বিজয়া সারতে আসা অতিথিকে পাতপেড়ে খাওয়ানোর রীতি আজকের নয়। মহাকাব্যিক উদাহরণ টানলে মহাভারতেও এমন আনুষ্ঠানিক রীতির বর্ণনা মেলে। সেখানে ‘বিজয়া’ শব্দের তেমন উল্লেখ নেই ঠিকই, কিন্তু মিষ্টান্ন দিয়ে অতিথিবরণের জন্য আলাদা দিনক্ষণের উল্লেখ আছে। তাই মিষ্টি একা বাঙালির নয়, আপামর ভারতবাসীর কাছেই অতিথিতুষ্টির অন্যতম রসদ।
বাঙালি জীবনে মিষ্টি গিয়ে আপ্যায়ণের প্রথা আজও অটুট। আধুনিকতার ছোঁয়াচ লেগে সেই খাতিরে যোগ হয়েছে কিছু নোনতা স্বাদ, লোভনীয় কিছু ভাজাভুজিও। মিষ্টিদের পাশে সসম্মানে প্লেটে জায়গা করে নিয়েছে নিমকি, শিঙাড়া, ফিস ফ্রাই, কাটলেটরা।
কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস, ক্যালোরি সচেতনতার যে ঝাপট বাঙালির আতিথ্যের ঘরে এসে বসেছে, সেখানে কেবল মিষ্টির কথা বলে লাভ কী! মিষ্টির বদলে অন্য কিছুতেই সেখানে ভরসা খুঁজে নিচ্ছেন গৃহস্থ ও অতিথি উভয়েই। তবে অন্য কিছুর তালিকায় কেনা খাবার সরিয়ে অতিথির প্রতি আরও একটু আন্তরিকতার ছোঁয়াচ আনুন সযত্নে। রইল এমনই এক রেসিপির সন্ধান, যা এই উৎসবের আবহে অতিথির পাতে আনবে চমক, রসনায় আনন্দ।
আরও পড়ুন: বিজয়ার আড্ডায় পাতে থাকুক বীরমল্ল মাটন
মাছের কচুরি:
অধিকাংশ বাঙালিই কমবেশি মাছ ভালবাসেন। তাই মাছের কচুরি দিয়েই মন জিতে নিন অতিথির। জেনে নিন বাড়িতেই কী ভাবে বানিয়ে নেবেন এই পদ।
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরি মাটনের এমন স্বাদেই বদলে দিন ছুটির দিনের মাংস-ভাত!
প্রণালী:
ময়দা ঘি ও নুন দিয়ে বেশ আঁট করে মাখুন। কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও লঙ্কা কুচি একসঙ্গে দিন। অল্প ভাজা হলে কাঁটা ছাড়িয়ে বেছে রাখা মাছ দিন ও স্বাদ মতো চিনি, নুন ও কিশমিশ দিয়ে নাড়তে থাকুন। মাখো মাখো ও ভাজা ভাজা হলে গরম মশলা ও গোলমরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল মাছের পুর। এবার ময়দা থেকে লেচি করে পুর ভরে দিন লেচির মধ্যে। একটু বড় আকারের লুচি বেলে ধারগুলো সুন্দর ভাবে মুড়ে দিন, যাতে ভাজার সময় পুর বেরিয়ে না যায়। ডুবো তেলে হালকা আঁচে গরম গরম ভাজুন মাছের কচুরি। যে কোনও তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করুন এই পদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy