লং ড্রাইভে গাড়ি বর্ধমানের দিকে ছুটলেই হল! মনে মনে অধিকাংশ বাঙালিই ঠিক করে নেন শক্তিগড় থেকে ল্যাংচা কিনতে হবে। কিছু দোকানে দাঁড়িয়ে খাওয়া আর কিছু বিঘত মাপের ল্যাংচা বাড়ির জন্য প্যাক করে নিয়ে আসা। এটা মোটামুটি বাঁধা রুটিন থাকে ওই পথে বেড়াতে যাওয়া মানুষজনের। সে তিনি সাধারণ হোন বা তারকা। শক্তিগড়ের ল্যাংচার ইতিহাসে জুড়ে গিয়েছে লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ এমনকি, মহানায়ক উত্তম কুমারের নামও।
ফলে শক্তিগড়ের ল্যাংচা বাঙালির কাছে শুধু মিষ্টি নয়, খানিক নস্টালজিয়া। সেই মিষ্টি খেতে যদি লং ড্রাইভে যাওয়া নাও হয়, তবে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন।
কী ভাবে বানাবেন?
খুব সামান্য উপকরণে সহজেই বাড়িতে বানিয়ে নেওয়া যায় ঘি আর এলাচের গন্ধে মাতানো নরম ল্যাংচা। শিখে নিন প্রণালী।
উপকরণ:
চিনির রসের জন্য—
৩০০ গ্রাম চিনি
২ কাপ জল
১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো
২-৩ ফোঁটা লেবুর রস
ল্যাংচার জন্য—
১ লিটার ক্রিমযুক্ত দুধকে লেবুর রস দিয়ে কাটানো ছানা
১০০ গ্রাম খোয়া ক্ষীর
৩ টেবিল চামচ ময়দা
১ টেবিল চামচ সুজি
১ টেবিল চামচ চিনি
১ টেবিল চামচ ঘি
১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা
ভাজার জন্য ঘি অথবা সাদা তেল
প্রণালী:
প্রথমেই চিনির রস বানিয়ে নিন। একটি সস প্যান আঁচে বসিয়ে তাতে চিনি আর জল দিন। চিনি গলে গেলে সামান্য নাড়াচাড়া করে তার মধ্যে দিন এলাচ এবং লেবুর রস। ২-৩ মিনিট আঁচে রেখে তার পরে নামিয়ে নিন।
আরও পড়ুন:
এ বার একটি থালা বা কাঠের বারকোষে নিন ছানা (ছানা ব্যবহারের আগে ভাল ভাবে জল ঝরিয়ে নিতে হবে), ময়দা, সুজি, চিনি, ক্ষীর, ঘি, এলাচ গুঁড়ো এবং বেকিং সোডা। ভাল ভাবে সব উপকরণ মেখে নিন বেশ কিছু ক্ষণ ধরে। এই মিশ্রণ যত মিহি হবে তত নরম হবে ল্যাংচা।
ছানার মিশ্রণটি মাখতে মাখতে যখন দেখবেন তেল ছেড়ে আসছে, যে পাত্রে মাখছেন তার থেকে পরিষ্কার ভাবে উঠে আসছে ছানা, অর্থাৎ পাত্রে আর ছানার মিশ্রণ লেগে থাকছে না। তখন বুঝতে হবে মাখা ভাল ভাবে হয়ে গিয়েছে।
হাতে সামান্য ঘি লাগিয়ে ছানার মিশ্রণ থেকে এক একটি বল কেটে সেগুলিকে হাতের চাপে ল্যাংচার আকৃতি দিন। তার পরে একটি বা দুটি করে কড়াইয়ে ঘি বা তেলে ভাল ভাবে ভেজে নিয়ে রসে ফেলুন।
মনে রাখবেন ল্যাংচার চারপাশ যেন ভালো ভাবে লালচে ভাবে ভাজা হয়। ভাজা ল্যাংচা রসে ফেলে রাখতে হবে অন্তত এক ঘন্টা। তার পরে পরিবেশন করুন।