ইলিশের ট্রামফ্রাডো। ছবি: ‘লস্ট অ্যান্ড রেয়ার রেসিপিজ়’
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন অনেক বাড়িতেই ‘অরন্ধন’ উৎসব পালিত হয়। সেই উপলক্ষে বাজারে ইলিশের একেবারে রমরমা চলে। ভাপা, ঝোল, ঝাল, ভাজা— ইলিশের কোনও পদই বাদ দেওয়ার নয়। তবে হাতে সময় থাকলে মাঝেমধ্যে রান্নাবান্না নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ইচ্ছে হয়।
রান্না নিয়ে গবেষণার চল তো নতুন নয়। বলতে গেলে সেই কাজের পীঠস্থান ছিল কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। বাংলার ইলিশে বর্মার ছোঁয়া দিয়ে সেই বাড়ির হেঁশেলেই প্রথম তৈরি হয় নতুন একটি পদ, নাম ‘ইলিশ ট্রামফ্রেডো’। এই পদটি রাঁধা যে খুব কঠিন, তা-ও নয়। সুদূর বর্মা থেকে মশলাপাতি আনারও প্রয়োজন নেই। সামান্য কিছু উপকরণ দিয়েই রেঁধে ফেলতে পারেন এই পদটি। রইল প্রণালী।
উপকরণ:
৪ টুকরো: ইলিশ মাছ
২ টেবিল চামচ: তেল
আধ কাপ: পেঁয়াজ কুচি
১ কাপ: নারকেলের দুধ
দেড় টেবিল চামচ: আদাবাটা
২ টেবিল চামচ: ঘি
আধ চা চামচ: হলুদ গুঁড়ো
আধ চা চামচ: লঙ্কাগুঁড়ো
বড় ১ টুকরো: দারচিনি
৩টি: ছোট এলাচ
২ টুকরো: জায়ফল
৪টি: লবঙ্গ
৪টি: কাঁচালঙ্কা
১ টেবিল চামচ: গন্ধরাজ লেবুর রস
পরিমাণ মতো নুন
সামান্য চিনি
প্রণালী:
ইলিশ মাছ ভাল করে ধুয়ে এক চিমটে নুন, হলুদ মাখিয়ে রাখুন।
এ বার কড়াইয়ে অল্প তেল এবং ঘি গরম করে নিন।
তার মধ্যে গোটা গরমমশলা এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন।
আদা বাটা, সব রকম গুঁড়ো মশলা, নুন এবং চিনি মিশিয়ে মিনিট দুয়েক নাড়াচাড়া করে নিন।
চিনি গলে গেলে কড়াইতে নারকেলের দুধ দিয়ে দিন। চাইলে সামান্য জলও দিতে পারেন।
এ বার ঝোল একটু ঘন হয়ে এলে মাছগুলি খুব সাবধানে কড়াইয়ে দিয়ে দিন। মিনিট দুয়েক ঢাকা দিয়ে রান্না করুন।
তার পর মাছের পিঠ উল্টে দিন। আরও দু’মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন।
হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। নামানোর আগে উপর থেকে গন্ধরাজ লেবুর রস ছড়িয়ে দিলেই কাজ শেষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy