মাখন দিয়ে রকমারি খাবার। ছবি: সংগৃহীত
গরম ভাত হোক বা গরম স্যুপ, উপরে এক টুকরো মাখন ফেলে দিলেই স্বাদ ও গন্ধ বদলে যায়। কেক ও কুকিজ় থেকে কফির স্বাদ বাড়াতেও মাখন অপরিহার্য। কিন্তু জানেন কি, এই মাখন দিয়ে যেমন রকমারি রান্না করা যায়, তেমনই মাখনও নানা ভাবে রান্নায় ব্যবহার করা যায়। মাখন দিয়েও রান্না করা যায়, আবার খাবারের উপরে মাখন দিলে স্বাদ হয় অন্য রকম। সাধারণত, নুন-যুক্ত ও নুন-হীন দু’ধরনের মাখন পাওয়া যায়। তবে এই মাখনেও রকমারি উপকরণ মিশিয়ে স্বাদ বৃদ্ধি করা যায়।
‘ব্রাউন বাটার’
খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও বর্ণ অন্য রকম করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ‘ব্রাউন বাটার’। পাত্রে অনেকটা বাজারচলতি মাখন নিয়ে গরম করতে হবে। মাখন ফুটতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে ক্রমাগত নাড়তে হবে। বেশ কিছু ক্ষণ পর রং বদলে বাদামি হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে। কুকিজ় থেকে কেক বানানোর ব্যাটারে ‘ব্রাউন বাটার’ ব্যবহার করলে স্বাদ বৃদ্ধি পায়, দেখতেও সুন্দর হয়।
বাড়তি স্বাদ ও গন্ধ
মাখনের মধ্যে রকমারি উপাদান মিশিয়েও এর স্বাদ-গন্ধ বৃদ্ধি করা যায়। তার পর তা ব্যবহার করা যায় বিভিন্ন ভাবে। যেমন ফ্রিজে রাখা ক্র্যানবেরি ছোট ছোট করে কুচিয়ে, হালকা নরম মাখনের সঙ্গে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে পারেন। এর সঙ্গে দিতে পারেন ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ কমলালেবুর রস। পাউরুটির উপরে এ রকম ‘ফ্লেভার্ড বাটার’ মাখিয়ে দিলে স্বাদ বদল হবে।
ভেষজ মাখন
রসুন, পাতিলেবুর রস, অরিগ্যানো, শুকনো ভেষজ, ধনেপাতা এগুলোর মধ্যে যে কোনও জিনিস মিশিয়ে মাখনের স্বাদ বৃদ্ধি করা যায়। রসুন, সামান্য পাতিলেবুর রস ও অরিগ্যানো মেশানো মাখন পাঁউরুটিতে লাগিয়ে উল্টেপাল্টে সেঁকে নিলে সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন ‘গার্লিক ব্রেড’। আবার রসুন, ধনেপাতার মেশানো মাখন দিয়ে সব্জি হালকা ভাপিয়ে সাঁতলে নিতে পারেন।
কফিতে মাখন
কফি খুব জনপ্রিয় পানীয়। প্রতি বাড়িতেই হয়। কিন্তু এই কফিতেই এক টুকরো মাখন মিশিয়ে দিলে স্বাদ বদলে যাবে। একটি কাপে এক টুকরো মাখন নিয়ে তাতে কফির পাউডার ও চিনি খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। তার পর ফুটিয়ে রাখা ঘন গরম দুধ যোগ করলেই সুন্দর কফি তৈরি হয়ে যাবে।
মাখন দিয়ে রকমারি সস্
কড়াইতে মাখন গরম করে, তার মধ্যে কিছুটা ময়দা দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। ময়দা ভাল ভাবে সাঁতলে নিয়ে ঈষদুষ্ণ দুধ ঢেলে আবার নাড়তে থাকুন। ঘন সাদা সস্ তৈরি হবে। এই সস দিয়ে পাস্তা থেকে স্প্যাগেটি বানিয়ে নিতে পারেন। মাখন দিয়ে রসুন সস্, লেবুর সস্ও বানিয়ে নেওয়া যায়। মুরগির মাংস থেকে মাছের রকমারি পদে এই ধরনের সস ব্যবহার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy