পূর্বানুবৃত্তি: হরিসাধনবাবুর ক্লাস শেষ হতেই কলেজ থেকে বেরনোর উদ্যোগ করে মিহিকা। বান্ধবী জয়িতা তাকে তার সঙ্গে কোথাও যেতে বললেও পাত্তা দেয় না সে। বাবা-মায়ের ঘেরাটোপে বেড়ে ওঠা গুডি-গুডি জয়িতাকে মিহিকা বিশেষ পছন্দ করে না। নিজের পায়ে নিজের উদ্যোগে দাঁড়ানো মিহিকার প্রথম লক্ষ্য। তার জন্য ছকে বাঁধা পড়তে চায় না সে। কলেজ থেকে বেরনোর মুখে তার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তার বন্ধু জীয়নের। মিহিকা বেরিয়ে যাচ্ছে বলে স্পষ্টতই হতাশ হয় সে।
মিহিকাকে ছাড়া যে জীয়নের বেঁচে থাকা কতটা অসম্পূর্ণ, ওকে ছাড়া বাকি জীবন কাটানোর চিন্তাটা যে জীয়নের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন— এ কথা কি জানবে কোনও দিন মিহিকা? জীয়নই কি কখনও মনের কথা বলে উঠতে পারবে মিহিকাকে?
দূর থেকে বাস আসছে একটা, মিহিকা ব্যস্ত হল, “চল, এসেছিস এত দূর, এ বার হ্যাপি? যা এ বার কাট। আমার বাস এসে গেছে।”
জীয়ন মরিয়া হয়ে বলল, “তুই কি আজ আর কলেজে ফিরবি?”
“ভাট বকিস কেন রে এত? সেটা এখনই কী করে বলব?” মিহিকা বাসে উঠে গেল।
জীয়ন আশা করেছিল, বাসে উঠে মিহিকা অন্তত এক বার তার দিকে তাকাবে, হাত নাড়বে। মিহিকা উঠেই বসে পড়েছে সিটে, ব্যাগ হাতড়ে মোবাইল ফোন বার করেছে। খটখট নম্বর টাইপ করছে কারও। মুখে চোখে দারুণ উৎকণ্ঠা। জীয়নের দিকে সে ফিরেও তাকাল না।
কী করবে এখন সে? কলেজে অর্থহীন আস্ত একটা বেলা কাটাবে কী করে? জীয়ন পকেটে হাত ঢুকিয়ে বেভুল হাঁটতে হাঁটতে কলেজ থেকে অনেক দূরে চলে গেল।
বাস থেকে নেমে রাস্তা পেরোল মিহিকা। কোথায় দাঁড়াবে বলেছিল লোকটা? বাস স্ট্যান্ডের একটু দূরে একটা ট্রান্সফর্মার আছে, সেটার সামনেই তো দেখা করার কথা।
কিছুটা হাঁটতেই লোকটাকে দেখতে পেল মিহিকা। লম্বাচওড়া চেহারা। ঘন ঘন সিগারেটে টান দিচ্ছে। মিহিকার মনে হল, তার মতোই লোকটাও টেনশনে আছে।
চোখাচোখি হতেই হাসল লোকটা। মিহিকা এগিয়ে গেল, “হাই! আমিই মিহিকা চ্যাটার্জি। আমার সঙ্গেই কথা হয়েছিল আপনার। আমার হয়তো একটু দেরি হয়ে গেল, আপনি কি অনেক ক্ষণ...”
টেনশন কাটাতে এলোমেলো বকবক করতে করতেই থেমে গেল মিহিকা। একটু গুটিয়ে গেল সে। লোকটার চোখ তার শরীরের সর্বত্র ঘুরছে। যেন একটা তীক্ষ্ণ সার্চলাইট তছনছ করে দিচ্ছে মিহিকার সব গোপনীয়তা।
প্রকাণ্ড ক্রিকেট কফিনটা কাঁধ থেকে নামিয়ে প্লাস্টিকের চেয়ারে ধপ করে বসে পড়ল ডাম্বো। বিচ্ছিরি গরম পড়েছে কয়েক দিন হল। তার উপর স্কুলে জিয়োগ্রাফি স্যর আর সায়েন্স ম্যাডাম পাল্লা দিয়ে একটার পর একটা ক্লাস টেস্ট নিয়ে চলেছেন।
এমনিতেই বছরে চারটে করে টার্মিনাল পরীক্ষা, উপরন্তু স্যর-ম্যাডামদের ক্লাস টেস্টের বহর দেখে চিন্তায় পড়ে গেছে সে। এ ভাবে চললে খেলার পিছনে সময় দেবে কী করে ডাম্বো? আর মা
যদি এক বার দেখে টেস্টের মার্কস কমে যাচ্ছে, পত্রপাঠ ডাম্বোর ক্রিকেট কোচিং-এ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যাবে।
ডাম্বোর চিন্তা একটা নয়। যে ক্রিকেট ক্রিকেট করে সে পাগল, সেই খেলাটাও কি ঠিক করে খেলে উঠতে পারছে সে! আজ বছর দুই হয়ে গেল জাগরণী সঙ্ঘে ট্রেনিং করছে ডাম্বো। লোককে বলার জন্য গালভরা একটা নাম আছে। ডাম্বো বুক ফুলিয়ে বলে, সে অভিরাজ সেনের ক্রিকেট অ্যাকাডেমির স্টুডেন্ট। অথচ এখনও প্রথম একাদশে নিয়মিত হয়ে উঠতে পারল না। তা ছাড়া অভিরাজ স্যরও অ্যাক্সিডেন্টের পর অনিয়মিত হয়ে গেছেন, তার জায়গায় কয়েক জন নতুন স্যর এসেছেন, তাদের কেমন যেন গা-ছাড়া ভাব। পছন্দ হয় না ডাম্বোর।
অথচ সময় এগিয়ে আসছে। এগিয়ে আসছে মহারণের দিন। প্রথম একাদশে অনিশ্চিত হলেও আসন্ন সেই দিনের কথা কল্পনা করে গায়ে এখন থেকেই কাঁটা দিচ্ছে ডাম্বোর। সারা দিন স্কুল-যাপনের ক্লান্তি, মাথার উপর আসন্ন পরীক্ষার ভয় ছাপিয়ে ভিতর থেকে কেউ যেন এক ঝটকায় চনমনে করে দিল তাকে। যে কারণে ডাম্বো চনমনে হয়ে উঠল সেই কারণ বহু পুরনো। গভীর এবং গুরুতর। জাগরণী ক্লাবের প্রতিটি সদস্যের রক্তে দোলা লাগিয়ে দেওয়ার দিন আসছে। ডাম্বোকে প্রস্তুত হতে হবে।
পুলিন স্যর ডাম্বোকে হাত নেড়ে ডাকলেন, “দর্পণ, চলে এসো।”
ডাম্বো উঠে দাঁড়াল। বাড়ি থেকে প্রায় মিনিট পনেরো ক্রিকেট কফিন বয়ে হেঁটে আসতে কিছুটা হাঁপ ধরেছিল তার। ট্র্যাক প্যান্টের ভিতর জাগরণী সঙ্ঘের জার্সি গুঁজতে গুঁজতে ছুটল ডাম্বো।
এখন তার ট্রেনিং-এর সময়। আগামী ঘণ্টাদুয়েক কঠোর অনুশীলনে ডুবে থাকবে ডাম্বো। প্রথমে জাগরণী ক্লাবের বিশাল ছড়ানো মাঠে আট থেকে দশটা চক্কর দিতে হবে তাকে। তার পর শঙ্করদার আন্ডারে চলবে স্ট্রেচিং, শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন ব্যায়াম। এক জন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ছেলেদের জন্য এনেছে অভিরাজ। তিনি কলকাতার বাসিন্দা নন। কলকাতায় এলে তিনি একটা ওয়ার্কশপ করেন জাগরণী সঙ্ঘের খুদে ক্রিকেটারদের নিয়ে। প্রতিটি ক্রিকেটারের ডায়েট এবং ফিটনেসের দিকে দূর থেকেও তাঁর শ্যেনদৃষ্টি। প্রত্যেকের আলাদা ডায়েট এবং এক্সারসাইজ় চার্ট দিয়ে কলকাতা ছাড়েন তিনি।
ওয়ার্ম আপ আর স্ট্রেচিং-এর পর খুদেরা হইহই করে ঢুকে পড়ে জাগরণী সঙ্ঘের নেটগুলোয়। আলো মরে আসা পর্যন্ত চলে প্র্যাকটিস। এক-এক জন ব্যাটসম্যান খেলবে মোটামুটি পাঁচ ওভার। বোলারদের মধ্যে ডান হাতি-বাঁ হাতি ফাস্ট বোলিং, মিডিয়াম পেস, লেগ স্পিন, অর্থোডক্স লেফট আর্ম... কী নেই! সব রকম বোলিংয়ের সঙ্গেই পরিচিত করে দেওয়া হয় ব্যাটসম্যানদের।
প্যাড গ্লাভস পরে নেটের বাইরে বসে তুহিনের ব্যাটিং দেখছিল ডাম্বো। পাকা ব্যাটসম্যানের মতো বলের মেরিট বুঝে খেলছে তুহিন। চোখে মুখে দৃঢ় প্রতিজ্ঞার ছাপ। এই জিনিসটাই তুহিনকে বাকিদের থেকে আলাদা করেছে। সে নেটেও যেন নকআউট ম্যাচ খেলার মতো সিরিয়াস। তাকে দেখে মনে হয়, তার সামান্য ভুলচুক হলেই তার টিমকে বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। জাগরণী জুনিয়র টিমের ওপেনার আর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাট হিসেবে তুহিন দাসের নাম ছোট-বড় যে কোনও টুর্নামেন্টে অটোমেটিক চয়েস।
লেগ স্পিনারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে স্টেপ আউট করে লং অনের দিকে উঁচু শট খেলল তুহিন। বলটা উড়ে যাচ্ছে পার্কের দূরতম কোণের দিকে। হাঁ হাঁ করে ছুটে এলেন পুলিন স্যর, “তুহিন, আবার সেম মিসটেক! লেগ স্পিনারকে এগেনস্ট দ্য স্পিন কক্ষনও খেলবে না। কভারে খেলো, ব্যাকফুটে গিয়ে স্কোয়ার কাট করো, বাট নেভার এভার এগেনস্ট দ্য স্পিন।” তুহিনের হাত থেকে ব্যাট নিয়ে নিজেই শ্যাডো করে দেখিয়ে দিচ্ছেন পুলিন স্যর। বাধ্য ছাত্রের মতো মন দিয়ে তাঁর পরামর্শ শুনছে তুহিন। জাগরণী সঙ্ঘ থেকে প্রতি বছরই দু’-তিন জন প্লেয়ার ফার্স্ট ডিভিশন লিগে চান্স পায়। পনেরো পেরোলেই সেই ক্রিকেটারদের নিয়ে অন্য পর্যায়ের ঘষামাজা চলে। অভিরাজ সেন জাগরণী সঙ্ঘের সঙ্গে নিজের ক্রিকেট অ্যাকাডেমি খোলার পর থেকে তরুণ ক্রিকেটারদের পরিচর্যা জোরদার হয়েছে।
কিন্তু এ বছর সবার চোখ ১৪ বছরের নীচের ক্রিকেটারদের ওপর। তাদের ফিটনেস, ট্রেনিং-এ যেন বিন্দুমাত্র ঘাটতি না থাকে, সেটাই এখন জাগরণী সঙ্ঘের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান। কারণ ইয়ং বেঙ্গল ক্লাব। একেবারে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দুটো ক্লাবের বিল্ডিং, মাঝখানে বিস্তীর্ণ সবুজে ঘেরা পার্ক, পার্কের মাঝ বরাবর উঁচু কাঁটাতারের বেড়া। কেউ কারও সামান্য সংস্রবও সহ্য করতে পারে না। এই বিদ্বেষের কারণ এতটাই পুরনো যে, নতুন প্রজন্মের অনেকেই তা জানেও না। তবু পঞ্চাশ বছরের পুরনো দুই ক্লাবের মধ্যে নানা আকচাআকচি রেষারেষির শেষ নেই। প্রকাশ্যে একে অপরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য তো আছেই।
বহু যুগ আগে দুই ভাই, বিজন আর রাজেন তরফদার, এক সঙ্গে শখ করে গড়ে তুলেছিলেন ইয়ং বেঙ্গল স্পোর্টিং ক্লাব। অসাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী ছিলেন দু’জনেই। ভ্রাতৃপ্রেম তত ছিল না। কালে কালে ভাঙন ধরেছে সম্পর্কে। কারণটা পারিবারিক অথবা বিষয়-আশয় সংক্রান্ত যা-ই হোক না কেন, তা আজ ভুলে গেছে অনেকেই। তবে বহু বছর আগে ইয়ং বেঙ্গল ভাগ হয়ে তৈরি হয়েছিল জাগরণী সঙ্ঘ, পাশাপাশি দুই ক্লাবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর বৈরিতা বেড়েছে উত্তরোত্তর। তরফদার ভাইয়েরা পৃথিবী ছাড়ার পরও বিদ্বেষটা থেকে গেছে।
সেই বিদ্বেষের প্রকাশ সবচেয়ে বেশি হয় বাৎসরিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা, ‘তরফদার অ্যান্ড তরফদার মেমোরিয়াল কাপ’-এর সময়টাতে।
এই একটা দিন দুই ক্লাব মুখোমুখি লড়ে পরস্পরের সঙ্গে, কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ে না। কুড়ি ওভারের এই ক্রিকেট ম্যাচের মাসখানেক আগে থেকেই দুই শিবিরে চলে রীতিমতো সাজো সাজো রব।
এ বছর পরিস্থিতি অন্য রকম। দুটো ক্লাবেরই বাঘা বাঘা খেলোয়াড়রা কেউ শিল্ড, কেউ দীপ্তেন লাহিড়ী মেমোরিয়াল কাপ খেলতে ব্যস্ত, ফলে প্রায় ডকে উঠতে বসেছিল এ বারের টুর্নামেন্ট।
তখনই আইডিয়াটা আসে কর্মকর্তাদের মাথায়। এই বছর কচিকাঁচাদের লড়িয়ে দিলে কেমন হয়? ‘ইয়ং বেঙ্গল’ আর ‘জাগরণী’ তো আর শুধুমাত্র পাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে নাড়াচাড়া করে না, ছোট ছোট নতুন ছেলেদের হাতে গড়ে তাদের সাপ্লাই দেয় কলকাতা ফার্স্ট ডিভিশন লিগের বড় ক্লাবগুলোয়।
তা হলে এই সুযোগে বাজিয়ে দেখে নেওয়া যাক নতুন প্রতিভাদের।
কোনও বিষয়ে দুটো ক্লাব একমত হয়েছে, এমন আশ্চর্য ঘটনা শেষ কবে ঘটেছিল কারও মনে নেই, কিন্তু দেখা গেল এই প্রস্তাব দুই ক্লাবের তরফ থেকেই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হল। আর মাসদুয়েক পরেই সেই দিন, ‘তরফদার অ্যান্ড তরফদার’ মেমোরিয়াল কাপ, আর এ বার লড়তে যাচ্ছে দুই ক্লাবের আন্ডার ফোরটিন ক্রিকেটাররা।
ডাম্বোর চিন্তা সেটা নিয়েই। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আরও বেশি নড়বড়ে লাগে তার। হাঁটু কাঁপে, মনে হয় সব বলেই আউট হয়ে যাবে সে। অথচ পরিস্থিতি চিরকাল এমন ছিল না। ডাম্বো শুনেছে ২০১১ সালে ভারত বিশ্বকাপ জিতলে তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে পুরো পাড়া ঘুরেছিল বাবা। এই যে ডাম্বোর ক্রিকেটের প্রতি অনুরাগ, তাও তো বাবার দৌলতেই। বালিগঞ্জে থাকতে সোসাইটির মাঠে বাবার হাত ধরেই তো যেত ডাম্বো, প্রথম ব্যাট হাতে নেওয়া, স্টান্স নেওয়া, তার দিকে বল ছুড়ে দেওয়া... তার প্রথম বোলার তো বাবা-ই। বাড়ির কাছের একটা ছোট ক্রিকেট ক্যাম্পেও তো যেত ডাম্বো। বাবা-ই নিয়ে যেত।
তার পর কখন যে সব পাল্টে গেল, ঠিক ধরতে পারে না সে। একটু একটু করে বাবা ব্যস্ত হচ্ছিল। কী কারণে ব্যস্ততা, কেন বাবা মাঝে মাঝেই দিনকয়েকের জন্য বাড়ি ফিরছে না, কিছুতেই বুঝে উঠতে পারত না ডাম্বো।
তার শুধু একটা তুমুল কান্নাকাটির রাত মনে আছে। বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার অনেক দিন পর। মা প্রবল কান্নাকাটি করতে করতে ব্যাগ গোছাল অনেক ক্ষণ ধরে। ঠাম্মি বার বার ছুটে আসছিল তাদের ঘরে, হাতে পায়ে ধরছিল মায়ের, “ও মঞ্জি, আর এক বার সুযোগ দে আমার ছেলেটাকে। যা ভাবছিস ও ততটা খারাপ তো না-ও হতে পারে। অন্তত বাচ্চাটার মুখ চেয়ে...”
মা শোনেনি। শুধু ঠাম্মিই নয়, জেঠু আর জেঠিমণিও অনেক করে বুঝিয়েছিল। কেউ সে দিন মা-কে আটকে রাখতে পারেনি। শুধু ট্যাক্সিটা বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে বাঁ দিকে টার্ন নেওয়ার সময় ডাম্বোর দুটো জিনিস মনে হয়েছিল— আর কোনও দিন সে পাড়ার ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পে যেতে পারবে না, আর তাড়াহুড়োয়, ঝামেলার চোটে ক্রিকেট ব্যাটটা আনতে ভুলে গেছে ডাম্বো।
ক্রমশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy