পনির পকোড়ার স্বাদ বৃৃদ্ধিতে কোন কোন ধাপ অনুসরণ করতে হবে? ছবি: ফ্রিপিক।
সান্ধ্য চায়ের সঙ্গে টা হিসেবে হোক বা ভাতের সঙ্গে— গরম মুচমুচে পনির পকোড়া সব সময়ই খেতে ভাল লাগে। এটা রান্না করাও তেমন ঝক্কির নয়। তার পরেও কিন্তু সব সময় পকোড়া বানালে তা মুচমুচে হয় না। কোনও সময় পকোড়া তেলে ছাড়লে দেখা যায়, বেসনের মিশ্রণ পনির থেকে আলাদা হয়ে গেল, কখনও আবার সেই মুচমুচে ভাব থাকে না।
তবে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখলে পনির পকোড়ার স্বাদ সব সময়ই ভাল হতে পারে।
১. পকোড়ার প্রধান উপকরণ যে হেতু পনির, তাই এর গুণমানের উপর স্বাদ নির্ভর করে। পকোড়ার জন্য পনির খুব নরম হলে চলবে না। তা হলে ভেঙে যেতে পারে। আবার খুব শক্তও নয়। পনির হতে হবে হালকা নরম।
২. পকোড়ার স্বাদ বৃদ্ধিতে পনির মশলা মাখিয়ে রাখুন। নুন, গোলমরিচ, লঙ্কার গুঁড়ো, চাট মশলা, এমনকি ধনেপাতার চাটনিও পনিরে মাখিয়ে রাখতে পারেন।
৩. পকোড়া তৈরির জন্য বেসনের মিশ্রণটির ঘনত্ব এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, মিশ্রণটি খুব ঘন হলে পকোড়ার বাইরের আস্তরণ মোটা হবে, ভিতরটা কাঁচা থেকে যাবে। আবার তা বেশি পাতলা হলে পনিরের সঙ্গে আটকে থাকবে না, খুলে যাবে। মিশ্রণটি তৈরির সময় ২ কাপ বেসনের জন্য ১ টেবিল চামচ তেল মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, বেসন, নুন, জল, লঙ্কা গুঁড়োর মিশ্রণটি যেন মোলায়েম হয়।
৪. বেসন গুলে সঙ্গে সঙ্গে ভাজলে হবে না। অন্তত ১৫-২০ মিনিট সেটি রেখে দিতে হবে। এতে সামান্য খাবার সোডা মেশালে পকোড়া মুচমুচে হবে।
৫.তেলের তাপমাত্রাও এ ক্ষেত্রে জরুরি। ঠান্ডা তেলে যেমন পকোড়া ভাজা হবে না, তেমনই অতিরিক্ত গরম তেলে পকোড়া ছাড়লে তা পুড়ে যেতে পারে। ভিতরটা কাঁচা থেকে যাবে। তাই আঁচ বাড়িয়ে এবং কমিয়ে পকোড়া ভাজতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy