শরীর ঠান্ডা হবে খসের শরবতে। ছবি: শাটারস্টক।
জাঁকিয়ে পড়েছে গরম। মাঝেমধ্যে অল্পস্বল্প বৃষ্টি হলেও দিনের সূর্যের চোখ রাঙানিতে হাঁসফাঁস অবস্থা। এই গরমে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকে বাঁচতে মশলাজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে পানীয়ের উপরেই নির্ভর করতে হয় বেশির ভাগ সময়ে। এই সময়ে আমপোড়া শরবত, বেলের শরবত কিংবা লেবুর শরবত প্রায়ই খাওয়া হয়। স্বাদ ও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এ বার বানিয়ে ফেলতে পারেন খসের শরবত।
ভাবছেন তো, খস আবার কী? খস হল এক প্রকার সুগন্ধি ঘাস, যার মূলের অংশেও সুগন্ধ আছে। তামিল শব্দ ‘ভেট্টিভেরু’ থেকে খস শব্দটি এসেছে। এর অর্থ হল মূলের গোড়ার অংশ। সাধারণত উত্তর আর দক্ষিণ ভারতে বিভিন্ন জায়গায় এই ঘাসের হদিস মেলে। বাজারে যে খসের সিরাপ পাওয়া যায়, তার রং সাধারণত সবুজ হয়। তবে আসলে খসের শরবতের রং সবুজ হয় না, খানিকটা বাদামি রঙেরই হয়। বাজারের খসের শরবতে সবুজ ফুড কালার মেশানো থাকে। গরমের দিনে খসের শরবত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে, হজমও ভাল হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও খস দারুণ উপকারী। ত্বকের জন্য নিয়মিত খস খাওয়া ভাল। চুল পড়া বন্ধ করতেও এই শরবত দারুণ উপকারী।
কী ভাবে বানাবেন খসের শরবত?
বাজারে একটু খোঁজ করলেই খসের হদিস মিলবে। খস কিনে আনার পর ভাল করে ধুয়ে নিয়ে একটি ননস্টিক কড়াইয়ে জলের ভিতর ফোটাতে হবে। ফোটানোর সময়ে বেশ খানিকটা চিনি দিতে হবে। মিনিট ২০ ফোটানোর পর হেঁশেল কিন্তু সুগন্ধে ভরে যাবে। তার পরে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে খসের শরবত। মিশ্রণটি ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। আরও খানিকটা জমে যাবে সেই মিশ্রণ। শরবত খেতে ইচ্ছে করলে একটি গ্লাসে ৩ চামচ সিরাপ ঢেলে দিয়ে, কয়েকটি বরফ দিয়ে জল মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে খসের শরবত। বাজারে খস না পেলে সিরাপ দিয়েও তৈরি করে ফেলতে পারেন এই শরবত।
খস শরবত তৈরি ছাড়াও সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। শ্যানেল ও আরমানির সুগন্ধিতেও ব্যবহার করা হয় খস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy