চা বানানোর সঠিক উপায়টি জানা আছে কি? ছবি: শাটারস্টক।
ঘুম থেকে উঠেই চায়ের কাপে চুমুক না দিলে সকাল শুরু হয় না অনেকের। অফিসে কাজ করতে করতে ক্লান্ত লাগলে চা-ই ক্লান্তি কাটানোর একমাত্র উপায়। পাড়ার ঠেকে বন্ধুদের সঙ্গে জমাটি আড্ডায় হোক কিংবা সন্ধ্যাবেলায় অফিস থেকে বাড়ি ফিরে শরীর ও মন দুই-ই চনমনে রাখতে চায়ের বিকল্প পাওয়া মুশকিল। অনেকেই ভাবেন চা বানানো বোধ হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ কাজগুলির মধ্যে একটি। এ ধারণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। চা বানালেই হল না! সুস্বাদু চায়ের স্বাদ নিতে হলে বানানোর সময় কিছু উপায় মেনে চলা প্রয়োজন। গরম জলে চা পাতা ঠিক কত ক্ষণ ধরে ভিজিয়ে রাখবেন, কত ক্ষণ ধরে ফোটাবেন তার উপর নির্ভর করছে চায়ের স্বাদ ও গন্ধ ঠিক কেমন হবে।
গুঁড়ো চা: অনেকেই আছেন, যাঁরা গুঁড়ো চা পাতা কিংবা সিটিসি চা পাতা দিয়েই দুধ চা আর কালো চা দুটোই তৈরি করেন। বলে রাখা ভাল, গুঁড়ো চা দিয়ে কিন্তু লাল চা না বানানোই ভাল। এই পাতা কেবল ভিজিয়ে খেলে স্বাদ আসে না, দুধ ও জলের সঙ্গে ফুটিয়ে খেলেই এই পাতার স্বাদ বাড়ে। সঙ্গে আদা, দারচিনি, এলাচের মতো মশলা দিয়ে ফোটালে আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায় চায়ের স্বাদ।
পাতা চা: বাজারে বিভিন্ন ধরনের পাতা চা পাওয়া যায়। তবে সিঙ্গল লিফ ফার্স্ট ফ্লাশের কদর কিন্তু সবচেয়ে বেশি। দামও আকাশছোঁয়া। শীতের মরসুমে যে প্রথম সবুজ রঙের কচি কচি পাতা ওঠে, তা স্বাদে এবং গন্ধে মরসুমের যে কোনও সময়কে পিছনে ফেলে দেয়। চা বাগান পত্তনকারী সাহেবরা যে পাতার নাম রেখেছিলেন ফার্স্ট ফ্লাশ। আর ফার্স্ট ফ্লাশের এক গুচ্ছ পাতার মাঝে যে পাতাগুলি একক থাকে তার স্বাদ আরও বেশি। তবে এই চা কিন্তু ফুটন্ত জল দিয়ে দিলে স্বাদ বিগড়ে যায়। গ্যাস বন্ধ করে মিনিট খানেক অপেক্ষা করে তার উপর চা পাতা মিনিট চার-পাঁচেক ভিজিয়ে রাখুন। তার পর ছেঁকে পরিবেশন করলেই এর আসল স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।
গ্রিন টি: এই চা-ও পাতা চায়ের কায়দাতেই বানিয়ে ফেলা যায়। তবে আপনি যদি খোলা পাতার গ্রিন টি ব্যবহার করেন, তা হলে দু’মিনিটের বেশি ভিজিয়ে রাখবেন না। আর টি ব্যাগের ক্ষেত্রে এক মিনিটের বেশি ভিজিয়ে রাখলেই স্বাদ কষাটে হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy