ভয়ঙ্কর: খেলা চলছে লর্ডসে, কাছেই ভেঙে পড়েছে কপ্টার।
ইটালির প্রাচীন শহর ক্যাটানিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেখানেই শেষ দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তিনি— ব্রিটিশ সেনার এক ক্যাপ্টেন। রাতের অন্ধকারে শত্রুর উপর আক্রমণ শানানোর আগে বরাবরের মতোই ফুরফুরে ছিলেন। সতীর্থদের বীরদর্পে বললেন, ‘‘এগিয়ে চলো।’’ মেশিনগানের ঝাঁক ঝাঁক গুলি আর মর্টারের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে যেতে এক সময় ক্যাপ্টেনের বুকেও গোলা এসে লাগল। তখনও তিনি বলে চলেছেন, ‘‘বন্ধুরা, এগিয়ে চলো!’’
ক্যাপ্টেনকে শেষ দেখা গিয়েছিল এক সতীর্থের বাহুতে। অচৈতন্য। কেউ বলেন, ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, বেঁচে ছিলেন তিনি, মারা যান চোটের জায়গায় অস্ত্রোপচারের সময়। এক সতীর্থ ও এক জার্মান অফিসার হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে।
মাত্র ৩৮ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যে ক্যাপ্টেনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল, তিনি ডন ব্র্যাডম্যানকে আট বার আউট করেছিলেন, এ কথা বললে নিশ্চয়ই শুনতে হবে ‘ধুস, আজগুবি কাহিনি।’ আসলে সত্যি!
তিনি হেডলি ভেরিটি— ইয়র্কশায়ার এবং ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা বাঁ-হাতি স্পিনার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৯৫৬ উইকেটের মালিক। তার মধ্যে ১৪৪ শিকার ছিল ৪০ টেস্টে। যুদ্ধ প্রাণ নিয়েছিল, কিন্তু টেস্ট খেলা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার ব্র্যাডম্যানকে আউট করার তাঁর সেই কৃতিত্ব আজও অমলিন।
বাঁ দিক থেকে হেডলি ভেরিটি ও কিথ মিলার
ভেরিটির মতো এমন অনেক বীর ছিলেন, যাঁরা খেলার মাঠ ছেড়ে যুদ্ধক্ষেত্রে যোগ দিয়েছিলেন। বডিলাইন সিরিজ়ে ডগলাস জার্ডিনের অন্যতম অস্ত্র, হ্যারল্ড লারউডের বোলিং পার্টনার বিল ভোস তাঁদের মধ্যে এক জন। যুদ্ধ করতে গিয়ে বন্দিদশাও কাটিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান এবং নানা খেলায় পারদর্শী ডেনিস কম্পটন, টেস্টে প্রথম বার এক ইনিংসে দশে দশ উইকেট নেওয়া জিম লেকার, স্ট্রোকের ফুলঝুরিতে যিনি দর্শকদের সম্মোহিত করে রাখতেন সেই লিন্ডসে হ্যাসেট— অনেক বিখ্যাত নামই পাওয়া যাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীর তালিকায়। যুদ্ধের সময় কম্পটনের পোস্টিং পড়েছিল ভারতে। রঞ্জি ট্রফিতে হোলকারের হয়ে খেলতে শুরু করেন তিনি। এর পর কলকাতাতেও আসেন। কম্পটন দারুণ ফুটবলারও ছিলেন, ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি ফুটবল খেলেছেন আর্সেনালের হয়েও। শোনা যায়, কলকাতায় কর্তব্যরত থাকাকালীন তিনি মোহনবাগানের হয়ে ফুটবল খেলতে চেয়েছিলেন। তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণ না-হলেও মোহনবাগান কর্তারা সাম্মানিক সদস্যপদ দেন তাঁকে।
করোনাভাইরাসের হানায় এখনকার খেলোয়াড়দের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে নিজেদের গৃহবন্দি করে রেখে। ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির সময়েও পরিস্থিতি এ রকমই হয়েছিল। স্ট্যানলি কাপ হকি বাতিল হয়ে যায়, কানাডার খেলোয়াড়রা আক্রান্ত হওয়ায়। আমেরিকায় বেসবল তারকাদের মধ্যে সংক্রমণ দেখা দেয়। লিয়োনেল মেসির ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা ১০২ বছর আগে বিতর্কের মধ্যে পড়েছিল লকডাউন অমান্য করে ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করে।
স্প্যানিশ ফ্লু মহামারিতে অবশ্য খেলোয়াড়দের ফাইটার জেট ওড়ানোর দুঃসাহস দেখাতে হয়নি। ইংল্যান্ডের বিল এডরিচ বা অস্ট্রেলিয়ার কিথ মিলারকে যা দেখাতে হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। মিডলসেক্স এবং ইংল্যান্ড দলের ব্যাটসম্যান ছিলেন এডরিচ। ৩৯ টেস্টে ২৪৪০ রান, সর্বোচ্চ ২১৯, গড় ৪০— যথেষ্ট সম্মানজনক পরিসংখ্যান। বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমারু বিমান চালিয়ে ফিরে নরফোকের ক্রিকেট মাঠে ছুটতেন তিনি। এক রবিবার যুদ্ধবিমান নিয়ে এডরিচ উড়লেন এক জার্মান ঘাঁটি ধ্বংস করার লক্ষ্যে। জার্মানির উপকূলবর্তী আকাশে তুমুল সংঘর্ষ হল এডরিচদের বাহিনীর সঙ্গে জার্মান বোমারু বিমানবাহিনীর। কুড়ি মিনিট ধরে যুদ্ধ চলার পরে সকলেরই গোলাগুলি শেষ। সবাই নিশ্চিন্ত, কেউ তা হলে প্রাণ হারালেন না।
আচমকাই একটা জার্মান বোমারু বিমান ভেসে উঠল এডরিচের চোখের সামনে। তার তখনও গোলাবারুদ বেঁচে রয়েছে, এডরিচকেই তাক করেছে সে। কিন্তু আশ্চর্য, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্কে এসেও ফায়ারিং হল না। পাশ দিয়ে শাঁ করে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে জার্মান বোমারু বিমানের পাইলটের সঙ্গে স্পষ্ট চোখাচোখি হল এডরিচের। দেখলেন, শত্রুও কাঁধ ঝাঁকিয়ে বেরিয়ে গেল। ভাবখানা এমন, কী করে যে বেঁচে গেলে বন্ধু! এর পর আর খেলার মাঠে ফাস্ট বোলাররা কড়া চাউনি দিয়ে কী ভয় পাওয়াবেন তাঁকে! শরীরে, মাথায় বহু বার আঘাত পেয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন। তবু ফাস্ট বোলার শর্ট বল দিলেই পুল-হুক মারার জন্য তৈরি থাকতেন এডরিচ।
যুদ্ধের জন্য প্রায় সাত বছর টানা ক্রিকেট বন্ধ থাকার পরেও কী ভাবে ডন ব্র্যাডম্যান নামক রান-মেশিনটি কলকব্জা ঠিক রেখেছিল, তা এখনও গবেষণার বিষয়। করোনাভাইরাসের হানায় এখনকার খেলোয়াড়দের মধ্যে যাঁরা এক মাস খেলা বন্ধ থাকায় সংশয়ে ভুগতে শুরু করেছেন তাঁদের সযত্নলালিত স্কিল হারিয়ে যেতে বসল কি না, তাঁদের জন্য একটা জরুরি তথ্য— বিশ্বযুদ্ধের সাইরেন থামার পরে প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি করেন ব্র্যাডম্যান। সাত বছর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ছেড়ে থাকার পরেও।
মাঠের সাফল্যের দিক থেকে অধিনায়ক ব্র্যাডম্যানের জন্য ১৯৪৮ সালের ‘ইনভিনসিবল্স’ দলের ইংল্যান্ড সফর ছিল কোহিনুর জয়ের সমান। ক্রিকেটের সেরা রূপকথার অঙ্গ হয়ে রয়েছে এই সফর। ৩১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে একটিও হারেনি ডনের অস্ট্রেলিয়া। ২৩টি জয়, ৮টি ড্র। পাঁচ টেস্টের সিরিজ হেলায় ৪-০ জেতে। ভিতরে-ভিতরে এই সফরই কিন্তু ছিল চরম বিতর্কিত। টেস্ট ম্যাচে দু’বার কিথ মিলারের দিকে বল ছুড়ে দিয়ে অধিনায়ক ব্র্যাডম্যান অবাক হয়ে দেখলেন, পাল্টা তাঁর হাতে বল ফিরিয়ে দিলেন তাঁর তারকা অলরাউন্ডার। বল করতে চান না! ব্র্যাডম্যানের মুখের উপরে কখনও এমন উপেক্ষা দেখানোর সাহস কেউ দেখাননি। কিন্তু তখন সদ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং মিলার নিয়মিত ফাইটার জেট উড়িয়ে ফিরেছেন। ব্র্যাডম্যানকে নিয়ে এমনিতেই তাঁর প্রবল অনীহা ছিল, কারণ মিলার মনে করতেন, ডন যুদ্ধে যাবেন না বলে ‘শারীরিক অসুস্থতার নাটক করে পালিয়েছিলেন’।
অবশেষে লর্ডস টেস্টে বিরতির সময় ড্রেসিংরুমে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল অধিনায়ক ব্র্যাডম্যানের। বলে ফেললেন, ‘‘জানি না তোমাদের কী সমস্যা! আমার বয়স চল্লিশ এবং এখনও সারা দিন ধরে মাঠে দিব্যি দৌড়তে পারি।’’ জবাব দিতে দেরি করলেন না মিলারও, ‘‘যুদ্ধের সময় ফাইব্রোসাইটিস হলে আমিও ক্রিকেট মাঠে এ রকমই সক্ষম থাকতাম।’’
ফাইব্রোসাইটিস এক ধরনের জটিল রোগ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে ডাক পেয়েও ব্র্যাডম্যান জানান, তিনি এই রোগে ভুগছেন। প্রথমে ডাক্তারি পরীক্ষায় পাশ করে গিয়ে, লেফটেন্যান্টের পদে নিযুক্ত হয়েও তাই অস্ট্রেলীয় সেনাবাহিনীর রোস্টার থেকে তাঁর নাম ছেঁটে ফেলতে হয়। সুস্থ হয়ে তিনি আর যুদ্ধে যাননি, বরং হাত পাকানোর চেষ্টা করেন স্টক ব্রোকিংয়ে। তবে ব্যাটিংয়ের মতো সফল হতে পারেননি সেখানে। একটি ব্যক্তিগত চিঠিতে এমন মন্তব্যও এক বার করেছিলেন, ‘‘আমার দ্বারা কিছু হবে না।’’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দীর্ঘ ক্রিকেট বিরতি কি ডন ব্র্যাডম্যানের মধ্যে মানসিক অবসাদের জন্ম দিয়েছিল? গবেষণা অব্যাহত এখনও!
এখন করোনাভাইরাসের আবহে যেমন অনেক স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী হাসপাতাল হিসেবে বা চিকিৎসার কাজে লাগানো হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও তেমনটাই হয়েছিল। আর্সেনালের হাইবারি মাঠে সেনাবাহিনীর বিশেষ শিবির চলত। ওভাল ছিল যুদ্ধবন্দিদের রাখার জায়গা। করোনার সময়ে ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলা আয়োজনের পরিকল্পনা ভেসে বেড়ানোর মধ্যে পুরনো দিনের পাতা থেকে আর একটি তথ্য— বিশেষ বিশেষ স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সর্বাধিক আট হাজার দর্শকের সামনে। দর্শক সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার কারণ? বোমারু বিমানের শব্দ শুনলে যাতে দ্রুত মাঠ ফাঁকা করে ফেলা যায়।
যুদ্ধে ব্যস্ত সেনাবাহিনীকে ফুরফুরে রাখার প্রধান হাতিয়ার ছিল ফুটবল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সেই বিখ্যাত ‘ক্রিসমাস ডে ট্রুস’-এর প্রধান আকর্ষণ ছিল একটি ফুটবল ম্যাচ, এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যও রয়েছে। ব্রিটিশ ও জার্মান সেনাবাহিনীর মধ্যে ‘নো ম্যান্স ল্যান্ড’-এ সেই ম্যাচ হয়েছিল বলে শোনা যায়। যদিও এর সত্যতা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চেলসিতে একটি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয় অর্থ সংগ্রহের জন্য। পঞ্চান্ন হাজার দর্শক সেই ম্যাচ দেখেছিলেন। নেভি ওয়েলফেয়ার লিগের জন্য তোলা হয় আট হাজার পাউন্ড।
ফুটবল যে সত্যিই যুদ্ধের হিংসা থামিয়ে শান্তির প্রচারক হতে পারে, তার সেরা উদাহরণ বার্ট ট্রটমান। যার রোমহর্ষক জীবনকাহিনি শুনলে এখনও মনে হতে পারে, এ বুঝি কল্পকথা। জার্মান নাৎসি বাহিনীর প্যারাট্রুপার ছিলেন বার্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ধরা পড়েন ব্রিটিশ সেনার হাতে। দ্রুতই জানাজানি হয়ে যায়, এই জার্মান বন্দি অসামান্য প্রতিভাবান এক গোলকিপার। তাঁকে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে সই করানো হয় এবং গলার হাড় ভেঙে যাওয়া অবস্থায় এফএ কাপ জিতে ইংল্যান্ডের ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে সেরা রূপকথা হয়ে ওঠেন।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য খেলা চালু রাখতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন ক্রীড়া প্রশাসকেরা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট চালু থাকায় বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। তিতিবিরক্ত ডব্লিউ জি গ্রেস সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় বিভাগে চিঠি লেখেন, ‘‘এটা নিশ্চয়ই ভাল দেখায় না যে, এক দিকে আমাদের দেশের মানুষ যুদ্ধে প্রাণ দেবে আর সুস্থ শরীরের কিছু মানুষ মাঠে গিয়ে ক্রিকেট খেলবে। আরও অস্বস্তিকর, কিছু সুস্থ শরীরের মানুষ বিনোদনের নেশায় মত্ত হয়ে সেই ক্রিকেট দেখবে। অবিলম্বে কাউন্টির খেলা বন্ধ হোক।’’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার মধ্যেই ১৯৪৪ সালে তীব্র বোমাবর্ষণ উপেক্ষা করে লর্ডসে একটি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। এক দিকে আর্মি দল, অন্য দিকে র্যাফ একাদশ। আর্মি দলে গাবি অ্যালেন, গডফ্রে ইভান্স, মরিস লেল্যান্ড, জ্যাক রবার্টসনের মতো ক্রিকেটার। র্যাফ একাদশে ছিলেন ওয়ালি হ্যামন্ড, এডরিচ, চার্লি বার্নেট, বব ওয়ায়েট। দুপুর দু’টোর সময়ে ম্যাচ শুরু হয় এবং সেনা দলের স্কোর যখন ৫৭-১, হঠাৎই বিকট এক আওয়াজ। দেখা গেল, মেঘের আড়ালে পাক খাচ্ছে একটি জার্মান কপ্টার। বোমার আঘাতে ঘায়েল। সেই যুদ্ধের আতঙ্কের মধ্যেও ম্যাচ দেখতে হাজির ৩,১০০ দর্শক। ক্রিকেটাররা সকলে মাটিতে শুয়ে পড়লেন। ক্রিকেটের চিরকালীন সংগ্রহশালায় বিখ্যাত হয়ে আছে সেই ছবি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লর্ডসের মাঠে মাটিতে শুয়ে আছেন ক্রিকেটাররা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য লর্ডসে ভূপতিত না হয়ে, জার্মান কপ্টারটি ধসে পড়ে কাছে রিজেন্টস পার্কে। কিন্তু অবাক ব্যাপার, এর পরেও সে দিন খেলা থামেনি। দ্বিতীয় বলেই ওয়ায়েটের বাউন্সার হুক করে ছক্কা মারলেন রবার্টসন। হাততালি দিয়ে উঠলেন দর্শকেরা, যুদ্ধের মধ্যেও স্বাভাবিকতা ফিরল লর্ডসে।
করোনা, লকডাউন— এ সব মিটে গেলে প্রথম ছক্কা মেরে কে স্বাভাবিকতা ফেরাবেন? ৭৬ বছর পরে ফের অপেক্ষায় ক্রীড়া বিশ্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy