ছবি: দীপঙ্কর ভৌমিক।
স্বহস্তনির্মিত ধোসাটাকে চাটুর উপর থেকে অতি সাবধানে তোলার চেষ্টা করছিল রত্না। কলিং বেল বেজে উঠল তখনই। তমাল গিয়েছে স্নানে আর বুবলা প্রাণপণে কবিতা ক্লাসের কবিতা মুখস্থ করছে। অতএব রত্নাকেই যেতে হল দরজা খুলতে। দেখল দরজার ও পারে মস্ত চ্যাপ্টা মতো একটা প্যাকেট হাতে দাঁড়িয়ে আছে ওই ছেলেটা, যে গত কয়েক দিনে বেশ ক’বার আসা-যাওয়া করেছে তমালের কাছে। দরজা খুলতে এক গাল হেসে ফের তমালের সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানায় সে। বাইরের ঘরে তাই বসাতে হল তাকে।
তমালের আজ বেরনোর খুব তাড়া। ছেলেটা আসায় বিরক্তির ভাঁজ পড়ল কপালে। কিন্তু ভদ্রতা বড় দায়। মুখে হাসি টেনে বসার ঘরের দিকে দ্রুত এগোল তাই। কিছু ক্ষণ পরে সেখান থেকেই হাঁক পাড়ল রত্নাকে। সম্বর ডাল গরম করছিল রত্না। কড়াই নামিয়ে রেখে যেতে হল আবার। মস্ত মোড়কটার উন্মোচন চলছিল তখন। মোড়ক সরাতে দেখা গেল ফ্রেমে বাঁধানো একটা ছবি। ক্যানভাসের অনেকখানি জুড়ে একটা মেয়ের ছবি। উজ্জ্বল তেলরঙে আঁকা মডার্ন আর্ট। মানুষের চোখমুখ সাধারণত যে মাপে হয় এখানে তার ধার বড় একটা ধরা হয়নি। শুধু তাই নয়, মুখের রেখা বা রঙের পোঁচগুলো থেকে এটা বোঝাও বেশ কঠিন যে মুখের ভাবটা আনন্দের নাকি দুঃখের নাকি রাগের। শিল্পী বোধহয় নারীচরিত্র নিয়ে ‘দেবা না জানন্তি, কুতো মনুষ্যাঃ’ জাতীয় আপ্তবাক্যে বিশ্বাসী। ছবির পশ্চাদপটে দরজাখোলা খাঁচা, ভাঙা শিকল ইত্যাদির আভাসও আছে কিছু কিছু। মোটকথা, দর্শককে এ ছবির মর্মোদ্ধার করতে হলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তার উপর এ ছবির মর্মবাণী পাঁচ জনের কাছে পাঁচ রকমও হতে পারে। ছবির বাহক এ বার সলজ্জভঙ্গিতে জানাল, শিল্পকর্মটি তাঁর নিজের। ছবি আঁকা তার হবি। কোন এক গাড্ডা থেকে তমাল বুঝি তাকে উদ্ধার করেছে সম্প্রতি, তারই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এই শিল্প-প্রতিদান। ছেলেটা স্বভাবতই এ বার উৎসুক হল ছবি কেমন লেগেছে তাদের সেটা জানতে। এতটুকু সময় নষ্ট না করে তমাল তার স্বভাবসুলভ মাপা উচ্ছ্বাস দেখিয়ে বলে দিল, দারুণ! খুব সুন্দর এঁকেছ! তবে এটা কোথায় টাঙানো হবে সেটা কিন্তু হোম মিনিস্ট্রির ব্যাপার। এই বলে নজরটা দিল ঘুরিয়ে রত্নার দিকে। রত্না পড়ল আতান্তরে। ছবিটা মোটে পছন্দ হয়নি তার। স্নিগ্ধ স্নিগ্ধ ল্যান্ডস্কেপ অথবা সুবোধ্য ছবিই পছন্দ তার। এ ছবি একেবারে বিপরীত ঘরানার। কিন্তু কী করে সে! তারও তো আবাল্য ট্রেনিং ভদ্রতার। অতএব চোখে মুখে কথায় ভঙ্গিতে একটা উচ্ছ্বাস-ভরা আনন্দের বিজ্ঞাপন তুলে ধরল সেও। বলল, না না, ভারী সুন্দর ছবি! আমি নিশ্চয়ই টাঙিয়ে রাখব।
সে ছেলে বিদায় নিলে তমালকে শুধোল রত্না, ‘‘হ্যাঁ গো, ছবিটা কি টাঙাতেই হবে? আমার কিন্তু একটুও পছন্দ...’’
কথাটা শেষ হওয়ার আগেই মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে জানিয়ে দেয় তমাল, ‘‘তোমার ইচ্ছে হলে টাঙাবে। কোনও মাথার দিব্যি নেই।’’
হাঁপ ছেড়ে বাঁচল রত্না। বাড়িটাকে সাধ্য মতো আর নিজের পছন্দ মতো সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখে। তার রুচির সঙ্গে খাপ খায় না এমন একখানা ছবি টাঙাতে হলে মানসিক কষ্ট হত। কৃতজ্ঞ দৃষ্টিতে তাই সে তাকায় তমালের মুখের দিকে। সে মুখে অবশ্য বিরক্তির ভাঁজগুলো এখন আরও গভীর। দেরি হয়ে যাচ্ছে তার। ধোসা খেতে খেতেই টি-শার্ট গলাচ্ছে তখন তমাল। আর তাড়াহুড়োয় যা হয়, টি-শার্টের উপরের বোতামটা পটাং করে গেল ছিঁড়ে। নতুন জামা। মাত্র ক’টা দিন আগে তমাল নিজে কিনে এনেছে। বোতামগুলো যে আঁটা ছিল, তাড়াতাড়িতে সেটা খেয়াল করেনি বোধহয়। রত্না ছুটতে যাচ্ছিল ছুঁচসুতো আনতে। বাধা দিল তমালই। বোতাম সেলাই করানোর সময় নেই তার। টি-শার্টের উপরের বোতাম অনেকেই খোলা রাখে। ফিরতে একটু রাত হতে পারে, জানিয়ে বেরিয়ে গেল সে। বুবলাকে টাটা করতেও ভুলে গেল আজ।
এই যে রবিবারের সাতসকালে কোন এক অফিস কলিগের সঙ্গে মাছ ধরার প্রোগ্রামে যোগ দিতে ছুটল তমাল, এতে গিন্নি হিসেবে রাগত বিরক্ত ইত্যাদি অনেক কিছু হওয়ার হক ছিল রত্নার। কিন্তু হল না। হল না কারণ এই দিনটাতে নিজেই বাড়িতে থাকে না সে। বুবলাকে নিয়ে একটু পরেই বেরিয়ে পড়বে রত্না প্রায় সারা দিনের জন্য। পরপর তিনটে আলাদা আলাদা সেন্টারে বিভিন্ন বিদ্যায় বুবলা তুখড় হয়ে উঠতে থাকবে। তবে রত্নাও সেই সময়টা গালে হাত দিয়ে বসে বসে ঘণ্টাগত পাপক্ষয় করবে না। তিন জায়গাতেই তিনটে চমৎকার বন্ধুর দল তৈরি হয়ে গিয়েছে। যাদের সঙ্গে হাসি-আড্ডায় সময় কাটবে ওর। এই আড্ডাগুলোর জন্য সারা সপ্তাহ উন্মুখ অপেক্ষায় থাকে রত্না। যেহেতু রবিবার তার এমন কাটে, মনে মনে তাই একটু অপরাধবোধে ভোগে সে। আহা, তমালটা একা রইল বাড়িতে ছুটির দিনটাতে! আসলে ছেলেকে এই সব শেখানোর শখ বা ইচ্ছে সবটাই রত্নার। তমাল বেশ উদাসীন এ সব ব্যাপারে। আজ পর্যন্ত এক দিনও ছেলেকে এই স্কুলগুলোর কোনওটাতে পৌঁছে দিতে বা ফিরিয়ে আনতে যায়নি সে। বিরক্ত না হয়ে মাসে মাসে ফি দিয়ে যায় কিংবা এই সব শিক্ষাদীক্ষায় ছেলে কতখানি চৌকস হয়ে উঠল তার খবরটুকু মাঝে মাঝে যে নেয়, তাতেই কৃতার্থ রত্না।
অবশ্য বাবাদের বদলে রত্নার এই বন্ধু-গ্রুপের সব বাচ্চাদের মায়েরাই আসে ছেলেমেয়েদের নিয়ে। বাচ্চাগুলোকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার পরে মায়েদের শুধু যে আড্ডা শুরু হয় তা-ই নয়, খাওয়াদাওয়া ঘুরে বেড়ানো শপিং সবই চলে। ওদের মধ্যে একজনের ছোটখাটো একটা শাড়ির বুটিক আছে। সে তো গাড়ি বোঝাই পশরা এনে রীতিমতো ব্যবসাও করে ফেলে এই সুযোগে। বাকিরা যদি না-ও কেনে, ঘেঁটেঘুঁটে শাড়ি দেখার আনন্দটা উপভোগ করে নেয়। সব মিলিয়ে রবিবারগুলো জমজমাট রত্নার।
আজ আবৃত্তির ক্লাস শেষ করে টেবিল টেনিসের কোচিং সেন্টারে গিয়ে রত্না দেখল সেখানকার গ্রুপের এক জন, শমিতা যার নাম, আসেনি। শমিতা অল্প দিন হল তাদের গ্রুপে ঢুকেছে, কিন্তু হুল্লোড়বাজ স্বভাবের জন্য দলের একেবারে মধ্যমণি হয়ে উঠেছে সে। তাকে ছাড়া আড্ডা ঝিমিয়ে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করল রত্না, ‘‘কী হল রে, এলি না যে?’’
ও ধার থেকে কলকলিয়ে উঠল শমিতা, ‘‘স্যরি রে, তোদের একদম জানিয়ে আসতে পারিনি। এমন হুট করে চলে আসতে হল! জানিস আমি এখন কোথায়? ‘ছুটি’ নামের একটা রিসর্টে! কলকাতার এত কাছে গাছগাছালিতে ভরা এমন একটা রিসর্ট যে আছে জানতামই না রে! একদম নতুন বলে লোকজন এখনও এটার খবর জানে না মনে হয়। ভিড়ভাট্টাও তাই নেই। কাল বিকেলে আমরা এসে পৌঁছেছি। দারুণ মজা করছি রে! জায়গাটা এত ভাল, এত ভাল কী বলব তোদের!’’
শমিতার উচ্ছ্বাস কমতেই চায় না। কথা শেষ হতে স্মার্টফোনের মালিক মালকিনরা যা করে থাকে এখানেও অন্যথা হল না।
‘‘এই, ক’টা ছবি পাঠা না রে রিসর্টের, আমরাও নাহয় একটু দেখি তোর দয়ায়।’’
অনুরোধ করতে যেটুকু দেরি, পটাপট ছবি আসতে থাকল ও ধার থেকে আর গ্রুপের সবার হাতে হাতে ঘুরতে থাকল রত্নার মোবাইল। সকলের মুখে তখন অবিমিশ্র কিংবা ঈষৎ জ্বলন-মিশ্রিত আনন্দের অভিব্যক্তি। ফোনটা যখন সুদীপার হাতে, তখন একটা ছবি এল। যা দেখে চেঁচিয়ে উঠল সে, ‘‘ইস, কী দারুণ তুলেছিস রে ছবিটা! কী রোম্যান্টিক! এই দেখ দেখ!’’
তিন হাত ঘুরে ফোনটা রত্নার কাছে এলে সে দেখল, দু’হাতে গলাটা জড়িয়ে ধরে পুরুষটির ঘাড়ে মাথা রেখে সুদৃশ্য এক বেঞ্চে বসে রয়েছে একটি মেয়ে। পিছন থেকে তোলা ছবি। হতেই পারে বেঞ্চটার দু’পাশের সুন্দর সুন্দর ফুলের কেয়ারিগুলোর ছবি তোলারই উদ্দেশ্য ছিল শমিতার। মানুষ দুটোর ছবি উঠে গিয়েছে ফাউ হিসেবে। মুখ না-ই বা দেখা গেল, তেরোটা বছর ধরে যে মানুষটার সঙ্গে গভীরতম নৈকট্য তার, তাকে পিছন থেকে চিনতে কি ভুল করবে রত্না? টি-শার্টের সাদৃশ্যকে ধরতে হবে প্রমাণ হিসেবে?
হৃৎপিণ্ডটা স্বস্থান ছেড়ে লাফিয়ে গলার কাছে উঠে এসে শ্বাসরোধ করে ফেলল রত্নার। দু’কানে যেন হাজার ঝিঁঝির ডাক। তবু তারই মাঝে শুনতে পেল সুদীপা বলছে, ‘‘আহা, রাধাকেষ্টর যুগল ছবিটা সামনে থেকে তুলতে পারলি না? দেখে চোখ সার্থক করতাম!’’
শমিতার ফিচেল উত্তর ভেসে এল ও ধার থেকে, ‘‘রাধাকেষ্টই বটে! একটু আগে এখানে কুঞ্জবন টাইপের একটা জায়গায় মহিলার কোলে মাথা রেখে এমন ভাবে শুয়ে ছিল লোকটা যে রাধাকেষ্ট ছাড়া সত্যিই আর কিছু মনে হচ্ছিল না। ছবি তুলতে তো যাচ্ছিলাম, নেহাৎ আমার বরটা কটমট করে তাকাল তাই অসভ্যতাটা আর করা গেল না।’’
মোবাইল স্পিকার মোডে আছে বলে সবাই শুনতে পাচ্ছে সবার কথা। শমিতা তখনও বলে চলেছে, ‘‘তবে দ্যাবাদেবীর স্পষ্ট ছবিও আছে। বেলা দশটা নাগাদ আমরা যখন ব্রেকফাস্ট করছিলাম তখনই রিসর্টে ঢুকতে দেখলাম ওদের। এখানকার ডাইনিং লাউঞ্জটা এত সুন্দর আর খোলামেলা যে ওখানে বসে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। ওরাও ওখানে বসেই চা খেল দেখলাম। দাঁড়া, লাউঞ্জটার ক’টা ছবি পাঠাই। দেখ, কী অসাধারণ সাজিয়েছে জায়গাটাকে! শুকনো পাউরুটিও অমৃতের মতো লাগবে ওখানে বসে খেলে।’’ খিলখিল হাসি শোনা গেল শমিতার।
চলে এল লাউঞ্জের ছবি। লাউঞ্জের অসাধারণত্ব বোঝাবার জন্য বিভিন্ন কোণ থেকে ছবিগুলো তুলেছে শমিতা। তার মধ্যে অন্তত দুটো ছবিতে সঙ্গিনী-সহ তমাল একেবারে স্পষ্ট। ছবিটাকে একটু বাড়িয়ে নিয়ে দেখলে দৃশ্যমান টিশার্টের উপরের বোতামের অনুপস্থিতিটুকুও। মহিলাকে চিনতে পারল না রত্না। ঠিক যেমন তার বন্ধুর দল চিনতে পারল না তমালকে, কখনও দেখেনি বলে।
মনের ভাব গোপন করার ট্রেনিং যে রত্নার হাড়ে-মজ্জায়, মানতেই হবে তা। রোদ ঝলমলে দিনটা ওর কাছে এখন কী ঘোর অমাবস্যার রাত হয়ে গিয়েছে, সখির দল সেটা টেরও পেল না। তার চুপচাপ হয়ে যাওয়াটা লক্ষ করে এক জন জিজ্ঞেস করল, ‘‘কী হল রে তোর?’’ পেটে একটা ব্যথা হচ্ছে বলে নিজেকে আড়াল করল রত্না। ছুটি হওয়া অবধি কোনও ক্রমে কাটিয়ে দিয়ে বুবলাকে নিয়ে বাড়ি ফিরল সে। নিষ্প্রাণ একটা পুতুলের মতো। তৃতীয় টিউশনে ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার শক্তি আর নেই তার। চোখের পাতাদু’টোও আর পারছে না উপচে আসা জলকে আটকে রাখতে।
বাড়ি ফিরে ছেলেকে খাবার বেড়ে দিয়ে আর তার প্রিয় টিভি চ্যানেলটা চালিয়ে দিয়ে ছাদে গেল রত্না। নিজের প্রিয় চ্যানেল খোলা পেলে সব কিছু ভুলে যায় বুবলা। মায়ের খোঁজে সে ছাদে যাবে না। কিন্তু তাও যদি চলে আসে মাকে অনেক ক্ষণ না দেখতে পেয়ে, তা হলে কী কৈফিয়ত দেবে ছেলেকে রত্না?
দরজা খুলে খোলা ছাদে যাওয়ার বদলে সিঁড়ির শেষ মাথায় বাতিল জিনিসের ঘরটার দরজার কাছে এসে বসে পড়ে রত্না। একটা অন্ধকার কোণই প্রয়োজন এখন তার। কী হল, কেন হল, কবে হল, কী করে হতে পারল— এই প্রশ্নগুলো হাতুড়িপেটা করে করে তার বোধশক্তিকে অসাড় করে তুলেছে। এতই অসাড় যে চোখের জলটাও গড়িয়ে পড়বে না কি ফেরত যাবে অশ্রুগ্রন্থিতে, ভেবে পাচ্ছে না।
তার গৃহিণীপনায় এই বাতিল জিনিসের ঘরখানাও থাকে একেবারে পরিচ্ছন্ন পরিপাটি। সকালে বেরনোর আগে এই ঘরের দোরগোড়াতেই মোড়ক-সহ ছবিটা রেখে গিয়েছিল সে, ফিরে এসে ভাল করে মুড়েটুড়ে ঘরের ভিতরে কোথাও রেখে দেবে বলে। এই মুহূর্তে সেটা তার হাতের নাগালের মধ্যে। যন্ত্রের মতো সেটাকে কাছে টেনে নেয় রত্না। মোড়কটা খুলে খুব মন দিয়ে দেখতে থাকে ছবিটা, আর ক্রমশ সমস্ত সত্তা জুড়ে গভীর এক একাত্মবোধ জেগে উঠতে থাকে তার ছবিটার সঙ্গে। তুইও বাতিল আমিও বাতিল, ছবিটা যেন বলে উঠল রত্নাকে। কিছু ক্ষণ পরে ছবির ফ্রেমটা হয়ে যায় একটা আয়নার ফ্রেম। নিজেকে যেন দেখতে পায় রত্না সেই আয়নায়। কী আছে তার মুখের ভাবে এখন? দুঃখ? রাগ? ঘেন্না? অসহায়তা? কী, কী আছে? ওই দরজা খোলা খাঁচাটা থেকে কে বেরিয়ে গিয়েছে? ওই ভাঙা টুকরোগুলো কোন শেকলের? কে বাঁধা ছিল ওই শেকলে এত দিন? চড়া লাল আর হলুদের পোঁচগুলো আসলে কী? কার রক্তের?
ঢেউয়ের মতো আসতে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে থাকে রত্না। আর পরম মমতায় হাত বুলোতে থাকে ছবির মেয়েটার মুখে চোখে ঠোঁটে। বুলোতেই থাকে...
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy