Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ২৯
Bengali Story

হাওয়ার আড়ালে

কী বলে গেল মেহুলি! আকিঞ্চনের চাইতে রিলায়েবল মানে! আকিঞ্চন কি নিজের মেয়ের সঙ্গে কিছু… উফ। দু’হাতে মাথা চেপে ধরল কস্তুরী। নাহ! এই ব্যাপারে আর কিছুই সে ভাববে না।

Woman.

ছবি: পিয়ালী বালা।

অজিতেশ নাগ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৫:০৩
Share: Save:

আর কার জন্যই বা থাকবে কস্তুরী? লম্পট স্বামীর সঙ্গে ঘর করা অসম্ভব।

“উই হ্যাভ ট্রায়েড আওর লেভেল বেস্ট, বাট…” বাঁধা বুলি আউড়েছিল আকিঞ্চনের পক্ষের উকিল। পাত্তা দেয়নি কস্তুরী। ইতিমধ্যে আকিঞ্চনের জমানো প্রচুর টাকা গলে গেছে মামলার বিপুল খরচা চালাতে। কস্তুরী উদাসীন ছিল। পাপের বিনিময়ে জমানো টাকা পাপক্ষালনেই যাক, এমনটাই মনে হয়েছিল তার।

এ দিকে এই মাসেই চলে যাচ্ছে মেহুলি। গত কয়েক দিনের গোছগাছ দেখে এমনটাই মনে হয়েছিল কস্তুরীর। এত দিন কথাবার্তা বন্ধই রেখেছিল, গত সপ্তাহ থেকে টুকটাক কথা চালাচালি শুরু করেছিল মেহুলি। এক দিন সুযোগ পেয়ে আগের মতোই মেয়েকে কাছে টেনে বলেছিল, “তুই সত্যি যাচ্ছিস মা? সামনে তোর পরীক্ষা না?”

মেহুলি অদ্ভুত ভাবে হেসে বলেছিল, “আমার উপরে বিশ্বাস রেখো। আর এগজ়ামের প্রিপারেশন তেমন ভাল হয়নি। তাই আঙ্কল বলছিল, এক বছর গ্যাপ দিলে কিছু হবে না। জাস্ট পাশ করবার জন্য এগজ়াম দেওয়ার দরকার নেই। আগে ঘুরে আসি। আঙ্কল প্রমিস করেছে সামনের বছরে আমাকে স্ট্যান্ড করিয়ে তবে ছাড়বে।”

মাথায় দপ করে আগুন জ্বলে উঠতে যাচ্ছিল কস্তুরীর, নিজেকে সামলে নিয়ে বলেছিল, “তোর কাছে আজ আঙ্কলই সব হল?”

ঘরে ঢুকে যেতে যেতে মেহুলি উত্তর দিয়েছিল, “অ্যাট লিস্ট বাপির চেয়ে রিলায়েবল।”

কী বলে গেল মেহুলি! আকিঞ্চনের চাইতে রিলায়েবল মানে! আকিঞ্চন কি নিজের মেয়ের সঙ্গে কিছু… উফ। দু’হাতে মাথা চেপে ধরল কস্তুরী। নাহ! এই ব্যাপারে আর কিছুই সে ভাববে না। কেন ভাববে? আকিঞ্চন কি নিজের অগ্নিসাক্ষী করা স্ত্রীর ব্যাপারে ভেবেছে? দুটো বুড়োবুড়ি নিয়ে এত বড় বাড়িতে মা একা থাকবে, মেহুলি ভেবেছে?

এ দিকে পনেরো দিন হয়ে গেল মিশুকের পাত্তা নেই। আন্দামান থেকে ফিরে নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রেখে যাচ্ছে বটে, কিন্তু দেখা করবার সময় নেই। এটা অনস্বীকার্য মিশুকের জন্যই নিজের সঙ্গে লড়ার শক্তি পেয়েছে সে। মিশুক এখন রেড উইন্ডোজ়-এ জয়েন করেছে। নতুন এপিসোড, নতুন ডিরেক্টর। মিশুক বলেছে এ বারে লিড রোল না হলেও জাস্ট ক্যামিয়ো নয়। বড়সড় পার্ট। ফলে সে দারুণ ব্যস্ত। এ বারের শুটিং চলছে ভি-লাইনে স্টুডিয়োতে। জায়গাটা ব্রেসব্রিজ পেরিয়ে জিঞ্জিরাবাজারের সিগন্যাল থেকে ডান দিকে মোড় ঘুরে এগোলে সামান্য পরেই। যোধপুর পার্ক থেকে অনেকটা। তবুও এক দিন গিয়েছিল কস্তুরী। মিনিট পঁচিশ অপেক্ষা করেও দেখা পায়নি মিশুকের। ফ্লোর থেকে বেরোনোর সময়ই পায়নি মিশুক।

কান্না পায় কস্তুরীর। এই সব কেস-ফেস নিয়ে ঝঞ্ঝাটে বেশ কিছু দিন কামাই হয়েছে অফিসে। প্রথম-প্রথম অফিস যেতে ভয় পেত সে। হাজার হোক সব মিলিয়ে নিরামিষ তো নয় ব্যাপারটা, বরং বেশ মুখরোচক। তাই অফিসে গেলেই যদি আলোচিত, এবং সবার দৃষ্টি আকর্ষণের কারণ সে হয়ে যায়, সেই ভয়ে দিন তিনেক ডুব মেরে থাকার পর বিভাস দত্তের ফোন পায় সে। সে শঙ্কিত হয়েছিল। না জানি কী সব কথা শুনিয়ে দেবে মর্কটটা। কিন্তু রিসিভ করে অবাক হয়েছিল সে। আকিঞ্চনকে নিয়ে একটা শব্দ খরচ না করে বিভাস দত্ত জানিয়েছিল, স্বয়ং মালিক তাকে খুঁজছেন। তবে কি চাকরি নট? না। তাকে আশ্বস্ত করেছিল দত্ত। মিসেস কস্তুরী রায়ের জন্য নাকি একটা সারপ্রাইজ় অপেক্ষা করে আছে। তার মতো এক জন মামুলি স্টাফের জন্য কী সারপ্রাইজ় থাকতে পারে? আকাশপাতাল ভেবেও কূলকিনারা পায়নি কস্তুরী। বিভাস দত্ত অবশ্য ভাঙলেন না। পরদিন দশটার মধ্যেই আসতে বললেন কস্তুরীকে।

যা ভেবেছিল তার উল্টো হল। আকিঞ্চনের জেলযাত্রা অথবা তার রসালো জীবনযাপনের খবর, কোনও কিছু নিয়েই তাকে কেউ ডিস্টার্ব করেনি। এতটা ঝড়ের পর অফিসের এই সহযোগিতার মানসিকতায় চোখে জল এসে গিয়েছিল কৃতজ্ঞতায়। শুধু তমালিকা এসে সামান্য খোঁজখবর নিয়েছিল ফিসফিস করে। ব্যস, আর কেউ না। অফিস ক্যান্টিনে বসে অদ্রিজা তো প্রথমেই শুরু করেছিল, নেচার পার্কে বেড়াতে গিয়ে একটা হাফপ্যান্ট পরা সাহেবের ‘লেগপিস’ দেখে কেমন করে পুরো ফিদা হয়ে গিয়েছিল, তারই বৃত্তান্তে। সত্যিই মেয়েটা পারেও বটে। অনেক দিন পর খিলখিল করে হেসে উঠেছিল কস্তুরী।

বিলাসসুন্দর রুংটা অফিসে পা রেখেছিলেন ঠিক এগারোটা পাঁচে। এগারোটা কুড়িতে বিভাস দত্ত ইশারায় জানালেন, সাহেব ডাকছেন। অনুমতি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করতেই ইশারায় কস্তুরীকে বসতে বললেন। এত দিন এই অফিসে কাজ করছে কস্তুরী, এই প্রথম রুংটাজির সঙ্গে একা কথা বলছে সে। বুকটা ধুকপুক করছিল, কিন্তু মোবাইলটা টেবিলে নামিয়ে তিনি যে ভাবে তার দিকে তাকালেন, মনটা হালকা হয়ে গেল কস্তুরীর। মেয়েরা সব চাউনি বুঝতে পারে। কস্তুরীর নিজের বাবার কথা মনে পড়ে গেল। মনে পড়ল, কত দিন সে বাপের বাড়ি যায়নি। কস্তুরীর বাবা ব্রজনারায়ণ মজুমদার বেশ কয়েক বার ফোন করে আসতে বলেছিল। কস্তুরীই সময় বার করতে পারেনি। কস্তুরী অবাক হয়ে দেখল রুংটাজির চোখ দুটো হুবহু তার বাবার মতো, বড্ড মায়াপ্রবণ।

বিলাসসুন্দর রুংটা সামান্য হেসে পরিষ্কার ঝরঝরে বাংলায় বললেন, “আপনার কাছে একটা প্রোপোজ়াল আছে মিসেস রায়। এখনই রিপ্লাই দেওয়ার দরকার নেই। কাল বললেও হবে।”

“কী স্যর?”

“আপনি হয়তো জানেন মার্ভেল এক্সপোর্টার্স, লিমিটেড কোম্পানিতে কনভার্টেড হচ্ছে। লিমিটেড কোম্পানির মানে বোঝেন? বাজারে শেয়ার ছেড়ে ক্যাপিটাল তুলে আনা হবে। বাট দ্যাট ইজ় নট ইয়োর কাপ অব টি। আমাদের এই গুরুসদয় দত্ত রোডের অফিস শিফট হয়ে যাচ্ছে কিড স্ট্রিটে। চেনেন?”

“কখনও যাইনি। শুনেছি জাদুঘরের কাছেই।”

“ইয়েস!” বলেই বেশ জোরে হেসে উঠলেন রুংটাজি। কস্তুরী ভেবে পেল না এ কথায় এত হাসির কী আছে?

“ডোন্ট মাইন্ড মিসেস রায়, আপনারা ইন্ডিয়ান মিউজ়িয়ামকে জাদুঘর, আইমিন ম্যাজিক রুম, কেন বলেন? আমি অনেককে জিজ্ঞেস করেছি, কারেক্ট অ্যানসার পাইনি। অ্যাকচুয়ালি ওখানে ম্যাজিকের তো কিছু নেই, রাদার, আ ফাইন প্লেস অব হিস্টোরিক্যাল ইনভেনশন!”

“আমিও জানি না স্যর। তবে ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। আমার মনে হয় ম্যাজিক মানে যেমন চমক, আই মিন, যা দেখলেই স্টান্ট হয়ে যেতে হয়, তেমন আইটেমস রয়েছে। মানে মানুষ আগে দেখেনি, ওখানে ঢুকে দেখল আর চমকে গেল। তাই জাদুঘর। যেমন চিড়িয়াখানা বা আপনারা যাকে বলেন চিড়িয়াঘর। চিড়িয়া মানে তো পাখি, বার্ড। কিন্তু চিড়িয়াখানাতে তো জাস্ট পাখিই নেই, অন্য অনেক জীবজন্তু আছে। তাই না?”

টেবিলের উপরে চাপড় মেরে রুংটাজি সোজা হয়ে বসলেন, “স্প্লেনডিড। সোচনে কী বাত হ্যায়। গুড প্রেজ়েন্স অব মাইন্ড। দ্যাট’স হোয়াই আপনার কাছে দুটো প্রোপোজ়াল রাখছি। প্রথম কথা, আপনাকে কিড স্ট্রিটের অফিসে ট্রান্সফার করে দিচ্ছি। ওখানে আপনি রিজিয়োনাল ম্যানেজার হবেন। ন্যাচারালি স্যালারি, পার্কস সব কিছুর বেটারমেন্ট হবে। সেকেন্ড অপশন, আপনি চাইলে আমাদের ভুবনেশ্বরের অফিসে চলে যেতে পারেন। ওটা একটা সফ্টওয়্যার কোম্পানি, আমাদের গ্রুপেরই। এক মাসের মধ্যে চালু হবে। অ্যাকচুয়ালি আপনার রিসেন্ট ইনসিডেন্টটার রেসপেক্টে এই অফারটা দিলাম। আমার মনে হল আপনার কলকাতা ছেড়ে বেরিয়ে পড়া দরকার। ওখানে গেলে আপনি কোয়ার্টার্স পাবেন, অফিস পারপাসে ইউজ় করার জন্য গাড়ি পাবেন। প্লাস ওখানকার ন্যাচারাল বিউটি, ওফ, জাস্ট মার্ভেলাস! এ বারআপনার ডিসিশন।”

এতটা বলে মিস্টার রুংটা টেবিলে রাখা ঢাকা দেওয়া জলের গ্লাস হাতে তুলে নিলেন। কস্তুরী হতভম্ব হয়ে গেল।

“আপনি ভাবুন মিসেস রায়। বাট, এখনই ডিসক্লোজ় করবেন না। আসলে সবাই যাচ্ছে না কিড স্ট্রিটের অফিসে।”

“মানে অদ্রিজা, তমালিকা...”

রুংটাজি হাত তুলে থামালেন, “ওরা কেউ না। এই অফিসে আমি অন্য বিজ়নেস শুরু করব। ওরা এখানেই থাকবে। তবে সবাই নয়। সাম লেজ়ি স্টাফ উইল বি স্যাকড। তাই এই অফিস থেকে সিলেক্টেড কিছু স্টাফ নিচ্ছি। বাকিরা রিক্রুটেড। ভাববেন না। নতুন অফিসের স্টাফরা অনেক বেশি প্রফেশন্যাল। বেটার ওয়ার্কিং এনভায়রনমেন্ট পাবেন। বাট মাই সাজেশন, আপনি ভুবনেশ্বর চলে যান। আপনার রিক্রিয়েশন দরকার। এক-দু’বছর থাকুন। তার পর চাইলে ফের কলকাতায় ব্যাক করবেন।”

“কিন্তু ওখানে তো সফ্টওয়্যার... মানে আমি...”

“কাম অন মিসেস রায়। যে বিজ়নেসই আপনি করুন না কেন, সেখানে অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্ট থাকবেই। ওটা আপনি দেখবেন। আপনার আন্ডারে তিন জন স্টাফ থাকবে।”

“আচ্ছা। একটু ভাবি।”

“শিয়োর। আমি জানি এই ভাবে চটজলদি আপনি ডিসিশন নিতে পারবেন না। আসলে কলকাতায় আর কিছু নেই। চার দিকে এত প্যারাডক্সিক্যাল সিচুয়েশন।”

রুংটা নিজের মোবাইল ফোনটা হাতে তুলে নিতেই কস্তুরী বুঝল, কথা শেষ। সে গিয়ে নিজের জায়গায় বসতেই তমালিকা প্রায় দৌড়ে এল, “কী রে? বস কী বলল?”

বলতে চাইলেও বলতে পারবে না কস্তুরী। তমালিকার উপরে বিভাস দত্ত বেশ খচে। এমনিতে মেয়েটা মন্দ নয়, তবে সত্যি রুংটাজির ভাষায় ‘লেজ়ি’। হয়তো ওর চাকরিটা থাকবে না। কস্তুরীর সেই মুহূর্তে যা মনে এল, একটা ভুজুংভাজুং দিয়ে ওকে থামিয়ে দিল। যদিও তমালিকার চোখ বলে দিচ্ছিল, কস্তুরীর কথা ও বিশ্বাস করেনি।

তবে একদম চেপে রাখতে পারবে না সে। সেকেন্ড ওপিনিয়ন দরকার। আজ একটা অ্যাপ-ক্যাব বুক করল সে। যাওয়ার পথে অদ্রিজাকে রানিকুঠিতে নামিয়ে দিয়ে যাবে। গাড়িতে উঠে অদ্রিজা বলল, “হ্যাঁ, এই বার বল।”

কস্তুরী অবাক হয়ে বলল, “তুই কী করে জানলি যে আমি...”

“আমি শুধু ছেলেই দেখি না, মেয়েদেরও দেখি। আর তোকে তো চিনি হাড়ে হাড়ে। বলে ফেল।”

কস্তুরী সবটা বলল। সব শুনে মাথা নেড়েবলল, “স্বাভাবিক।”

“কী স্বাভাবিক?”

“রুংটাজির প্রপোজ়াল। ওর কেউ জানে না। আমি জানি। আর হয়তো বিভাস দত্ত জানে।”

“কী কেস!”

“তোর মতো কেস রুংটাজিরও। ওর বৌ ওকে ছেড়ে চলে গেছে অন্য কারও সঙ্গে। বছর পনেরো-ষোলো আগে। তার আগে মার্ভেল এক্সপোর্টার্স বিলাসপুরে ছিল। ওই ঘটনার পর রুংটাজি বিজ়নেস শিফট করে আনেন ওয়েস্ট বেঙ্গলে। রুংটাজির প্রচুর টাকা খসেছিল সেই কেসে। মেন্টালি খুবভেঙে পড়েছিলেন।”

“তুই এত কথা জানলি কী করে?”

“রুংটাজির এক জন সেক্রেটারি ছিল। মোহিনী না দামিনী কী যেন নাম। তোর জয়েন করার মাস সাতেক আগে সে বিয়ে করে চলে গেছে। আমার সঙ্গে হেব্বি দোস্তি হয়েছিল মেয়েটার। সে-ই বলেছিল। বাদ দে। তুই কী করবি ঠিক করলি? আরে দাঁড়া, তার আগে তোর কাছ থেকে একটা ট্রিট আদায় করি। কোথায় দিবি বল? ট্রিঙ্কা’জ়? হোয়াইট ওয়াইন আর চিকেন সালামি?”

“দাঁড়া তো। এ দিকে আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কী করব একটা অ্যাডভাইস দে না প্লিজ়।”

অদ্রিজা গম্ভীর হল। বলল, “ওড়িশা বেটার অপশন, কিন্তু তোর ফাদার-ইন-ল, মাদার-ইন-ল? তা ছাড়া তোর মেয়ে?”

“হুম। সেটাই তো। ওদের ফেলে যাওয়া সম্ভব নয় রে। স্পেশালি আমার শ্বশুরমশাই। ওই বুড়ো লোকটাকে ছেড়ে যাওয়া আমার পক্ষে নেক্সট টু ইম্পসিবল। আর মেহুলি? ওর এখনও পড়াশেষ হয়নি।”

“ওকে। স্টে হিয়ার।”

“তা হলে ভুবনেশ্বর ক্যানসেল। কী বলিস? রুংটাজিকে কাল বলে দেব।”

“কালই বলিস না। পরশু বল। তা হলে বুঝবে অনেক ভেবেচিন্তে ডিসিশন নিয়েছিস।”

“হ্যাঁ। এই বার বল, কোথায় যাবি। তবে তোর ওই ট্রিঙ্কা’জ়-ফিঙ্কাস নয়। আমি মদ খাই না।”

“তো কী হল! এক দিন খা না। খেয়ে দেখ কেমন লাগে। সারা জীবন টান্টু হয়ে থেকে যাবি না কি?”

ছদ্ম-রাগে কস্তুরী ওর দিকে তাকিয়ে চোখ পাকাতেই হেসে ওঠে অদ্রিজা। তার পর দু’জনে এগোয় পছন্দের রেস্তরাঁর খোঁজে।

ক্রমশ

অন্য বিষয়গুলি:

Bengali Story Society
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy