ব্যক্তিত্ব: কাজী নজরুল ইসলাম, বুদ্ধদেব বসু ও অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত— ‘কল্লোল’ যুগের তিন সাহিত্যস্রষ্টা
দুই বন্ধু। গোকুলচন্দ্র নাগ ও দীনেশরঞ্জন দাশ। ‘ফোর আর্টস ক্লাব’ নামে শুরু করলেন সাহিত্য, সঙ্গীত, চিত্রশিল্প ও কারুশিল্প অনুশীলন। ক্রমে প্রকাশিত হল ‘কল্লোল’ পত্রিকা। এখন থেকে শতবর্ষ আগে, সাত বছরে ৮১টি সংখ্যায় সমকালীন সাহিত্য-সংস্কৃতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই পত্রিকা। পঙ্কজ বিশ্বাস
তাঁর যে আঁকতে বেশি ভাল লাগে! স্কুলকে বিদায় দিয়ে একরোখা গোকুলচন্দ্র নাগ তাই সরকারি আর্ট স্কুলে, মানে তখনকার দিনে ‘বখাটে ছেলের আড্ডা’য় ভর্তি হলেন। সহপাঠী যামিনী রায়, অতুল বসুর মতো মানুষেরা। পাঠ শেষ হওয়ার পর ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে পুণেতে কাজ শুরু করলেন। বছর খানেক পর অসুস্থ শরীর নিয়ে ফিরতে হল। মামা বিজয় বসুর ‘এস বোস’ ফুলের দোকানে বসতে আরম্ভ করলেন। একদা দীনেশরঞ্জন দাশ নামের এক যুবকের সঙ্গে রাজপথে পরিচয় হয়েছিল। দীনেশবাবু সদ্য লিন্ডসে স্ট্রিটে একটি ওষুধের দোকানে কাজ নিয়েছেন। ফুল কিনতে এসে আবার দেখা। এর পর তিনি প্রায়ই ফুলের দোকানটিতে চলে আসতেন আড্ডা দিতে। আড্ডার সঙ্গীরা হলেন অতুল বসু, দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী, যামিনী রায়, সতীপ্রসাদ সেন (গোরাবাবু)। দীনেশরঞ্জনই এক দিন একটা ক্লাব গড়ার প্রস্তাব করলেন। এমন ক্লাব, ‘যেখানে মানুষ এসে শ্রান্ত জীবন-ভার নিয়ে বিশ্রাম করতে পারবে’।
চতুষ্কলার রঙ্গমঞ্চ
গোকুলচন্দ্র সেই ক্লাবের নামকরণ করলেন ‘ফোর আর্টস ক্লাব’। অনুশীলনের বিষয় হিসেবে সাহিত্য, সঙ্গীত, চিত্রশিল্প ও কারুশিল্পকে বেছে নিয়েছিলেন বলে এই নামকরণ। কিন্তু নারী-পুরুষের যৌথ ক্লাবের জন্য কেউ ঘর দিতে রাজি নয়। দীনেশরঞ্জনের ভগিনীপতি সুকুমার দাশগুপ্তই সমস্যার সমাধান করলেন। প্রতি সপ্তাহের বুধবার তাঁর বাড়ির একটি ঘরে ক্লাবের সভা বসতে থাকে। অনুরাগীদের ভিড় এত বেড়ে যেতে থাকে যে, আসর বসাতে হয় বাইরের কোনও গ্রামে কিংবা উন্মুক্ত প্রান্তরে। ‘মানডে ক্লাব’-এর কথা মনে রেখেও বলা যায়, এই ক্লাবের বৈশিষ্ট্য ছিল মেয়েদের অংশগ্রহণ। দু’বছর চলার পর উদ্যোক্তার অভাবে আর শত্রুতার কারণে ক্লাবটি উঠে যায়।
পয়লা বৈশাখে
ক্লাব প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই একটি পত্রিকা প্রকাশের বাসনা উদ্যোক্তাদের মনে ছিল। ক্লাব ভেঙে গেলেও তাঁরা নিরাশ হলেন না। ‘ফোর আর্টস ক্লাব’-এর সাহিত্য বিভাগের একটি খাতা, মণীন্দ্রলাল বসুর লেখা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, ‘প্রবাসী’ পত্রিকার ঘনিষ্ঠ সুধীরকুমার চৌধুরীর লেখক জোগাড় করে দেওয়ার আশ্বাস যেন তাঁদের সাহস জোগাল। “৩০শে চৈত্র সংক্রান্তি— চৈত্র মাসের সং দেখিতে পথে বিপুল জনতা হয়। সেই সুযোগে গোকুল ও আমরা কয়েকজন মিলিয়া হ্যান্ডবিল্ বিলি করিতে বাহির হইয়াছিলাম। ইহার পূর্বেই কল্লোলের কিছু কিছু কাপি প্রেসে ছাপিতে দেওয়া হয়। বিধাতার সাহায্যে ১৩৩০-এর পহেলা বৈশাখ কল্লোল ছাপিয়া বাহির হইল।” এমনটাই জানিয়েছেন পত্রিকার সম্পাদক দীনেশরঞ্জন।
‘বঙ্গদর্শন’ বা ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার মতো কোনও বিশেষ ইশতেহার ঘোষণা করে ‘কল্লোল’ আত্মপ্রকাশ করেনি। তবে এর পাতায় প্রকাশিত কবিতা, গদ্য-প্রস্তাব, সম্পাদকীয় মন্তব্য, চিঠিপত্র থেকে পত্রিকাটির উদ্দেশ্য অস্পষ্ট থাকে না। ১৩৩১ সালের কার্তিক সংখ্যায় সম্পাদকগোষ্ঠী যেমন জানায়, “মানুষের প্রেমের মধ্যে যে ধ্রুবত্ব ও সৌন্দর্য, কামনায় যে অশান্তি ও বেদনা তাহাই কথাসাহিত্যের আকারে প্রকাশ করিবার চেষ্টা কল্লোলের প্রত্যেক রচনাতে অন্তরলোকের আকাঙ্ক্ষার মত নীরবে নিহিত থাকে।” দারিদ্রের বিবরণ, জীবনসংগ্রামের আখ্যান কল্লোল গোষ্ঠীর লেখকদের লেখায় আছে। রবীন্দ্রবৃত্তের বাইরে গিয়ে সমকালীন বিদেশি সাহিত্য ও দর্শনের আদর্শ প্রয়োগ এই তরুণদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে ওঠে।
‘এক মুঠো’ আড্ডা
কলেজ স্ট্রিট থেকে সূর্য সেন স্ট্রিট (তখন মির্জাপুর স্ট্রিট) ধরে এগিয়ে গিয়ে বাঁ হাতে একটি গলি। পটুয়াটোলা লেন। এরই উপর একটি ছোট্ট দোতলা বাড়ি। এই বাড়ির এক তলায় রাস্তার দিকে ‘এক মুঠো’ ঘরে ছিল ‘কল্লোল’-এর অফিস। মাঝে কিছু দিন অবশ্য কর্নওয়ালিস স্ট্রিটে স্থানান্তরিত হয়। “‘কল্লোল’ আপনার পত্রিকা, যে আসবে এ ঘরে তারই পত্রিকা। লিখুন-লেখা দিন...”— দীনেশরঞ্জনের সঙ্গে অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের প্রথম সাক্ষাৎ এমনই আন্তরিকতায় হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তরুণ লেখকেরা ‘কল্লোল’-এর এই উষ্ণ অভ্যর্থনায় ‘এক মুঠো’র ঘরে এক এক করে জড়ো হতে থাকেন। প্রেমেন্দ্র মিত্র তাঁর ‘নানা রঙে বোনা’ বই-তে জানিয়েছেন, কল্লোলের অফিস তাঁদের কাছে ছিল বাস্তবিকই ‘একটি স্নেহের নীড়।’
‘মণিলালের আসর’ (‘ভারতী’), ‘সবুজ সভা’-র আড্ডা থেকে কল্লোলের আড্ডা যেন একটু ব্যতিক্রমী। তারুণ্য এর প্রাণ। অনেকেরই সাহিত্যিক প্রতিষ্ঠা যাকে বলা হয়, তখনও গড়ে ওঠেনি, চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার স্রেফ আড্ডার টানেই জমা হতেন। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ‘কল্লোল যুগ’ গ্রন্থে এই আড্ডার মেজাজ সুন্দর ফুটে উঠেছে— “পকেটে পয়সা হয়তো নেই, হেঁটে বাড়ি ফিরতে হবে, তবু কল্লোলের অফিসে হাজিরা দেওয়া চাই।” আড্ডাধারী ভূপতি চৌধুরী ‘কল্লোলের দিন’ লেখায় জানিয়েছেন, ‘“দে গরুর গা ধুইয়ে...” বলে হাঁক ছেড়ে কাজী কল্লোল আপিসের দরজায় এসে হানা দিত। ঘরে ঢুকেই চৌকিতে বসে বার করত এক ঝুলি— আরসী, চিরুণী, স্নো ইত্যাদিতে ঠাসা। ঝাঁকড়া ঝাঁকড়া অসংযত চুলগুলিকে চিরুণীর সাহায্যে সুবিন্যস্ত করে, মুখে স্নো লাগিয়ে একটু ঠাণ্ডা হয়ে সুরু করত আড্ডা। সকল কাজকর্ম বন্ধ— শোন কাজীর গান, গল্প ও হল্লা। কাজী চলে গেলে আবার সব চুপচাপ। ঝড়ের পর স্তব্ধতা।”
গুরু-শিষ্য সংবাদ
‘শনিবারের চিঠি’-র একটি সংখ্যায় (৪ অক্টোবর ১৯২৪) নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার প্যারডি প্রকাশিত হয়। নজরুল ভাবলেন, মোহিতলাল মজুমদারই এর লেখক। এক সময় দু’জনের গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক ছিল। এক দিন মোহিতলাল ‘মানসী’-তে প্রকাশিত তাঁর ‘আমি’ নামক গদ্যটি নজরুলকে পড়ে শুনিয়েছিলেন। ‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রকাশিত হলে দেখা যায় ‘আমি’ রচনার সঙ্গে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ভাব ও বাক্যের মিল আছে। অথচ নজরুল কোনও ঋণই স্বীকার করেননি। মোহিতলালের এ জন্য তাঁর প্রতি ক্ষোভ ছিল বলেই জানতেন নজরুল। সেই জ্বালা থেকেই তাহলে মোহিতলাল এই কাজটি করলেন! মোহিতলালকে লক্ষ করে নজরুলও লিখে বসলেন ‘সর্বনাশের ঘণ্টা’ কবিতা। প্রকাশিত হল ১৩৩১ সালের কার্তিক সংখ্যার ‘কল্লোল’-এ, লিখলেন, “ভূধর প্রমাণ উদরে তোমার এবার পড়িবে মার।” মোহিতলালও চুপ করে থাকার মানুষ নন। ওই ‘শনিবারের চিঠি’-তেই (৮ কার্তিক, ১৩৩১) জবাব দিলেন ‘দ্রোণগুরু’ কবিতার মধ্যে দিয়ে, “গুরু ভার্গব দিল যা তুহারে!—ওরে মিথ্যার রাজা” বলে।
মজার কথা হল ‘বিদ্রোহী’-র প্যারডিটি মোহিতলাল লেখেননি। লিখেছিলেন সজনীকান্ত দাস, বেনামে। পরবর্তী কালে কল্লোলের সঙ্গে সজনীকান্তের সম্পর্ক গড়ে উঠলেও নজরুল-মোহিতলালের সেই ভাঙা সম্পর্ক আর জোড়া লাগেনি।
রেফারি যখন রবীন্দ্রনাথ
‘কল্লোল’ ও ‘কালি-কলম’ পত্রিকার রুচি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে সজনীকান্ত দাস রবীন্দ্রনাথের কাছে একটি চিঠিতে বিচার প্রার্থনা করেছিলেন। “যৌনতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব অথবা এই ধরনের কিছু নিয়েই এগুলি লিখিত হচ্ছে।” এই প্রসঙ্গে সজনীকান্তকে চিঠিতে (২৫ ফাল্গুন, ১৩৩৩) শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক ক্লান্তির কথা জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আশা প্রকাশ করেছিলেন সুসময় এলে তাঁর যা বলার তিনি বলবেন। ১৩৩৪ সালের ৪ চৈত্র শনিবার এবং ৭ চৈত্র মঙ্গলবার জোড়াসাঁকোর ‘বিচিত্রা’ ভবনে ‘নবীন’ ও ‘সনাতনী’ দুই পক্ষের ঝগড়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বসে বৈঠক।
রবীন্দ্রনাথ সে দিন কোনও পক্ষকেই সন্তুষ্ট করতে পারেননি। কল্লোল গোষ্ঠী তাঁদের বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতি প্রসন্ন দৃষ্টির পরিচয় রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে (‘সাহিত্যরূপ’, ‘প্রবাসী’, বৈশাখ ১৩৩৫) পায়নি। অন্য দিকে ‘শনিবারের চিঠি’ গোষ্ঠীও ‘শুচিতা রক্ষা’র খোঁজ পেল না। দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই রবীন্দ্র-বিরোধী প্রতিক্রিয়া দেখা দিল। ১৩৩৬ সালের কার্তিক সংখ্যা ‘কল্লোল’-এ প্রকাশ পেল অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ‘আবিষ্কার’ কবিতা। রবীন্দ্র-সাহিত্য আদর্শের বিপরীতে এই কবিতাটিই ‘কল্লোল’-এর প্রথম প্রকাশ্য বিদ্রোহ— “সম্মুখে থাকুন বসে/ পথ রুধি/ রবীন্দ্র ঠাকুর...”। এই আবহে রবীন্দ্রনাথের উত্তর ছিল ‘শেষের কবিতা’। বুদ্ধদেব বসু মনে করেছেন (‘রবীন্দ্রনাথ: কথাসাহিত্য’), “মনে হ’লো বইটা যেন আমাদেরই, অর্থাৎ নবীন লেখকদেরই উদ্দেশে লেখা, আমাদেরই শিক্ষা দেবার জন্যে এটি গুরুদেবের একটি তির্যক ভর্ৎসনা।”
স্বপ্ন মরে না
‘কল্লোল’ প্রকাশের আড়াই বছর পর, দীর্ঘ রোগভোগে ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫-এ সহ-সম্পাদক গোকুলচন্দ্রের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সহযোদ্ধা দীনেশরঞ্জনের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিলেন, পত্রিকাটি যেন বন্ধ না হয়। কিন্তু এত বড় কর্মকাণ্ড দরিদ্র দীনেশরঞ্জন কেমন করে সামলাবেন! পত্রিকা বিক্রি করে যে সামান্য আয় হয়, তাতে নিজের গ্রাসাচ্ছাদনও সম্ভব হয়ে ওঠে না। এর পর ১৩৩১ সালের বৈশাখে ‘কল্লোল পাবলিশিং হাউস’ স্থাপন করে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলেন। ‘কল্লোল’ পত্রিকাকে সেই ফল ভোগ করতে হয়েছিল। ‘কল্লোল’ থেকে বেরিয়ে এসে প্রধান দুই লেখক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় এবং প্রেমেন্দ্র মিত্র ১৩৩৩-এর বৈশাখে ‘কালি-কলম’ প্রকাশ করলেন। আদর্শগত বিরোধের জন্য নয়, অর্থের প্রয়োজনে। যদিও পরে তাঁরা আবার ‘কল্লোল’-এ ফিরে এসেছিলেন।
পৌষ ১৩৩৬ ‘কল্লোল’-এর শেষ সংখ্যা। এই বছরেই দীনেশরঞ্জনের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। দীর্ঘ দিনের জন্য তিনি কলকাতার বাইরে চলে গেলেন। ফিরে এসে নিউ থিয়েটার্স-এ যোগ দেন। ১৯৪১ সালের ‘প্রতিশ্রুতি’ চিত্রে নিজের ভূমিকার কাজ শেষ করার পর ডুয়োডেনাল আলসার রোগে আক্রান্ত হন এবং তাঁর মৃত্যু হয়। “বাংলা সিনেমা প্রথম ক্ষতি করলো কল্লোলের অপমৃত্যুর জন্য অন্তত আংশিক রূপে দায়ী হয়ে...” আক্ষেপ করেছিলেন বুদ্ধদেব বসু।
প্রায় সাত বছরের আয়ুষ্কালে ‘কল্লোল’ তার ৮১টি সংখ্যায় সেই সময়ের বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকি বাংলার বাইরেও ‘কল্লোল’-এর ক্লাব গড়ে উঠেছিল। তখনকার আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম পর্যায়ের লিখিয়েরা ‘কল্লোল’-এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠার পিছনে ‘কল্লোল’-এর ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। ঐতিহাসিক বিচারে ‘কল্লোল’, ‘কালি-কলম’, ‘প্রগতি’-কে নিয়ে গোটা ‘কল্লোল যুগ’। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত দীনেশরঞ্জনের মৃত্যুতে যে স্মৃতিচারণা করেছেন, সে কথা ‘কল্লোল’-এর ক্ষেত্রেও মিথ্যে নয়, “স্বর্গের স্বপ্ন যে না দেখেছে সে আর্টিস্ট নয়— এই স্বপ্ন সেদিন দেখেছিলেন দীনেশ— দেখিয়েছিলেন আমাদেরকে...।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy