নোনতামুখে হোক অতিথি আপ্যায়ন। ছবি: সংগৃহীত।
গালে সিঁদুর না ছোঁয়ালে আর মিষ্টিতে কামড় না বসালে বিজয় দশমী পালন হয় না। সিঁদুর খেলা নিয়ে উত্তেজনা থাকলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে মিষ্টি খেতে চান না অনেকেই। বিজয় দশমী করতে বাড়িতে এলে অনেকেই প্লেট ভরে মিষ্টি দেন। কিন্তু অধিকাংশই সেই রাশি রাশি মিষ্টি না খেয়ে সেখান থেকে কিঞ্চিৎ ভেঙে মুখে তুলে নেন। বিজয় দশমী আর মিষ্টিমুখ হাত ধরাধরি করে চললেও নোনতা খাবার কিন্তু একেবারে ব্রাত্য নয়। মিষ্টির বদলে অতিথির পাতে যদি বাড়িতে তৈরি অন্য স্বাদের খাবার দেন তা হলে উল্টো দিকের মানুষটি খুশিই হবেন। মিষ্টি ছাড়াও বিজয় দশমীতে অতিথি আপ্যায়নে আর কোন মুখরোচক খাবার রাখতে পারেন?
তন্দুরি কর্ন: প্রথমে ভুট্টগুলি টুকরো করে কেটে নিয়ে কুকারে সেদ্ধ করে নিন। এ বার একটি পাত্রে জল ঝরানো দই, নুন, হলুদ গুঁড়ো, লাল লঙ্কাগুঁড়ো, কসৌরি মেথি, লেবুর রস, আদা-রসুন বাটা, সর্ষের তেল নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ সেদ্ধ করে রাখা ভুট্টায় এই মশলা ভাল করে মাখিয়ে নিন। এ বার ভুট্টার টুকরোগুলি গ্যাসে সেঁকে নিন। উপর থেকে মাখন, লেবু আর চাটমশলা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন তন্দুরি ভুট্টা।
এঁচোড়ের কাটলেট: প্রথমে নুন, হলুদ দিয়ে এঁচোড় আর আলু সেদ্ধ করে নিন। তার পর ভাল করে জল ঝরিয়ে ভাল করে মেখে নিন। এ বার কড়াইয়ে তেল সামান্য গরম করে তাতে গরমমশলা গুঁড়ো দিয়ে আদা বাটা মিশিয়ে দিন। আদার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে হলুদ, জিরে আর লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে এঁচোড় আর আলুর মিশ্রণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি শক্ত হয়ে এলে একে একে লেবুর রস, গরমমশলা গুঁড়ো, ভাজা মশলার গুঁড়ো, স্বাদ মতো চিনি দিয়ে আরও কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। এ বার কড়াই থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। তার পর মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট মণ্ড বানিয়ে কাটলেটের আকার দিন। এ বার ময়দা আর জল দিয়ে বানানো ঘন মিশ্রণে ডুবিয়ে কাটলেটের গায়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে নিন। ডোবা তেলে ভেজে কাসুন্দির সঙ্গে পরিবেশন করুন এঁচোড়ের কাটলেট।
ওট্স কাবলি ছোলার পকোড়া: ভিজিয়ে রাখা কাবলি ছোলা এবং ওট্স একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এ বার ওই মিশ্রণের সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, টোম্যাটো কুচি, ধনেপাতা কুচি, নুন, চাট মশলা, গোলমরিচ গুঁড়ো, বিস্কুটের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এ বার ওই মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট পকোড়া গড়ে হালকা তেলে ভেজে নিন। ছুটির দিনে চায়ের সঙ্গে জমে যাবে এই পকোড়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy