Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১২
Bengali Story

হাওয়ার আড়ালে

কস্তুরী বুঝল, ইনসুলিন দেওয়ার জন্য লোক এসেছিল। ঘরে ঢুকে দেখল, শ্বশুরমশাই সোফায় পা তুলে বসে আছেন। সামনে খালি চায়ের কাপ। কস্তুরী ঢুকতেই ভদ্রলোক সচকিত হয়ে বসে সামান্য হাসলেন।

houses.

ছবি: পিয়ালী বালা।

অজিতেশ নাগ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৮:২০
Share: Save:

পূর্বানুবৃত্তি: রাধিয়ার কাকু-কাকিমার তেরো-চোদ্দো কাঠা জমি ছিল। সে জমি ভবিষ্যতে রাধিয়াই পেত, কিন্তু আগে থেকেই তা হস্তগত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল রাধিয়ার স্বামী আদিনাথ। পরে সেই কাকু-কাকিমার অবর্তমানে নানা ভাবে সে অত্যাচার শুরু করেছিল রাধিয়ার উপরেও। তখনই রাধিয়ার জীবনে আসে আকিঞ্চন। আইনি সমস্যায় রাধিয়ার উকিল হিসাবে দাঁড়ায়। সেই সূত্রেই ওদের পরিচয় ক্রমে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। আদিনাথের শত্রুতা থেকে রাধিয়াকে সুরক্ষিত করে আকিঞ্চন। রাধিয়া ক্রমশ আরও বেশি আঁকড়ে ধরে আকিঞ্চনকে। অন্য দিকে, মিশুক মুখার্জির ফেসবুক-বন্ধু হওয়ার আনন্দেই সারা দিন বুঁদ হয়ে থাকে কস্তুরী।

পাড়ার মনিহারি দোকানটার সামনে আসতে কস্তুরীর মনে পড়ল, শ্বশুরমশাইয়ের জন্য বিস্কুট নিতে হবে। এই দোকানের মালিক একটা মাঝবয়সি লোক, নাম হরিপদবাবু। ভদ্রলোক রিটায়ার করার পর দোকানটা খুলেছেন। এই দোকান খোলার পিছনে ইউনাইটেড গোল্ড ক্লাব তথা আকিঞ্চন রায়ের অদৃশ্য হাত আছে, জানে কস্তুরী। হরিপদবাবুও তাই কস্তুরীকে খাতির করেন। ভদ্রলোক বড্ড আয়েশি। যে দিন ইচ্ছে হয় দোকান খোলেন, না হলে বন্ধই রাখেন। ভদ্রলোকের ছেলে থাকেন কানাডায়। ওখান থেকেই ডলার আসে। দোকানটা আসলে টাইমপাস।

কস্তুরীকে দেখতে পেয়েই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন ভদ্রলোক, “বলুন ম্যাডাম। কিছু লাগবে?”

কস্তুরী হেসে বলল, “ভাল আছেন তো?”

“আছি ম্যাডাম।”

“ছেলে?”

ছেলের প্রসঙ্গে ভদ্রলোক ভারী হৃষ্ট হন। কান অবধি হেসে বললেন, “খুব ভাল। ছেলে আসছে।”

হরিপদবাবুর ‘ছেলে আসছে’ এই খবরটা বছর কয়েক ধরেই শুনে আসছে পাড়ার লোকজন। প্রতি বছরেই নাকি পুজোর সময় ছেলের আসার কথা, আর প্রতি বারই কোনও না কোনও কারণে সে যাত্রা বাতিল হয়ে যায়।

কস্তুরী মৃদু হেসে বলল, “কবে?”

“এই তো সামনের অক্টোবরেই। তা আপনার কী লাগবে বললেন না তো ম্যাডাম?”

“দু’প্যাকেট বিস্কিট।”

হরিপদবাবু জানেন কোন বিস্কুট কস্তুরী নেন, কার জন্য নেন। সেটারই দুটো প্যাকেট একটা প্লাস্টিকে ভরে এগিয়ে দিয়ে বললেন, “শ্যামলেন্দুবাবু কেমন আছেন এখন?”

“ওই চলছে। বৃদ্ধ মানুষ যেমন থাকেন আর কী।”

দাম মিটিয়ে ‘আসছি’ বলে বাড়ির দিকে এগোয় কস্তুরী। আজ তার মনে খুব আনন্দ। কিন্তু বাড়িতে সেই আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মতো কেউ নেই।

নাঃ, এক জন আছে। স্বয়ং শ্যামলেন্দু। ভদ্রলোকের সিনেমার ব্যাপারে খুব আগ্রহ ছিল এক সময়, তবে সেটা যমুনা বড়ুয়া অবধি গিয়ে আটকে গেছে। তবে বাড়িতে একমাত্র কস্তুরীর কথাই তিনি ভারী মন দিয়ে শোনেন। কস্তুরী ঠিক করল, শ্যামলেন্দুর সঙ্গেই আনন্দটা ভাগ করে নেবে। তার কত দিনের স্বপ্ন পূরণ!

বাড়ি নিঝুম। দরজা খুলে দিল চন্দন। কস্তুরী জিজ্ঞেস করল, “মা কোথায় রে?”

“ইঞ্জেকশনদাদা এয়েচিলেন। তিনি বেইরে গেলে দিদা ঐ কেলাবে গেচে।”

কস্তুরী বুঝল, ইনসুলিন দেওয়ার জন্য লোক এসেছিল। ঘরে ঢুকে দেখল, শ্বশুরমশাই সোফায় পা তুলে বসে আছেন। সামনে খালি চায়ের কাপ। কস্তুরী ঢুকতেই ভদ্রলোক সচকিত হয়ে বসে সামান্য হাসলেন। অর্থাৎ বুঝে গেছেন কস্তুরী ঢুকেছে। আশ্চর্য! কী করে বোঝেন? কস্তুরী শুনেছে, মানুষের এক ইন্দ্রিয় কাজ করা বন্ধ করে দিলে আর একটা বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। হবে হয়তো।

কস্তুরী শ্যামলেন্দুর পাশে বসে তার হাতে এক প্যাকেট বিস্কুট দিলেন। স্পর্শে প্যাকেটটা বুঝে নিয়ে ভদ্রলোক হাসলেন।

কস্তুরী বলল, “বাবা, আজ একটা কাণ্ড হয়েছে। তার আগে তোমার কথা শুনি।”

“আমার কথা? কী কথা?”

“ওই যে বললে সকালে।”

“ওহ! তোর মনে আছে?”

“তুমি বলো।”

শ্যামলেন্দু মনে মনে গুছিয়ে নিলেন। তার পর বলতে শুরু করলেন, “ওই যে সকালে বললাম, একটা লোক আমার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটে। এই যে আমি বসে আছি, তখন কিছু নয়, যেই উঠে দাঁড়ালাম, সেও পাশে পাশে চলা শুরু করল।”

“স্ট্রেঞ্জ!”

“আরও একটা ব্যাপার। তোকে বলতে লজ্জা করছে, তবু... আচ্ছা বলেই ফেলি।”

“বলো না, বলতে আপত্তি কী?”

“আমি যখন স্নান করি, দু’চারটে মেয়ে...”

শ্যামলেন্দু থামেন। কস্তুরী শ্বশুরমশাইয়ের কব্জিতে হাত রাখে, “তুমি বলো। আমি কি তোমার নিজের মেয়ে নই?”

“সে তো বটেই। আচ্ছা বলি। আমি যখনই স্নান করি, তারাও করে।”

কস্তুরী চিন্তিত হল। তবে কি বাবার মেন্টাল প্রবলেম? তা হলে তো আকিঞ্চনকে বলে ডাক্তার দেখাতে হয়। শ্যামলেন্দু কস্তুরীর এই অভিব্যক্তি খেয়াল করতে না পেরে বলে চললেন, “আর তারা সবাই... মানে... কী বলব, একেবারে কিছুই নেই গায়ে। তুই বুঝতে পারছিস তো?”

“হুঁ। পারছি।”

“কী যে অস্বস্তি হয়। কী করা যায় বল তো? একটা বুদ্ধি দে।”

“আমার মনে হয় তোমার আর এক বার ডাক্তার দেখানো উচিত।”

শ্যামলেন্দুর মুখে এখন আর হাসি নেই, “মানে তুইও তোর মা-র মতো আমায় পাগল ভাবিস?”

“আরে না না। কিন্তু এই রকম দেখা তো কমন কিছু নয়। আমার মনে হয় তোমার কোনও প্রবলেম হয়েছে। সেটা ডাক্তার দেখালেই ঠিকহয়ে যাবে।”

শ্যামলেন্দু চুপ। মুখ ম্রিয়মাণ। কস্তুরী বুঝল, তিনি ভাবছেন, তাঁর স্ত্রী-র মতো তাঁর বৌমাও তাঁকে বিশ্বাস করে না। বুঝতে পেরে কস্তুরী তাড়াতাড়ি বলল, “বাবা, আজ একটা ব্যাপার হয়েছে।”

শ্যামলেন্দুর মুখ ফের উজ্জ্বল হল, “তাই না কি? বল বল।”

যতটা সম্ভব বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করল কস্তুরী। হাসিও পেল। একটা মানুষ, যে জানেই না ইন্টারনেট কী, ফেসবুক কী, তার সঙ্গে শেয়ার করছে ফেসবুকে বন্ধুত্ব স্বীকার করবার গল্প। শ্যামলেন্দুবাবুর এই একটা গুণ। তিনি চোখে দেখতে না পেলেও কস্তুরীর সব ব্যাপারে আগ্রহ রাখেন। অনেক ব্যাপারে আপডেটেড থাকার চেষ্টা করেন, বোঝেন অথবা না-ই বোঝেন, অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যান।

কস্তুরী যখন থামল, তিনি বললেন, “ইন জিস্ট, তোর সঙ্গে একটি অভিনেত্রীর আলাপ হয়েছে। বাপ রে! আমাদের সময় তো ভাবাই যেত না। এক বার দেখেছিলাম ভারতী দেবীকে, আর এক বার ছায়া দেবীকে। তাও দূর থেকে। আর তোর সঙ্গে একেবারে আলাপ! বাহ। দেখা হল কোথায়? ফেসবুক আবার কোন জায়গা? তা সে কী বলল?”

“না মানে এখনও কথাবার্তা তেমন হয়নি। মানে পরে হবে।”

“কী কথা হল জানাস। এখন যা, ফ্রেশ হয়ে নে।”

দোতলা একেবারে অন্ধকার। আকিঞ্চনের ফেরার কথা নয়, কিন্তু মেহুলি? তার তো এত ক্ষণে চলে আসার কথা। মেয়ের ব্যাপারে সে হাল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে মন মানে না। একমাত্র মেয়েটাকে সাপটে ধরে ওর চুলের গন্ধ নিতে ইচ্ছে করে। মেহুলির কিছু ছোটবেলার জামাকাপড় তার আলমারিতে আছে, এ খবর আকিঞ্চনও জানে না। মাঝেমধ্যে কেউ না থাকলে সেই সব বার করে গন্ধ নেয়, তখন তার চোখ ভিজে আসে।

অভ্যাসবশত মেয়ের দরজার বাইরে গিয়ে কান পাতল। নাঃ, কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। দরজা আলতো করে ঠেলে দেখল, বন্ধ। অথচ বাইরে তালা দেওয়া নেই। সে দিনের ঘটনার পর মেয়ে ঘরে তালা দিয়ে বেরোয়। খারাপ লাগে কস্তুরীর।

ড্রেস চেঞ্জ করে রাতের খাবারের জোগাড় করতে লেগে গেল কস্তুরী। তার আগে সামান্য জলখাবার, নিজের আর আকিঞ্চনের জন্য। অবশ্য খাবার কিছুটা অতিরিক্তই করে সে। বানিয়ে ডাইনিং টেবিলের উপরে চাপা দিয়ে রাখে। মেহুলির যদি খিদে পায়? তখন তো চুপচাপ বাইরে বেরিয়ে এসে টেবিলে ঢাকা দেওয়া খাবারদাবার হাতড়াবে। মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে কস্তুরী আড়চোখে সব দেখে, মনে মনে কষ্টও পায়। খিদেই যখন পেয়েছে, মা-কে বলতে সমস্যাটা কী?

সব কিছু মিটিয়ে কস্তুরীর এখন একমাত্র উদ্দেশ্য ফেসবুক নিয়ে বসে পড়া। কী জানি, এর মধ্যে হয়তো মিশুক আরও কিছু আপডেট দিয়ে দিয়েছে। ছটফট করছে মনটা।

মেহুলি তখন একটা ওয়েব সিরিজ়ের গল্পে জোর করে মন বসাচ্ছিল। না হলে ফের সেই মহিলার কথা মনে আসবে। কী কুক্ষণে যে ওই মহিলার পেটে সে এসেছিল, ভাবতেই বিরক্ত লাগে। কী দরকার ছিল তার আলমারি ঘাঁটার? সে কোনও দিন যায় বাপি-মায়ের আলমারি ঘাঁটতে? যত্তসব! ওই মহিলার জন্যই তো বাপির সঙ্গে বাওয়ালটা হয়ে গেল।

আর কেসটা তো পুরো ফর নাথিং। তার কোনও বয়ফ্রেন্ড নেই যে তার ফিমেল কন্ডোমের দরকার পড়বে। আর ওটা কী আজকের না কি! লাস্ট ইয়ারের ডিসেম্বর। থার্টিফার্স্ট নাইট। আহিরির বাড়িতে বসেছিল পার্টি। সামান্য ফুড আর ড্রিঙ্ক। চার-পাঁচ জন বন্ধু নিজেদের বয়ফ্রেন্ড নিয়ে এসেছিল। তার মধ্যে এক জন সাহিনা। ইচ্ছে তো ছিলই, আহিরিই চান্স করে দিয়েছিল। সাহিনা বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে দরজা দিয়েছিল সবার সামনেই। দিতেই পারে। মেহুলির বয়ফ্রেন্ড থাকলে তারও ইচ্ছে করতেই পারত।

মনে আছে, সে দিন রাত দুটোর সময় বেরিয়েছিল মেহুলি, আরও চার জন বন্ধুর সঙ্গে। ঠিক ছিল দেবঋত এক এক করে সবাইকে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরবে। আসার সময়, সবার চোখ এড়িয়ে, আহিরি একটা প্যাকেট মেহুলির ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়ে বলেছিল, “নিয়ে যা। প্লিজ়।”

“কী ওটা?”

“ফিমেল কন্ডোম। সাহিনা ফেলে গেছে।”

“ফাক! আমাকে দিলি কেন? ফেলে দে।”

“আরে না। সাহিনা টেক্সট করেছে, রেখে দিতে বলেছে, খুব নাকি কস্টলি। নেদারল্যান্ডস থেকে কে এনে দিয়েছে, ছাতার মাথা। আমি বললাম, আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার ড্যাডি-মাম্মা কাল সকালেই ফিরে আসছে ফ্লাইটে। ওরা খুব স্ট্রিক্ট। ধরে ফেললে পুরো ফাকিং কেস হয়ে যাবে। তুই প্লিজ় না বলিস না মেহু। তুই নিয়ে যা, তোর থেকে সাহিনা কালেক্ট করে নেবে।”

“কিন্তু ওকে দেব কোথায়? ও তো স্পেশালি তোর বন্ধু, আমার নয়। সেম স্কুলিংও নয়।”

“আমি বলে দিয়েছি সে কথা। সাহিনা ইনফর্মড, শি উইল কালেক্ট ফ্রম ইউ, এনিহাউ।”

আর না করতে পারেনি মেহুলি। দামি স্কচের কারণেই হোক বা নাচানাচি করার জন্যই হোক, চোখ ভেঙে ঘুম আসছিল। আর বিতর্কে যায়নি সে। তার পর বাড়ি এসেই ধপাস। আর কিছু মনে ছিল না।

সাহিনা আসেনি। মেহুলি জিনিসটা একটা ন্যাপকিনের প্যাকেটে গুঁজে রেখেছিল। পরে ভুলে যায়। আর ওই ভদ্রমহিলা খুঁজে খুঁজে ঠিক একেবারে আলমারির পিছনের দিক থেকে টেনে বার করেছে। ডিসগাস্টিং! হয়তো ভেবেছে মেহুলি কন্ডোম ইউজ়ার। সেই দেখে সতীপনা ফোটাচ্ছে! ফাক।

এই সব ভাবতে ভাবতেই ওয়েব সিরিজ় দেখছিল মেহুলি। ধুর, মন বসছে না। তার চোখ দুটো ধীরে ধীরে বুজে এল।

মিশুকের হাতে চার পাতার একটা স্ক্রিপ্ট, ফোটোকপি করা। সে সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে তাতেই চোখ বোলাচ্ছিল। ঘরে আরও তিনটে মেয়ে। পারিজাত, সোমাশ্রী আর পিয়াঙ্কি। সোমাশ্রীর শট হয়ে গেছে। পরের টার্ন আসতে ঘণ্টাখানেক বাকি। সে টিফিনবক্স খুলে কী সব খাচ্ছে। মাঝখান থেকে তাতে এক বার থাবা বসিয়েছে পারিজাত। এক খাবলা মুখে পুরে বলল, “শ্রীমন্তদা কী সব লিখছে রে? বলতে গিয়ে ভুলেই যাচ্ছি।”

সোমাশ্রী বলল, “কী হল?”

“আরে তুই কী বুঝবি? তুই তো আবার নেটিজেন, নেকু গার্ল। মিশুক বুঝছে।”

“কী হয়েছে বলবি?”

“এই দ্যাখ, চেয়ে দ্যাখ। কী সব ডায়লগ! ভাকুমভেম, রু রু করে রাস্তা হাঁটছে, ফেকো ভাঙছে... আরও আছে, অন্য স্ক্রিপ্টে... মানে কী?”

“মানে না জেনেই ডায়লগ দিচ্ছিস?”

“দেবদা বুঝিয়ে দিয়েছিল, তবু ভুলে যাচ্ছি।”

পিয়াঙ্কি বলল, “শ্রীমন্তদা রসুলপুরের লোক। বর্ধমান। ওখানকার টার্মগুলো ইউজ় করছে। মানে থাকবে না কেন? তুই এক এক দিন শ্রীমন্তদার সঙ্গে সিটিং কর। সব বলে দেবে। বড় ভাল লোক।”

মিশুক এত ক্ষণ চুপ করে ছিল। আশপাশের এত কথাবার্তায় বিরক্ত হয়ে, “উফ! এত বকবক করিস কেন তোরা!” বলে ফের স্ক্রিপ্টে চোখ রাখল।

ক্রমশ

অন্য বিষয়গুলি:

Bengali Story
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy