মাখন খাঁটি না ভেজাল, ধরবেন কী ভাবে, জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
মাখন খেতে কে না ভালবাসে! প্রতি দিন সকালে টোস্ট হোক বা বাড়ির খুদে সদস্যের টিফিনের মাখন-পাউরুটি— কমবেশি সব পরিবারেই মাখনের বেশ চল আছে। আবার গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতে একটু মাখন ফেলে দিলে, মনে হয় অমৃত। বাড়িতে যে মাখন কিনে আনছেন তার মোড়কও নামী মাখন বিক্রয়কারী সংস্থারই থাকে। তাই সেটি খাঁটি না ভেজাল, তা একঝলক দেখে বোঝার উপায় নেই। আর এখন চারদিকে যা ভেজালের রমরমা, তাতে রোজের চাল, ডাল, মশলাপাতিতেও ভেজাল মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কাঁচা সব্জি টাটকা দেখাতে, সেখানেও রাসায়নিকের ব্যবহার হচ্ছে।
সম্প্রতি ভেজাল মাংস, দুধের মতো ভেজাল মাখনও ধরা পড়েছে অনেক জায়গায়। বাড়িতে যে মাখন কিনে আনছেন তাতে ভেজাল মেশানো কি না বুঝবেন কী ভাবে? নিজেই যাচাই করে নিন। কয়েকটি সহজ পদ্ধতি আছে।
মাখনে ভেজাল হিসাবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় বনস্পতি বা ডালডা। পাড়ার মোড়ে পাঁউরুটির উপর পুরু মাখনের প্রলেপ দিয়ে যে মুচমুচে টোস্ট বানিয়ে দেয়, তাতে খাঁটি মাখন থাকে না বেশির ভাগ সময়েই। ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসআই)’ জানাচ্ছে, রাস্তার থেকে কিনে যা খাবার খাচ্ছেন, তাতে খাঁটি মাখন বা ঘিয়ের ব্যবহার হচ্ছে না বেশিরভাগ জায়গাতেই। এমনকি, বাজার থেকে যে মাখন কিনে আনা হচ্ছে, তাতেও ভেজাল মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তা হলে খাঁটি মাখন চেনার উপায় কী?
এফএসএসআই জানাচ্ছে, আপনার কিনে আনা মাখনে তেমন কোনও ভেজাল আছে কি না তা দেখতে এক চামচ মাখন গলিয়ে কাচের স্বচ্ছ বয়ামে রাখুন। এ বার এই গলানো মাখনে যোগ করুন সমপরিমাণ মিউরিয়্যাটিক অ্যাসিড। বোতলের মুখ বন্ধ করে ঝাঁকান। কিছু ক্ষণ পর লক্ষ্য করুন, বয়ামের নীচে যদি লালচে আস্তরণ পড়ে যায়, তা হলে বুঝতে হবে কিনে আনা মাখনে ভেজাল রয়েছে।
একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে এক চামচ মাখন ফেলে দিন। এ বার ওই পাত্রে কয়েক ফোঁটা আয়োডিন মেশান। যদি দেখেন মাখনের রং বদলে বেগনি হয়ে গিয়েছে, তা হলে বুঝতে হবে ওই মাখনে স্টার্চ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যদি রং না বদলায়, তা হলে বুঝবেন সেই মাখন খাঁটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy