-হলুদ মাখিয়ে রেখে দিতে হবে। বাসমতি চালও ভাল ভাবে ধুয়ে নিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে মাছের টুকরোগুলো ভাল করে ভেজে তুলে নিন। তেলে মিহি করে কাটা পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা তৈরি করে রাখুন। এ বার মাছভাজার অর্ধেক তেল সরিয়ে নিন। ওই তেলের মধ্যেই দারচিনি, ছোট এলাচ এবং কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিন। জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিন। এ বার মাছের টুকরোগুলো আবার সেই তেলে দিন। একটু নাড়াচাড়া করে মাছটা তুলে রাখুন। সরিয়ে নিয়ে সেই মশলার মধ্যে ভিজিয়ে রাখা চালটা দিন। ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। ভাজা হয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল যোগ করে চাল সেদ্ধ করুন। স্বাদ মতো নুন আর চিনি দিয়ে দিন। চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে মাছ ভাজার বাকি তেল উপর দিয়ে ছড়িয়ে, ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে দিয়ে দিন ভাজা মাছও। উপর থেকে ভেজে রাখা বেরেস্তাও ছড়িয়ে দিন। এ বার মিনিট পাঁচেক চাপা দিয়ে রাখুন। ব্যস, ইলিশ পোলাও তৈরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy