রকমারি সব্জি ও ফল খাবারে মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন রকমারি পদ। ছবি: সংগৃহীত।
শরীর ভাল রাখার জন্য সব্জি ও ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এতে থাকে নানা রকম ভিটামিন ও খনিজ। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হাড় শক্ত রাখা থেকে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভাল রাখতে নানা ধরনের শাক ও সব্জিতে থাকা ভিটামিনের বিভিন্ন ভূমিকা আছে। কিন্তু অনেকেই সব্জি খেতে পছন্দ করেন না। বিশেষত অনেক শিশুই ফল দেখলে ছুটে পালায়। এ দিকে ফল ও সব্জি বাদ পড়লে, পুষ্টিও ঠিক মতো হবে না। তবে খানিক বুদ্ধি খরচ করলে রোজের খাবারের মধ্যেই নানা রকম ফল ও সব্জি মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। শুধু জানতে হবে পদ্ধতি।
স্মুদি
শুধু যে ছোটদের ফল খেতে অনীহা থাকে তা নয়, অনেক সময় বড়রাও তা খেতে চান না। তবে যদি রকমারি ফল দিয়ে স্মুদি বানিয়ে নেওয়া যায়, তা হলে কিন্তু খেতে তেমন সমস্যা হবে না। ওট্সের সঙ্গে আপেল, কলা, খেজুর, বাদাম নিয়ে স্মুদি বানিয়ে নিতে পারেন। আপেল কলা পছন্দ না হলে আম, স্ট্রবেরিও মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
রুটি
পালং শাক দেখলেই খুদে পালায়? বিট দেখলেও তাই! ছোট হোক বা বড়, সকলেরই কিন্তু রঙের প্রতি আকর্ষণ থাকে। বিশেষত শিশুরা রঙিন খাবার দেখলে আকৃষ্ট হয়। রুটি করার সময় আটার সঙ্গে পালং শাক ভাপিয়ে তা বেটে মিশিয়ে নিতে পারেন। কিংবা দিতে পারেন বিটের রস। পালংশাক দিলে রুটির রং সবুজ হবে, বিটে হবে লাল। রঙিন রুটি দেখলে যে কেউ খেয়ে নেবে।
ফলের চাট
ফল নিয়ে অনীহা থাকলে টুকরো করে রকমারি ফল কেটে তাতে চাটমশলা ছড়িয়ে একটি কাঠিতে গেঁথে নিতে পারেন। ফলের তালিকায় আপেল, কলা, আঙুর, স্ট্রবেরি— যা ইচ্ছা রাখতে পারেন। ফলের সঙ্গে খাওয়ার জন্য সসের জায়গায় রাখতে পারেন ইয়োগার্ট বা হামাস।
বেকিং
কেক খেতে সকলেই পছন্দ করে। বাড়িতেই রকমারি সব্জি দিয়ে বেকিং করতে পারেন। কলা দিয়ে প্যান কেক বানিয়ে নিতে পারেন। আবার কাপ কেকে মিশিয়ে নিতে পারেন গাজর। কিশমিশ ও বাদামও স্বাস্থ্যকর। এই সমস্ত কিছুর মিশেলে কেক বানালে বাড়তি পুষ্টিগুণ যুক্ত হবে।
ফ্রায়েড রাইস
সাদা ভাতের বদলে ফ্রায়েড রাইস করে তাতে রকমারি সব্জি যোগ করা যায়। ক্যাপসিকাম থেকে ব্রকোলি, বাঁধাকপি, গাজর, ফুলকপি পছন্দ মতো সব্জি মিশিয়ে দেওয়া যায়। চাউমিন হোক বা পাস্তা, বেশ কিছু সব্জি যোগ করলে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
কাস্টার্ড
কাস্টার্ডও শেষ পাতে খেতে বেশ লাগে। বেদানা থেকে আপেল, আঙুর, পছন্দের টাটকা ফল কাস্টার্ডে যোগ করতে পারেন। প্রয়োজনে কাস্টার্ডের পরিমাণ কম রেখে বেশি ফল দিলে পুষ্টি বেশি মিলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy