Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৪
Serial Novel

শূন্যের ভিতর ঢেউ

ফুরফুরে ঠান্ডা হাওয়া ঘরের ভিতর, সুগন্ধ ভেসে আসছে, মল্লার চোখ বুজে শোনে। চিরশ্রীর সুর ও তালজ্ঞান খুব ভাল, কখনও বেসুরো হয় না, সে জন্যই সে সবচেয়ে প্রিয় স্টুডেন্ট।

ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ।

সুমন মহান্তি
শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৩৬
Share: Save:

পূর্বানুবৃত্তি: মল্লার তার বাবার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা চায়। কমলবাবু কারণ জিজ্ঞেস করলে জানায়, সে একটা টোটো কিনবে। কারণ টোটো চালালে রোজগার অনেক বেশি। সিন্থেসাইজ়ার শিখিয়ে তার অত টাকা হয় না। বিস্মিত কমলবাবু আপত্তি করেন। সম্মানের কথা বলেন। রাগ না করেই বোঝানোর চেষ্টা করেন মল্লারকে। মল্লার বাবার যুক্তি মানতে পারে না। সে অভ্রকে ডেকে তার সঙ্গে দেখা করে। দুই বন্ধুর ভবিষ্যৎ-আলোচনায় উঠে আসে নানা হতাশার কথা। রাজ্যের চাকরিবাকরির অবস্থার কথা চিন্তা করলেই তাদের বিরক্তি বাড়ে। এই নৈরাজ্যের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মানসিক লড়াইয়ে কেমন ভাবে তাদের স্বভাব বদলে যাচ্ছে, সে কথাও বুঝতে পারে তারা। সন্ধেয় মল্লারের ফোন আসে। প্রমিতদার স্ত্রীকে সে সিন্থেসাইজ়ার শেখায়। তিনিই ফোন করে জানতে চান, কখন যাবে মল্লার।

চিরশ্রী বলল, “আজ বড্ড গরম পড়েছে। উপরের ঘরে শিখব।”

চিরশ্রীর পিছু পিছু সিঁড়ি বেয়ে উঠল মল্লার। রুমের দরজা ঠেলে স্মিত হাসিতে চিরশ্রী বলল, “আসুন। এসি চালিয়ে রেখেছি। তাই জানলা-দরজা বন্ধ।”

বিছানার পাশে রাখা একটি চেয়ারে বসল মল্লার। চিরশ্রী বিছানায় হাঁটু মুড়ে বসল। সিন্থেসাইজ়ার বিছানার উপর রাখাই ছিল।

“নিন। শুরু করুন। দেখি কেমন তুলেছেন,” মল্লার বলল।

চিরশ্রী পুরনো দিনের গান বাজাতে পছন্দ করে। সে রিডে আঙুল চালিয়ে শুরু করল, ও পলাশ ও শিমুল কেন আমার এ মন রাঙালে...

বাজানো শেষ হলে মল্লার উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে, “বাহ। বেশ বাজালেন। অলমোস্ট পারফেক্ট।”

চিরশ্রী খুশি হয়ে বলল, “আর এক বার বাজাই তা হলে?”

“না। কী দরকার? ঠিকই তো আছে।”

চিরশ্রী মাথা নাড়ে, “না। আপনি বললেন অলমোস্ট পারফেক্ট। মানে প্রায় নিখুঁত। আমি নিখুঁত না হলে সন্তুষ্ট হই না।”

“বেশ। তা হলে আর এক বার বাজান।”

ফুরফুরে ঠান্ডা হাওয়া ঘরের ভিতর, সুগন্ধ ভেসে আসছে, মল্লার চোখ বুজে শোনে। চিরশ্রীর সুর ও তালজ্ঞান খুব ভাল, কখনও বেসুরো হয় না, সে জন্যই সে সবচেয়ে প্রিয় স্টুডেন্ট। এই বাড়িতে শেখাতে এলে মন ভাল হয়ে যায় তার। হাতে ধরে শেখাতে হয় না, এক বার ধরিয়ে দিলেই চলে। চিরশ্রী নিজে থেকেই গান পছন্দ করে, মল্লার নোটেশন লিখে এক বার বাজিয়ে শোনায়। চিরশ্রীর রুচি পরিমার্জিত ও সূক্ষ্ম। অনেক জায়গায় তাকে লারেলাপ্পা টাইপের গান শেখাতে হয়।

মল্লার এ বার বলল, “পারফেক্ট হয়েছে। এ বার খুশি তো?”

চিরশ্রীর গালে টোল পড়ল, বলল, “সত্যি মন থেকে বলছেন?”

“হ্যাঁ। মিথ্যে প্রশংসা আমি করি না। এ বার কোন গান তুলবেন?”

চিরশ্রী বলল, “এত দিন আমি ঠিক করেছি। একতরফা চয়েস ভাল নয়। নতুন গানটা আপনি ঠিক করুন।”

“বলছেন?” মল্লার কিছু ক্ষণ ভেবে নিয়ে বলল, “আকাশে আজ রঙের খেলা। এই গানটাই হোক।”

খাতায় নোটেশন লেখা শুরু করল মল্লার। চিরশ্রী বলল, “আপনি লিখুন। আমি একটু আসছি।”

দরজা ভেজিয়ে চিরশ্রী চলে গেল। এই প্রথম উপরের রুমে এল মল্লার। দেখে মনে হচ্ছে এটাই ওদের বেডরুম। শৌখিনতা এবং রুচির ছাপ রুমের প্রতিটি জায়গায়। ডিভান, ড্রেসিং টেবিল, আলমারি, স্মার্ট টিভি ছাড়াও ঘরের কোণে শোভা পাচ্ছে পাঁচমুড়োর ঘোড়া। ড্রেসিং টেবিলে একটি ফুলদানি। দেয়ালে এক জোড়া অয়েল পেন্টিং।

প্রমিতদা মেডিকেল রিপ্রেজ়েন্টেটিভ। অভ্র বলছিল এখন চাকরিতে কয়েক ধাপ উপরে উঠেছে। টিউশন অভ্রর সূত্রেই সে পেয়েছে। একটু দেরি করেই বিয়ে করেছে প্রমিতদা। প্রমিতদা অভ্রর পিসতুতো দাদার বুজ়ুম ফ্রেন্ড। প্রায়ই অফিশিয়াল ট্যুর করতে হয় প্রমিতদাকে। প্রমিতদার এই ব্যস্ততার কারণে তার বৌ হাঁপিয়ে উঠছিল। তখনই সিন্থেসাইজ়ার শেখার ইচ্ছে জেগেছিল তার।

চিরশ্রীর বয়স কত কে জানে! মেয়েদের বয়স সে বুঝতে পারে না। আন্দাজ ত্রিশ-বত্রিশ। আজ সে চিরশ্রীকে ভাল করে দেখছিল। কোঁকড়ানো চুল, মুখশ্রী ভারী সুন্দর, হাসলে গালে টোল পড়ে। শরীর থেকে লাবণ্য চুঁইয়ে পড়ছে। যৌবনের শান্ত
স্নিগ্ধ দীপ্তি আছে ওর মধ্যে। কথা বললে যেন জলতরঙ্গ বাজে।

চিরশ্রীর হাতে প্লেট। প্লেট বাড়িয়ে দিয়ে চিরশ্রী বলল, “হাতে ধরেই খান।”

“অসুবিধে হবে না। মাটিতে বসেও খেতে পারি। কিন্তু করেছেন কী? এত মিষ্টি খাওয়া যায়!”

“দিব্যি যায়। মাত্র চারটে দিয়েছি। চার রকম।”

মল্লারের খিদে পেয়েছিল। সে টপাটপ খেয়ে নিল। গ্লাসের দিকে হাত বাড়াতে বাড়াতে জিজ্ঞেস করল, “আপনি বুঝি মিষ্টি খুব পছন্দ করেন?”

“হ্যাঁ। আপনাদের দাদা খুব নিয়ম মেনে চলে, দিনে একটার বেশি খায় না। আমি ও সব মানি না, ইচ্ছে হলেই ফ্রিজ খুলে মুখে পুরে দিই।”

মল্লার বলল, “মিষ্টি মানুষেরা তো মিষ্টি
পছন্দ করবেই।”

চিরশ্রীর ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি, “ভাল কমপ্লিমেন্ট পেলাম। আপনি ফ্লার্ট করছেন না তো?”

মল্লার ঘাবড়ে গিয়ে বলল, “ফ্লার্ট করা যে কী জিনিস তা জানিই না। ও সবে আমি আনাড়ি।”

চিরশ্রী মুখ টিপে হাসল, “তা হলে আমার সঙ্গেই ফ্লার্ট করে দেখুন।”

মল্লার রীতিমতো নার্ভাস হয়ে তোতলাল, “ক্-কী যে বলছেন আপনি!”

চিরশ্রী বলল, “মজা করছিলাম। আপনি দেখছি ঘাবড়ে যাচ্ছেন।”

কথা না বলে গম্ভীরমুখে নোটেশন লিখতে থাকে মল্লার। লেখা শেষ করে সিন্থেসাইজ়ারের রিডে আঙুল রাখে। গালে হাত দিয়ে শুনছিল চিরশ্রী।

গানটা বাজানো শেষ হতেই চিরশ্রী মেদুর স্বরে বলল, “আপনার আঙুলে যেন জাদু আছে। কত বছর ধরে বাজাচ্ছেন?”

“কলেজ লাইফ পর্যন্ত চর্চা ছিল। তার পর ইউনিভার্সিটি, বিএড পড়া, এ সবের চক্করে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বেকার দশায় মনে হল যে, শিখিয়ে রোজগার করা যেতেই পারে। আগে নিজের আনন্দে বাজাতাম, এখন পেটের দায়ে বাজাই।”

চিরশ্রী নরম গলায় বলল, “ও রকম বলছেন কেন? আপনি এক জন শিল্পী। আপনার কাছে একটা রিকোয়েস্ট ছিল।”

“বলুন।”

“আর এক বার গানটা বাজান। শুনতে খুব ভাল লাগছে। আপনার দেরি হয়ে যাবে না তো?”

মল্লার বলল, “কত ক্ষণ আর লাগবে? আপনি কিন্তু ফর্ম্যালিটি করছেন।”

“তা নয়। প্লিজ় শুরু করুন।”

রিডে দ্রুত আঙুল চালানোর ফাঁকে এক বার আড়চোখে দেখল মল্লার। তন্ময় হয়ে শুনছে চিরশ্রী। গান শেষ হতেই সে মুগ্ধচোখে তাকাল, “এ জন্যই আপনার আসার সময় হলে ছটফট করি। ফোনে জিজ্ঞেস করি। আপনি হয়তো বিরক্ত হন। আসলে সুরের মায়া আমাকে খুব টানে। মনে প্রশান্তি আসে।”

মল্লার এই প্রথম হাসল, “আসছি তা হলে।”

চিরশ্রী উদাস চোখে তাকাল, “হ্যাঁ, সাবধানে আসুন। আবার সাত দিনের অপেক্ষা।”

গেটের বাইরে এসে বাইক স্টার্ট করল মল্লার। পরের ছাত্রটির বাড়ি যেতে মিনিট দশ লাগবে। মাঝপথে বাইক থামিয়ে পান কিনে মুখে পুরল। জর্দার প্রভাবে মাথায় রিমঝিম ভাব আসে, ভাল লাগে তার, ওটাই তার নেশা। এই মাসে অবশ্য দু’বার বারে যাওয়া হয়ে গিয়েছে। একটা প্রোগ্রামে বাজিয়ে দু’হাজার পেয়েছিল, টাকাটা সে তরলে উড়িয়ে দিয়েছে। জর্দাপান খেয়ে শরীরে খুশির রেণু উড়ছে তার, শহরের আলোকিত রাস্তাগুলো মায়াময় মনে হচ্ছে, হ্যালোজেন আলোয় স্বপ্নাভ লাগছে সব কিছু। একটা ভাল লাগার বোধ মনের সমস্ত আলস্য দূর করে দিয়ে তাকে নতুন করে উদ্দীপ্ত করছে হঠাৎ।

ঘরে ফিরে রাতের খাওয়া সেরে এগারোটা নাগাদ বিছানায় শুয়ে পড়ল মল্লার। রাত গভীর না হলে ঘুম আসে না তার, সে রাত জেগে মোবাইল ঘাঁটে, গান শোনে।

আজ ইউটিউবে হিমবাহ গলার দৃশ্য দেখল মল্লার। পাশ ফিরে বালিশ আঁকড়ে চোখ বন্ধ করল সে। অস্তরাগের নদী ভাসল চোখে, নদী তার রং ও সুর নিয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠছে বার বার।

মা তারা হটেলে অভ্র দুপুরের খাবার আনতে গিয়েছিল। অবশ্য অভ্যেসবশেই সে চা খেয়েছে এক বার, সঙ্গে সস্তার সিগারেট। আজ মায়ের শরীরটা খারাপ বুঝতে পেরে সে রান্না করতে বারণ করে দিয়েছিল। নিজেরও করতে ইচ্ছে করল না, তাই সে খাবার কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ভাত, ডাল, আলু-পটলের তরকারি, রুই মাছের কালিয়া। আগেও সে কয়েক বার নিয়ে গিয়েছে। রান্না ভাল, দাম সাধ্যের মধ্যে।

খেতে বসে অভ্র বলল, “খেয়েদেয়ে এক বার পোস্টাপিস যাব।”

“কেন?”

“টাকা তুলতে হবে। মাসের আরও চার দিন বাকি। মাত্র একশো টাকা আছে হাতে।”

“সে কী! এ রকম অবস্থা! তা হলে হোটেল থেকে খাবার আনার কী দরকার ছিল? অকারণ খরচা।”

অভ্র বাটিতে ডাল ঢেলে বলল, “ওতে আর ক’টাকা বাঁচত? মাসে তুমি ফ্যামিলি পেনশন পাও চোদ্দো হাজার। টিউশন করে আমি পাই দশ হাজার। চব্বিশ হাজার টাকার কোনও দামই নেই এই বাজারে। ভুসিমাল, গ্যাস, পেট্রল, মাছ-তরকারি, সব কিছুর খরচ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কাজ পাচ্ছি না, কেউ দেয় না। এ দিকে প্রাক্তন মাওবাদীরা চাকরি পাচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে পড়াশোনার শেষে চাকরির ধান্দা না করে বন্দুক ধরলেই হিল্লে হত।”

“কী যে বলিস তুই! বন্দুক-টন্দুক আবার কেন?”

“তুমি বড় বোকা আছ, মা। বন্দুকের জোরেই সারা পৃথিবীতে সব কিছু চলছে,” অভ্র হাসল, “চিন্তা নেই। ও সব লাইনে এই বয়সে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। শুধু ভাবি, মূল্যবৃদ্ধির কোনও প্রতিকার নেই। কোনও সরকারই তা নিয়ে মাথা ঘামায় না। মাঝখান থেকে আমরা যারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত, তারা মরছি। কোনও বিলাস করি না। দেখেশুনে টিপে টিপে খরচ করি। তা-ও এই অবস্থা!”

পোস্টাপিসে ভিড় কম। মান্থলি ইনকাম স্কিমের সুদ থেকে দু’হাজার টাকা তুলল। স্কিমটা তার নামেই করা আছে। টাকাটা পেয়ে মনে স্বস্তি এল তার। পকেটে টাকা না থাকলে নিরাপত্তার অভাব তাকে কুরে কুরে খায়। পাঁচ লাখ টাকার মান্থলি ইনকাম স্কিম, ওই টাকায় ব্যবসা খোলার কথা ভেবেছিল। সাহস হয়নি। নিজের বাবা এক সময় চানাচুরের কারখানা খুলেছিল। লাভ তো হয়নি, কারখানা বন্ধ হয়ে গেল, বাজারে প্রচুর ধারদেনা হয়ে গিয়েছিল। ব্যবসা ব্যাপারটা তার জিনে নেই।

দুপুরে ঘুমোয় না অভ্র, পড়াশোনা করে। চাকরির পরীক্ষার পড়াশোনা করে লাভ নেই, তার সাবজেক্ট ফিজ়িয়োলজি নিয়ে চর্চা করা অর্থহীন। এক বইপাগল লোকের সঙ্গে ঘটনাসূত্রে তার আলাপ হয়েছে। ধীমান পালিতের ঘরের লাইব্রেরিটি দেখে সে চমকে উঠেছিল। চার দিকে বই, যেন বইয়ের সফেন সমুদ্রে ডিঙি নিয়ে ভেসে চলেছেন তিনি। সে মুগ্ধ হয়েছিল খুব। সে ধীমান পালিতের সঙ্গে পরিচিত হয়ে দিশা খুঁজে পেল। তার বন্ধুসংখ্যা এমনিতেই অর্ধেক হয়ে পড়েছিল। যে ক’জন অবশিষ্ট ছিল তারা চাকরিসূত্রে বাইরে বা কর্মসূত্রে ভারী ব্যস্ত। পরিস্থিতির প্রভাবেই বই-ই তার বন্ধু হয়ে গেল।

দোতলার ঘরেই থাকে সে। মৌজ করে সিগারেটের ধোঁয়া নিয়ে অভ্র নতুন বইটা খুলে বসে। নৃতত্ত্বের উপর ইন্টারেস্টিং একটা বই, লটারিতে পাঁচশো টাকা পেয়ে কিনেছিল। লটারির প্রসঙ্গ আসতেই তার মনে পড়ল যে আজই সে দুপুরবেলায় পাঁচখানা লটারির টিকিট কেটেছিল।

ইন্টারনেটের কল্যাণে ঘরে বসেই এই লটারির রেজ়াল্ট দেখা যায়। নম্বর মিলিয়ে টিকিট পাঁচটা ছিঁড়ে ফেলল সে। সপ্তাহে দু’দিন, বৃহস্পতি ও শনিবার সে পঞ্চাশ টাকায় পাঁচটি টিকিট কেনে। আজ অবধি তিন বার লেগেছিল। প্রথম বার পঞ্চাশ টাকা পেয়েছিল, সেই টাকায় মোগলাই কিনে খেয়েছিল। দ্বিতীয় বার এক হাজার পেয়েই উদয়পল্লিতে চলে গিয়েছিল হাব্বাডাব্বা খেলতে। নামটা অদ্ভুত হলেও আসলে জুয়াখেলা, এক হাজার টাকাই খুইয়েছিল সে বার। তৃতীয় বার, এই বছরের জুলাই মাসে পেয়েছিল পাঁচশো টাকা। অন্তত এ বার সে টাকাটা নষ্ট করেনি, অনলাইনে বইয়ের অর্ডার দিয়েছিল। লটারি কাটলে একটাই লাভ, কেনার পরে নিজেকে কয়েক মিনিটের জন্য ধনী মনে হয়, কোটি টাকা পেলে কী ভাবে কী করবে তার একটা হিসাব মনের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। বেশ কেউকেটা মনে হয় নিজেকে। পঞ্চাশ টাকায় এ রকম ক্ষণিকের স্বপ্ন কেনার শখটা মোটের উপর মন্দ নয়।

ক্রমশ

অন্য বিষয়গুলি:

Bengali Novel rabibasariyo
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy