লকডাউনে বিকেলের খাবারে কিন্তু চাইলেও বাইরের চপ-কাটলেট বা ফাস্ট ফুড খাওয়ার উপায় নেই। সংক্রমণের ভযে কমবেশি সকলেই বিশেষজ্ঞদের কথা মেনে বাইরের খাবারে রাশ টেনেছেন. কিন্তু খিদে সে সব শুনলে তো! জিভও অবাধ্য। তারও চাই আগের মতোই মুখরোচক কিছু. একঘেয়ে ঘরের খাবারের চেয়ে য়া কিছুটা অন্য রকম।
এ দিকে লকডাউনে সব রকম উপকরণ হাতের কাছে পাওয়া ভার। তাই চা বা কফির সঙ্গে মনের মতো কোনও পদ বানিয়ে নিতে চাইলেও সব উপকরণসব সময় জোগান নাও পেতে পারেন। তাই এমন খাবার রান্না করুন, যা স্বাদেও ভাল আবার উপকরণও সহজলভ্য।
এমনিতেই মাছ বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার। নানা ভাবে বিভিন্ন মাছকে সে রান্নার জাদুতে স্বাদু বানাতে ওস্তাদ। বাঙালির পাতে যদি ভেটকির কাঁটাবিহীন টুকরো পড়ে— তা হলে সে পদ সে চেটেপুটে খায়। সহজ পদ্ধতিতে ও সহজলভ্য কিছু উপাদানেই তাই শিখে নিন ভেটকির কুড়কুড়ে।
আরও পড়ুন: ভেটকি পাতুরি সহজে বানিয়ে নেওয়ার উপায় খুঁজছেন? রইল সমাধান
উপকরণ:
ভেটকির ফিলে: ১৫০ গ্রাম
আদা-রসুন বাটা: ১০ গ্রাম
গোলমরিচ গুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
লঙ্কা গুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী
জিরে গুঁড়ো: ৫ গ্রাম
গোটা জোয়ান ভাঙা: ৫ গ্রাম
ডিম: একটি
চাট মশলা: সামান্য
সাদা তেল
পাতিলেবু: একটি
ময়দা
কর্নফ্লাওয়ার
চালের গুঁড়ো
আরও পড়ুন: মুচমুচে কবিরাজি কাটলেটের সঙ্গে জমে উঠুক চায়ের আড্ডা!
প্রণালী:
মাছের ফিলে কেটে নিন ফিশ ফিঙ্গারের মতো। মাছ ভালো করে ধুয়ে শুকনো করে নিন। পাতিলেবুর রস বা ভিনিগার মাখিয়ে রেখে দিন ৩০ মিনিট। এ বার এতে আদা-রসুন বাটা, জিরে গুঁড়ো, জোয়ান গুঁড়ো, গোলমরিচ, নুন মাখিয়ে নিন। ঝাল কতটা খাবেন, সেই অনুপাতে লঙ্কা গুঁড়ো দিন। চাইলে ভাজা মশলাও দেওয়া যেতে পারে। ম্যারিনেশন শেষ হলে রেখে দিন আরও মিনিট দশেক। এর উপর অল্প ময়দা ও তার দ্বিগুণ কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে মাছগুলোকে আরেক বার উল্টেপাল্টে দিন। এ বার একটি পাত্রে ডিম ফেটিয়ে রাখুন। মাছের টুকরোগুলো ডিমের গোলায় ডুবিয়ে ডুবো তেলে বেজে নিন। মুচমুচে করার জন্য ময়দা ও কর্নফ্লাওয়ারের সঙ্গে একটু চালের গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। ছাঁকা তেলে কুড়কুড়ে করে ভাজার পর চাট মশলা ছড়িয়ে সস ও আর স্যালাডের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy