সুরশিল্পী: নিজের কাজের ঘরে প্রিয় পিয়ানোয় সঙ্গীত সৃষ্টিতে মগ্ন ভি বালসারা
শুনে আঁতকে উঠেছিলেন ভি বালসারা। বাজনা ছাড়াও গ্লাস, শিশি, ধাতু, পাথর, ঘণ্টি থেকে সুর তৈরির নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতেন যন্ত্রসঙ্গীতের এই জাদুকর। টাইপরাইটারে টাইপ করার খটাখট শব্দেও করতেন গানের সঙ্গে সুর-তালের সঙ্গত। আগামী পরশু তাঁর শতবর্ষের সূচনা।
বন্ধু উপদেশ দিয়েছিল, “যাচ্ছ যাও! কিন্তু ওখানে বাঙালিরা তোমাকে টিকতে দেবে না।”
শুনে ভিয়েস্তাপের উত্তর ছিল, “টিকতে না দিলে চলে আসব।”
তখনকার বোম্বের পার্সি পরিবারের শিক্ষক পিতার সন্তান ভিয়েস্তাপ কলকাতা চলে আসতে চান— সিদ্ধান্তটা অনেককেই বিস্মিত করেছিল। বোম্বেতে স্ত্রী-পুত্ররা আছে, সেখানে রোজগারও যথেষ্ট ভদ্রস্থ। অন্তত কলকাতায় গিয়ে এ রকম রোজগারের কাজ যে আবার জোগাড় হয়ে যাবে, তেমন সম্ভাবনাও নেই। যদিও বন্ধু-আত্মীয়রা জানেন, তাঁদের ভিয়েস্তাপ এমনই। তাঁর নামের অর্থ ‘তেজি ঘোড়া’। নামের মান যেন রাখতেই হবে তাঁকে! তাঁদের মনে আছে, ম্যাট্রিকুলেশনের কিছু দিন পরই ভিয়েস্তাপ বাড়ি থেকে পালিয়ে পুণে চলে গিয়েছিল। কাজের খোঁজে। সারা দিন কর্মসন্ধান, রাতে রেলের প্ল্যাটফর্মে ঘুম। পুলিশের তাড়া খেয়ে চলে যেতে হল কার্কি স্টেশনের শেডে। কাঠের বেঞ্চে শোওয়া, সঙ্গে উপরি পাওনা ঘুমপাড়ানি গান, মানে মশাদের সিম্ফনি। শেষমেশ কাজও একটা জুটল, মিলিটারি ক্যাম্পে ঘোড়াগুলোকে স্নান করানো। বেশি দিন বাইরে থাকা হল না। এ প্রসঙ্গে ভিয়েস্তাপের সরস মন্তব্য, ‘...অবশেষে আমি আবার বাড়িতে ফিরে এলাম, যা কি না সব ফ্রাসট্রেটেড যুবকরাই করে থাকে।’
কলকাতায় এসে ভিয়েস্তাপের নামের ‘ভি’ অক্ষরটা রইল শুধু। তাঁর সঙ্গে পদবি জুড়ে তিনি এই শহরের বুকে সুরের মূর্ছনা ছড়িয়ে দিয়েছেন ‘ভি বালসারা’ পরিচয়ে। ইশারায় নিজের নাম জানাতে দু’আঙুলে ভিকট্রি সাইন দেখাতেন বরাবর। ১৯৫৪ সালে তিনি একটা শার্ট আর প্যান্ট কাগজে মুড়ে কলকাতা চলে এসেছিলেন। পকেটে তিনটে টাকা। তখন মে মাসের শেষ দিক। বো স্ট্রিটে পার্সিদের গেস্ট হাউসে উঠেছেন, এর পর কী করবেন, জানা নেই। ঠিক করলেন জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে হবে। চললেন রেডিয়ো অফিস। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁকে পাওয়া গেল না। এক জন সহৃদয় ভদ্রলোক পৌঁছে দিলেন ন্যাশনাল অর্কেস্ট্রা-তে। সেখানে জ্ঞানপ্রকাশবাবু ব্যস্ত গানের রিহার্সালে। পরের দিন গানটির রেকর্ডিং। ভিয়েস্তাপকে সবাই মিলে এক রকম জোর করেই বসিয়ে দিলেন পিয়ানোয়। শিল্পী ছিলেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায় ও আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘অগ্নিপরীক্ষা’ ছবির গান। সুরকার অনুপম ঘটক।
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এক বার তাঁর প্রিয়ভাজন ভি বালসারাকে জেলের ভয় দেখিয়েছিলেন। গানের মিউজ়িক করতে গিয়ে জেলে যেতে হয়, এমন আশঙ্কার কথা শুনে আঁতকে উঠেছিলেন বালসারা সাহেব। তখনও বাংলা ভাষায় দক্ষতা আসেনি তেমন, পঙ্কজ মল্লিকের একটি পুরনো হিন্দি রবীন্দ্রসঙ্গীতের অর্কেস্ট্রেশন কানে লেগে আছে বালসারার। এ দিকে হেমন্ত-লতা জুটি রবীন্দ্রনাথের ‘তোমার হল শুরু’ গানটি রেকর্ড করবেন। ও দিকে বালসারা বাজাচ্ছেন মল্লিকমশাইয়ের ‘প্রাণ চাহে নয়ন না চাহে’ (প্রাণ চায় চক্ষু না চায়) শোনা সুরের আবহ। ধমক দিলেন হেমন্ত, ‘ওহে, নোটেশনে যা আছে, সেই মতো বাজাও। এটা রবীন্দ্রসঙ্গীত। অন্য সুর বাজালে বিশ্বভারতী জেলে পাঠাবে তোমাকে।’ জেলের ভয়েই হয়তো রবি ঠাকুরের গান দীর্ঘ দিন এড়িয়ে গেছেন ভি বালসারা। অথচ পরে রবীন্দ্রনাথের গান হয়ে উঠেছিল তাঁর প্রাণের আরাম। কলকাতার অক্রূর দত্ত লেনের ষোলো নম্বর বাড়ির একদা বাসিন্দা ছিলেন পঙ্কজ মল্লিক। সেই পঙ্কজ-মন্দির এক সময়ে হয়ে ওঠে বালসারা সাহেবের সাধনগৃহ। প্রতি রাতে ঘুমোবার আগে গুনগুন করে গাইতেন, ‘ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু।’ আশি জন মিউজ়িশিয়ানের এক বিরাট দল নিয়ে উপস্থাপন করেছিলেন ‘দেবতার গ্রাস’। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর হৃদ্যতা স্থায়ী হয়েছিল সাড়ে চার দশক।
এক বার তাঁর এক খুদে শিষ্যা সোমা (শাঁওলী সেন) তাঁর গুরুকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘রোজ সকালে এক ঘণ্টা ধরে পুজো করো আর বিড়বিড় করে মন্ত্র বলো। কী মন্ত্র বলো গো?’ ভি বালসারা উত্তর দিয়েছিলেন, ‘বড় আশা করে এসেছি গো, কাছে ডেকে লও।’
কলকাতায় যেখানেই থেকেছেন, ঘরের দেয়াল জুড়ে ছবি আর ছবি। মা সারদা, মহানায়ক উত্তমকুমার থেকে অকালপ্রয়াত সন্তান, সকলে যেন ঘিরে থাকতেন বালসারা সাহেবকে। পিয়ানোর উপর রাখা ছবিগুলির মধ্যমণি সলিল চৌধুরী। ছোট একটা রুমাল দিয়ে বাঁধানো ফটোটা রোজ মুছে নিজের কপালে বুলিয়ে নিয়ে বলতেন, ‘তোমার সব গুণ আমাকে দাও।’ বিকেলের প্রাত্যহিক কাজের অঙ্গ ছিল অকালপ্রয়াত দুই পুত্র আর প্রয়াত স্ত্রীর ছবির সামনে ধূপ জ্বালানো। জীবদ্দশায় এত শোক! কী করে সহ্য করলেন? সদা হাসিমুখ বালসারার উত্তর, ‘ওরা কম পাপ করেছে তাই আগে চলে গেছে। আমার পাপের ভান্ডার অফুরন্ত, তাই এত সহজে মুক্তি নেই।’ তাঁর বড় ছেলে মাত্র এগারো বছর বয়সে মারা যায়। ছেলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সেরে একেবারে ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে স্টুডিয়োয় হাজিরা দিয়েছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুদিনে নির্ধারিত অনুষ্ঠান বাতিল করেননি। বালসারা তাঁর দীর্ঘ দিনের যাপনসঙ্গীর স্মরণে সেই সন্ধ্যায় বাজিয়েছিলেন ‘পুরানো সেই দিনের কথা...’
কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় ফেল করে লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে দিয়েছিলেন ভিয়েস্তাপ আদের্শির বালসারা। তখন থেকেই যন্ত্রসঙ্গীতের প্রায় সমস্ত দিকে অন্তহীন প্রতিভা ও আগ্রহ নিয়ে ঝুঁকে পড়লেন। ‘কলেজ সোশ্যাল ফাংশনে বিভিন্ন রকম অর্কেস্ট্রা ফর্ম করার দিকে যত ঝোঁক ছিল, তার বিন্দুমাত্র উৎসাহ আমার পড়াশোনায় ছিল না’— আত্মজীবনী ‘জেগে থাকি সপ্তসুরে’ (অনুবাদ: শুক্লা ঘোষাল) গ্রন্থে লিখেছেন তিনি। নানা ধরনের গ্লাস, শিশি, ধাতু, পাথর, ঘণ্টি থেকে সুরেলা ধ্বনি তৈরির নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতেন। পাত্রগুলোর মধ্যে ভাঙা কিংবা গোটা মুগ বা মুসুর ডাল ভরে দেখতেন ধ্বনির তারতম্য। হরেক খালি শিশি জোগাড় করে তৈরি করেছিলেন ‘বটলফোন’, এই ভাবেই একের পর এক সৃষ্টি করেছেন ‘গ্লাসোফোন’, ‘স্টিলোফোন’, ‘বেলোফোন’। সাইকেলের বারোটা ঘণ্টি জোগাড় করে, একটা সাইকেলের বিভিন্ন জায়গায় রেখে, তার পর স্টেজে সাইকেল চালিয়ে সেগুলো থেকে সুরেলা সঙ্গীত তৈরি করতেন। তবে অতি আশ্চর্যের ব্যাপার ছিল টাইপরাইটারে তাল রাখার খেলা! মঞ্চে কোনও বিখ্যাত গানের সুর বাজানো হচ্ছে, তার সঙ্গে সমান লয় রেখে পুরো গানটি সাদা কাগজে টাইপ করতেন ভিয়েস্তাপ। টাইপিংয়ের শব্দটা কাস্টিনাট বা উডবক্সের মতো শোনাত। টাইপ করা গানের কাগজটি দেখে দর্শক বিস্মিত হতেন।
স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘আমার মাথায় খুব ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন রকমের পোকা কিলবিল করত। হারমোনিয়াম থেকে আরও কতরকম কায়দা বের করা যায়, এসব ভাবতাম।’ এই অনন্য অন্বেষাই পরবর্তী কালে তাঁকে যন্ত্রসঙ্গীতের একচ্ছত্র সম্রাট করে তুলেছিল।
লাল বাতির চক্করে পড়ে সঙ্গীত জীবনে এক বারই মাত্র নার্ভাস হয়েছিলেন। সেটা অবশ্য বোম্বে পর্বের প্রথম দিকে। তরুণ ভিয়েস্তাপ স্টুডিয়োয় অর্কেস্ট্রা পরিচালনা করছেন, সঙ্গীত পরিচালক মশাই সাউন্ডরুমে বসে শুনছেন। ঘরের লাল বাতিটা জ্বলে উঠলেই অর্কেস্ট্রা স্টার্ট করার কথা ভিয়েস্তাপের। যথাসময়ে আলো জ্বলে উঠল। কিন্তু না বুঝতে পেরে নার্ভাস ভিয়েস্তাপ হাঁ করে ওই আলোর দিকেই তাকিয়ে আছেন। ভাবছেন শুরু করার নির্দেশ তো এল না! সংবিৎ ফিরল বেশ কিছু ক্ষণ পরে, তত ক্ষণে পরিচালক মশাই চলে এসেছেন এই ঘরে। অথচ মাত্র ছয় বছর বয়সে বাবার স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে ফুট-হারমোনিয়াম বাজিয়ে মায়ের শেখানো গান গেয়েছিলেন। হাজার কয়েক দর্শক ছিল সে দিন প্রেক্ষাগৃহে। জীবনের সেই প্রথম মঞ্চানুষ্ঠানে কিন্তু একটুও নার্ভাস হননি ছোট্ট ভিয়েস্তাপ।
তাঁর ডান হাতের একটা আঙুল বাঁকা ছিল। সেটা ক্রিকেটার বালসারার স্মৃতি। উইকেটরক্ষক হিসেবেও এলাকায় বেশ সুনাম ছড়িয়েছিল। ক্রিকেটের বিরল ভক্তটি আশির দশকের প্রথম পর্ব পর্যন্ত কলকাতা বা মুম্বইয়ের কোনও টেস্ট ম্যাচ মিস করেননি। স্টেডিয়ামের উত্তাপ তাঁকে মুগ্ধ করত বলে রেকর্ডিং বা ফাংশন বাতিল করে দিয়েছেন একাধিক বার। ছাত্রজীবনে ব্যায়াম শিখতেন। টেমুরাস সরকারি নামে এক শিক্ষক তাঁকে শুধু ব্যায়াম শেখাতেন না, ভিয়েস্তাপকে বিদেশি সঙ্গীতের রেকর্ডও দিতেন হারমোনিয়ামে তুলে নেওয়ার জন্য। ব্যায়াম কেন্দ্রের প্রদর্শনীতে