দোকানের মতো জিলিপি সহজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক বছর আগেও মেলা বলতে সাধারণ মানুষের মনে চড়ক আর রথের ছবিই ভেসে উঠত। তবে, এখন তো পাড়ার মোড়ে মোড়ে প্রায় প্রতি মাসেই কোনও না কোনও মেলা লেগে থাকে। কিন্তু, রথের মেলায় পাঁপড় আর জিলিপি খাওয়ার মজাই আলাদা।
রথের দড়িতে টান দিয়ে এক বার মেলায় ঢুঁ না মারলে কিছু একটা যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বাড়ির টুকিটাকি জিনিস কেনার মাঝে খানকতক জিলিপি না খেলেই নয়। তবে সন্ধ্যায় হঠাৎ বৃষ্টি এসে যদি জিলিপি খাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়, তা হলে কী করবেন? বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন সেই মিষ্টি। একটু চেষ্টা করলেই মেলার দোকানের মতো প্যাঁচ দিতে পারবেন। রইল সহজ রেসিপি।
উপকরণ
১ কাপ ময়দা
আধ চা চামচ বেকিং পাউডার
আধ কাপ টক দই
এক চিমটে ফুড কালার (হলুদ রং)
২ কাপ সাদা তেল
সিরা বানাতে কী কী লাগবে?
দেড় কাপ চিনি
এক কাপ জল
ছোট এলাচ ২টি
সামান্য কেশর
প্রণালী
প্রথমে একটি পাত্রে ময়দা এবং বেকিং পাউডার ভাল করে মিশিয়ে নিন।
এর মধ্যে দিন টক দই। জিলিপির মিশ্রণের ঘনত্ব কেমন হবে, সেই বুঝে জল দেবেন। খেয়াল রাখতে হবে, ময়দার মিশ্রণ যেন খুব পাতলা না হয়।
অন্য দিকে কড়াইয়ে জল এবং চিনি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিতে হবে। দু’টি ছোট এলাচ থেঁতো করে সিরার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে।
সিরা ঘন হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে উপর থেকে সামান্য কেশর ছড়িয়ে দিন।
অন্য কড়াইয়ে তেল গরম করতে দিন। গরম হয়ে গেলে গ্যাসের আঁচ একেবারে কমিয়ে দেবেন।
এ বার পাইপিং ব্যাগে ময়দার মিশ্রণ ভরে ফেলুন। পাইপিং ব্যাগ না থাকলে দুধের প্যাকেট ব্যবহার করতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে প্লাস্টিক প্যাকেট পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে ময়দার মিশ্রণ ভরে নিন। মেহন্দির ‘কোন’-এর মতো করে প্লাস্টিক প্যাকেটের একটি কোণ কেটে জিলিপির প্যাঁচ দিতে হবে।
খেয়াল রাখবেন, জিলিপি ভাজার সময়ে আঁচ যেন খুব বেশি না থাকে। এ বার কড়াইয়ের মধ্যে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জিলিপির প্যাঁচ দিন।
খুব কড়া করে ভাজতে হবে না। বেশি ভাজা হয়ে গেলে আবার রস ভিতরে ঢুকবে না। দু’পিঠ ভাল মতো ভাজা হলেই তেল থেকে তুলে সোজা চিনির সিরার মধ্যে দিয়ে দিন।
মিনিট পাঁচেক জিলিপিগুলো রসের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। জিলিপি ভাজা এবং রসের মধ্যে ডোবানো— এই দু’টি বিষয় খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে, রস যেন একেবারে ঠান্ডা না হয়ে যায়।
চিনির রস থেকে জিলিপি তুলে প্লেটে সাজিয়ে নিলেই কাজ শেষ। চাইলে উপর থেকে পেস্তাবাদামের কুচি ছড়িয়ে নিতে পারেন। খেতে তো ভাল লাগবেই, দেখতেও মন্দ হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy