সজনে ফুল তো সারা বছর মেলে না, কিন্তু খুঁজলে প্রায় সব সময়েই বাজারে ডাঁটা পাওয়া যায়। তবে শুধু রান্নার উপকরণ বলে তো নয়, ডাঁটার অনেক গুণ। রোগ প্রতিরোধ শক্তি জোরদার করতে সাহায্য করে এই সব্জিটি। এই মরসুমে ভাইরাসঘটিত রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য নানা ছলে পাতে রাখা হয় ডাঁটার নানা পদ।
ডাঁটা ছাড়া শুক্তো প্রায় হয় না বললেই চলে। কিন্তু বসন্তকালে ডাল, ঝোল, চচ্চড়ি কিংবা পোস্ততেও এই সব্জিটি গুঁজে দেওয়া হয় ওই রোগ প্রতিরোধী শক্তি বৃদ্ধি করার জন্যই। তবে রোজ রোজ ডাঁটা দিয়ে ওই একরকম পদ খেতে তো ভাল লাগে না। তা হলে কী করবেন? সজনে ডাঁটা পুড়িয়ে তা দিয়ে ভর্তা বানিয়ে ফেলতে পারেন। সামান্য উপকরণে এবং অল্প সময়ে বানিয়ে ফেলা যায়, এমন একটি মুখরোচক পদ হল এই ভর্তা। রইল প্রণালী।
আরও পড়ুন:
উপকরণ:
৫-৬টি সজনে ডাঁটা
৩ চা-চামচ পোস্ত
২ চা-চামচ রাই সর্ষে
১ চামচ কালোজিরে
৩-৪টি কাঁচালঙ্কা
৩ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
এক চিমটে হলুদগুঁড়ো
স্বাদ অনুযায়ী নুন
আরও পড়ুন:
প্রণালী:
- ভর্তা বানাতে হলে ডাঁটাগুলি একটু পুরু হলে ভাল হয়। প্রথমে ভাল করে ডাঁটাগুলি ধুয়ে নিন।
- সর্ষে এবং পোস্ত অল্প জলে ভিজিয়ে রাখুন।
- তার পর গ্যাসে বা উনুনে সেগুলি পুড়িয়ে নিন। এমন ভাবে পোড়াতে হবে, যেন ভিতরের অংশ কালো হয়ে না যায়।
- একটু ঠান্ডা হলে এ বার ধীরে ধীরে ডাঁটার এক পাশের খোসা ছাড়িয়ে চামচের সাহায্যে ডাঁটার শাঁস চেঁছে বার করে রাখুন।
- অন্য দিকে সর্ষে, পোস্ত, কাঁচালঙ্কা ভাল করে বেটে নিন। হয়ে গেলে ডাঁটার শাঁসটাও বেটে নিতে হবে। শিলে বাটলে ভাল হয়। একান্ত না পারলে মিক্সিতে বাটতে হবে।
- কড়াইয়ে সর্ষের তেল দিন। একটু গরম হলে তার মধ্যে দিয়ে দিন কালোজিরে ফোড়ন।
- তেল একটু গরম হয়ে গেলে বেটে রাখা ডাঁটার শাঁস, সর্ষে-পোস্ত এক এক করে দিয়ে দিন। ভাল করে নাড়াচাড়া করুন।
- নুন, হলুদ দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। তেল ছাড়তে শুরু করলে নামিয়ে ফেলুন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন সজনে ডাঁটার ভর্তা।