তাঁর দায়িত্ব থাকত ফুট-হারমোনিয়ামে আবহ সঙ্গীত বাজানোর। এ ছাড়াও মুম্বইয়ের সেন্ট জনস অ্যাম্বুল্যান্সের নিয়মিত সদস্য ছিলেন, স্কাউট ক্যাম্পফায়ারের মতো বহুবিধ বিষয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিতেন। কলেজের পড়া বন্ধ করার পর কিছু দিন মুম্বই হাইকোর্টে সহকারী ক্লার্ক-কাম-টাইপিস্টের কাজ করেছেন। সেটা ছাড়ার পর হয়েছিলেন পার্সি সমাজের অগ্নিমন্দির ট্রাস্টের সেক্রেটারি, আরও পরে এক মহিলা সমাজসেবিকার কাছে কাজ করা তাঁকে দিয়েছে বহুবর্ণের অভিজ্ঞতা, ‘একজন মানুষ কিছু লিখে যাচ্ছেন, এক কানে টেলিফোন ধরেছেন, অন্য কানে বসের নির্দেশ নিচ্ছেন এবং একই সঙ্গে সবার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কথার উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন— ওই সমাজসেবিকাই আমাকে একই সঙ্গে বহু কাজ করতে শিখিয়েছিলেন।’
‘দেশিকোত্তম’ ভি বালসারা বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে চল্লিশের বেশি ছায়াছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন, প্রায় একশো বারোটি বাংলা ছবির সঙ্গীত আয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে উনিশটির আবহসঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তাঁর অবদান নিয়ে কোনও চর্চাই হয়নি। নানা ক্ষেত্রে তাঁর আগ্রহ এতটাই তীব্র ছিল যে, যাত্রা-নাটক-পুতুলনাচের আবহেও তাঁর সৃজনশীল সত্তা নতুনের আস্বাদ পেতে চেয়েছে। সঙ্গীত-নাটক অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত বালসারা ‘পদ্মশ্রী’ বা ‘পদ্মভূষণ’ পাননি বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকেই। বালসারা সাহেবের ছায়াসঙ্গী উপেন দেবনাথ ছাড়াও তাঁর সঙ্গলাভে ধন্য তরুণ গোস্বামী, নীলোৎপল চক্রবর্তীদের বিস্ময়, “বহু বাঙালির থেকেও অধিক বাঙালি বালসারাজির নামে আজ পর্যন্ত কলকাতায় একটা রাস্তার নামকরণ হল না, ভাবতে পারেন!” ২০০৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পর আবেগতাড়িত হয়ে বাম সরকারের অধুনা প্রয়াত এক মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বালসারা সাহেবের স্মরণে মিউজ়িয়াম হবে। তবে সে সব এখন অতীত।
‘সারাদিন পিয়ানোয়, প্রবীণ আঙুলগুলি, খেলা করে/ বহুদিন আগে তিনি এসেছেন, আমাদের এ শহরে’— তাঁকে নিয়ে গান বেঁধেছিলেন কবীর সুমন। এই গান বালসারা সাহেব নিজের সংবর্ধনা মঞ্চে কবীর সুমনের কণ্ঠে শুনে আপ্লুত হয়েছিলেন। পরিচালক রবীন দে ‘তুমি রবে নীরবে’ তথ্যচিত্রে যত্ন, পরিশ্রম আর শ্রদ্ধায় তুলে আনতে সক্ষম হয়েছেন প্রবীণ শিল্পীর ‘আঁতের কথা’, সেখানে নিষ্পাপ চোখে বিখ্যাত হাসিটি মুখের সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়ে রসগোল্লা আর সর্ষে-ইলিশের অকৃত্রিম ভক্ত বৃদ্ধ বালসারা সাহেব বলছেন, ‘বাংলায় এত ভালবাসা পেয়েছি যে, তার কাছে সব পুরস্কার তুচ্ছ।’ বাইশের বাইশ, অর্থাৎ ১৯২২-এর ২২ জুন তাঁর জন্ম। প্রতি বছর জন্মদিনের সপ্তাহে অনুরাগীদের স্মরণে-আয়োজনে জ্বলে ওঠে ভালবাসার আলো। এ বারে ভিয়েস্তাপ বালসারা শতবর্ষে পা দিতে চলেছেন, অতিমারি-ভয়ার্ত বাঙালি নিশ্চয়ই ভুলে যাবে না এই বিরল সময়সূচনাটিকে সম্মান জানাতে।
কৃতজ্ঞতা: ভবেশ দাশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy