একঘেয়ে নয়, বরং দই দিয়ে মুখরোচক অনেক কিছুই বানানো যায়। ছবি: ফ্রিপিক।
গরম অথবা ঋতু বদলানোর সময়ে যতটা সম্ভব হালকা খাবার খাওয়াই শ্রেয়। আর তার জন্য দইয়ের মতো উপকরণ আর কিছু নেই। প্রাতরাশ থেকে শেষপাতে মিষ্টিমুখ— দই সব সময়েই পুষ্টিকর। সকালে যদি হাতে সময় কম থাকে এবং পুষ্টিকর কিছু বানাতে হয়, তা হলে দই দিয়ে তৈরি এমন অনেক রেসিপি রয়েছে। মাখন বা মেয়োনিজ়ের প্রয়োজন নেই, দই দিয়েই এমন কিছু পদ তৈরি হয়ে যাবে, যা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যকর।
দই দিয়ে তৈরি কয়েকটি প্রাতরাশের রেসিপি জেনে নিন
দইয়ের স্যান্ডউইচ
পাউরুটির চার ধার কেটে নিন। একটি বাটিতে জল ঝরানো টক দই, গোলমরিচ গুঁড়ো, নুন, চিনি, পাতিলেবুর রস, শসা কুচি, ধনে পাতা কুচি, টম্যাটো কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন। দুটো পাউরুটির মাঝে পুরু করে স্যান্ডউইচের পুর ভরে গ্রিল করে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন স্যান্ডউইচ।
দই ভাত (কার্ড রাইস)
বাসি ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ইয়োগার্ট বা টক দই। তার মধ্যে দিন কুচোনো শসা এবং গাজর। উপর থেকে নুন, জিরে ছড়িয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তার মধ্যে গোটা সর্ষে, শুকনো লঙ্কা এবং কারিপাতার ফোড়ন দিন। গরম হয়ে গেলে কার্ড রাইসের উপর সেই ফোড়ন ছড়িয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
দধি-চূড়া
বাংলায় দই-চিঁড়ে এবং বিহারে দধি-চূড়ার মতোই সকালের জলখাবারে বাড়িতে পাতা দই, সঙ্গে চিঁড়ে এবং নারকেল কোরা দিয়ে সুস্বাদু পদ বানিয়ে নিতে পারেন। ওজন নিয়ে যাঁরা বেশি চিন্তা করেন, তাঁরা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে চান না। চিঁড়েয় কার্বোহাইড্রেট থাকলেও তার পরিমাণ কম। চিঁড়ের সহজপাচ্য ফাইবার হজমে সাহায্য করে, আর তার সঙ্গে যখন প্রোবায়োটিক হিসেবে দই মিশবে, তখন তার পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যাবে।
দই কবাব
মুখরোচক কিছু খেতে ইচ্ছে হলে বানিয়ে ফেলুন দই কবাব। একটি বাটিতে সারা রাত ধরে জল ঝরিয়ে রাখা টক দইয়ের সঙ্গে একে একে বেসন, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, আদা বাটা, গরমমশলা গুঁড়ো, ভাজা জিরে গুঁড়ো, চাটমশলা, নুন, চিনি, বাদাম মিশিয়ে ভাল করে মেখে মণ্ড তৈরি করুন। দু’হাতে সামান্য ময়দা নিয়ে মণ্ড থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে কবাবের আকারে গড়ে নিন। এ বার পাত্রে তেল গরম করে কবাবের দু’পিঠ লালচে করে ভেজে তুলে নিন। উপরে সামান্য চাটমশলা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy