১৮৬২-র ৪ জুলাই এক বিকেলে, একটা নৌকোয় বসে, তিনটে বাচ্চা মেয়ের মন রাখতে, ত্রিশ বছরের এক সাহেব একটা গল্প বলেছিলেন। সেই গল্প ১৮৬৫ সালে বই হয়ে বেরোয়, আর এখনও পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্য সুন্দর বইয়ের একটা বলে তাকে ঘড়ি ঘড়ি পেন্নাম ঠোকার অন্ত নেই।
গল্পটা বেরিয়েছিল লেখকের আসল নামে নয়। আসল নাম চার্লস লুটউইজ ডজসন, আর বইয়ে লেখকের নাম লুইস ক্যারল। কেন? ‘চার্লস’ এর শেকড় আসলে ল্যাটিন ‘ক্যারোলুস’-এ, সেখান থেকেই ‘ক্যারল’। আর তেমনই ল্যাটিন ‘লুডোভিগোস’ থেকে ‘লুটউইজ’ ছুঁয়ে ‘লুইস’! নিজেরই গল্পের উদ্ভুট্টি মেজাজের সঙ্গে জম্পেশ তাল ঠুকে যেন, ক্যারল লুইস একটা ডিগবাজি খেয়ে হয়ে উঠলেন লুইস ক্যারল!
ক্রাইস্ট চার্চ কলেজ থেকে ম্যাথমেটিক্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট সাহেব, যিনি কিনা ‘আ সিলেবাস অব প্লেন অ্যালজেব্রাইক জিয়োমেট্রি’ নামে বই লেখেন, লিনিয়ার আর ম্যাট্রিক্স অ্যালজেব্রা, ম্যাথামেটিকাল আর সিম্বলিক লজিক নিয়ে যাঁর গুরুভার রিসার্চ, তিনিই ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’-এরও লেখক? ভাবা যায়? লেখক নিজে বলছেন, যায়। উনিশ শতকের ভিক্টোরিয়ান ইংল্যান্ডে সারস্বত-চর্চা বিজ্ঞান আর ফ্যান্টাসিকে সমান আদরে লালন করেছে, একই খেয়াল-রসকে পাখা মেলতে দিয়েছে গাণিতিক সূত্র আর লিটারারি ননসেন্স-এর বিস্তারে।
কিন্তু ঠিক কী আছে এই ‘ছোটদের’ বইটায়, দেড়শো বছর পেরিয়েও যা নিয়ে তুমুল ভাবাভাবি? পৃথিবীতে আজ অবধি যত ‘লিটারারি ননসেন্স’ গোত্রের লেখাপত্তর হয়েছে, সবার সেরার মুকুট তারই মাথায়, কেন? ধন্দ জাগে, ‘আজ নাচি কাল কাঁচি’ মেন্টালিটির এই বিশ্বের এ নিতান্ত বাড়াবাড়ি নয় কি? ভারী তো একটা ‘বিস্ট ফেব্ল’, খরগোশ, নেংটি আর গেছো ইঁদুর, ডোডোপাখি, টিকটিকি, মাশরুমের ওপর বসে প্রেমসে গড়গড়া-টানা নীল শুঁয়োপোকা, দুঃখবিলাসী মিছে কচ্ছপ, আর গুবলু এক বেড়াল। মানুষগুলো পাগলাটে— টুপিওয়ালা ‘হ্যাটার’, তিরিক্ষি রাঁধুনি, শুয়োরছানা-কোলে ডিউকগিন্নি। রূপকথা থেকে উঠে-আসা আধা সিঙ্গি-আধা পাখি গ্রাইফন, হরতনের রাজা-রানি-গোলাম তাদের সঙ্গে গা-ঘষাঘষি করে। অদ্ভুত দেশ, কিম্ভূত দেশাচার। বোতলের গায়ে লেখা ‘ড্রিংক মি’, কেকের গায়ে কিশমিশ দিয়ে ‘ইট মি’। এটায় ঢকঢক তো শরীর ছোট্ট হতে হতে এট্টুসকানি, ওটায় কুটুস কামড় তো তক্ষুনি লম্বু নয়ফুটিয়া। অ্যালিসের কান্নায় হলঘর ডুবুডুবু, সেই চোখের জলেই সাঁতরায় রাজ্যের জন্তুজানোয়ার মায় অ্যালিস নিজে, ভেজা গা শুকোতে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সব্বাই অসম্ভব জোরে ছোটে, বেড়াল নিমেষে ভ্যানিশ হয় কিন্তু নিজের হাসিটাকে ফেলে রেখে যায় আর সেটাও হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে দিব্যি! ঘড়ি থেমে থাকে ছ’টার কাঁটায় আর তাই নিরন্তর টি-টাইম! এমত অসম্ভব ইউটোপিয়া আজগুবিয়ার মধ্যে ঘুরে বেড়ায় অ্যালিস, পাঠকও। বই-শেষে অ্যালিসের স্বপ্ন ভাঙে, আর পাঠকও হাই-ওঠা মুখের সামনে তুড়ি মেরে বলে ওহ্, আষাঢ়ে গপ্প বটে একখান!
বললে হবে! ক্যারলের অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ডকে গাঁজাখুরি স্বপ্নকল্পদ্রুম বলে হাত ধুয়ে ফেলা মুশকিল। এই বইয়ে আগাগোড়া অ্যাবসার্ড রস দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখা আসলে নিয্যস সত্যিদের। ওয়ান্ডারল্যান্ডে অ্যালিসকে এক বার ছোট্ট এক বার বড় হতে হয়। ক্রমাগত ছোটবড় হওয়ার খেলায় ক্লান্ত অ্যালিসকে যখন শুঁয়োপোকা জিজ্ঞেস করে ‘তুমি কে?’, অ্যালিস বলে, ‘আমি যে আসলে কে, বলা খুব কঠিন। আজ সকালে যখন ঘুম থেকে উঠেছিলাম, তখনও জানতাম আমি কে, কিন্তু তার পর থেকে এত বার বদলেছি যে...’ পড়ে মনে হয়, সত্যি তো, সারা দিনে এই আমিই কত বার বদলে যাই! অনর্থক অপমানে ছোট হই, অযাচিত ভালবাসায় বড়। দিনভর কষ্টভয়লজ্জাঘেন্নাওয়ালা এত লক্ষ ছোটবড় আমির কোনটা আসল আমি, কী করে বলি? কখনও অ্যালিসের ঠোঁটে ক্যারল বলেন, ‘আই কান্ট গো ব্যাক টু ইয়েস্টারডে বিকজ আই ওয়াজ আ ডিফারেন্ট পার্সন দেন।’ ক্যারল তো নয়, যেন বহু যুগের ও-পার হতে বলে ওঠেন হেরাক্লিটাস: এক নদীর জলে তুমি দু’বার পা ভেজাতে পারো না, কারণ নদীটা তো আর কালকের নদী নেই, আর তুমিই কি ভাই কালকের তুমি আছ? ‘সময়’ নিয়ে কী যে সব দামি কথা বলে গেছেন ক্যারল, তাঁর অনবদ্য হেঁয়ালি-ভাষায়! পাগল হ্যাটার অ্যালিসকে বলে, সময়কে একটু জপাতে হয়, বুঝলে? তা হলে দেখবে তাকে নিয়ে তুমি যা-খুশি-তাই করতে পারো। ধরো, সকাল ন’টা বাজে, পড়তে বসতে হবে। তুমি স্রেফ সময়ের কানে কানে একটু বলে দিলে, আর সে-ও পাঁইপাঁই করে ঘুরে নিমেষে দেড়টা বাজিয়ে দেবে, লাঞ্চ টাইম! অ্যালিস বলে, কিন্তু তখন যদি খিদে না পায়? হ্যাটার বলে, আরে বাবা, সময় তখন দেড়টার ঘরে ঠায় থেমেই থাকবে, তোমার খিদে পাওয়া ইস্তক! সাদা খরগোশকে অ্যালিস জিজ্ঞেস করে, হাউ লং ইজ ফরএভার? উত্তর আসে, সামটাইম্স, জাস্ট ওয়ান সেকেন্ড। এমন কথাকেই বোধহয় ‘আর্ষ’ বলে!
ওয়ান্ডারল্যান্ডে এসে অ্যালিসের খুব মনখারাপ। ঘরে তার মেনিবেড়াল ‘ডিনা’কে ফেলে এসেছে যে! ঠিক তখনই দেখা এক ইঁদুরের সঙ্গে, তার সঙ্গে ভাব জমাতে যায় গ্রামার বইয়ে পড়া ‘ও মাউস!’ বলে। তাতে পাত্তা না পেয়ে অ্যালিস ভাবে, এটা নির্ঘাত ফ্রেঞ্চ ইঁদুর, তাই ফরাসি ভাষায় যেটুকু ওর সম্বল, বলে বসে সেটুকুই, ‘Ou est ma chatte?’ শোনামাত্র ইঁদুরটা ভয়ে আঁতকে ওঠে। ওর মানে যে, ‘আমার বেড়ালটা কোথায় গেল?’ আগন্তুকের সঙ্গে ভাব জমাতে গিয়ে না জেনেশুনে তার চিরশত্রুকে নিয়ে কথা বলার মানে যে গোটা ব্যাপারটা কেঁচে গণ্ডূষ করা, ক্যারল সেই শিক্ষাটা দিয়ে যান আমাদের, হাসির ছলেই। মজা জমে ক্ষীর হয় আরও, যখন দেখি, এই বইয়ের ফরাসি অনুবাদে অ্যালিসের মুখে ওই ফ্রেঞ্চ লাইনটা কায়দা করে বদলে দেওয়া হয় ইতালিয়ানে! অনুবাদের অছিলায় এই বাজারে ইতালিকে একটু চাটনি তো করা গেল! মওকা মওকা!
বিচিত্র চরিত্র। অনন্ত তাদের উদ্ভুট্টিপনা। উল্টাপুল্টাগিরিকে এন্তার হাহাহিহির মই বেয়ে স্যাটায়ারের চুড়োয় নিয়ে গেছেন ক্যারল। উইলিয়াম দ্য কংকারারকে নিয়ে বক্তৃতা দেয় নেংটি ইঁদুর, তাতে কথায় কথায় ইংরেজদের হ্যাটা করা। এই জাতটার মধ্যে নেতা পদবাচ্য কেউ নেই, প্রায়ই বিদেশিরা এসে লুঠপাট করে যায়। বিল নামের টিকটিকি-চরিত্রটা নাকি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন ডিজরায়েলির আদলে গড়া, অনেকে বলেন। ‘ম্যাড টি-পার্টি’ নামের চ্যাপ্টারটায় ভর্তি ধাঁধা। আসলে অক্সফোর্ডের ম্যাথ্স প্রফেসরের লজিক নিয়ে লোফালুফি। এখানেই আছে সেই ভুবনবিজয়ী রিড্ল: ‘হোয়াই ইজ আ র্যাভেন লাইক আ রাইটিং ডেস্ক?’ ‘যা দেখি, তা-ই খাই’ আর ‘যা খাই, তা-ই দেখি’ কি এক? বা ‘যা পাই, তা-ই ভাল’= ‘যা ভাল, তা-ই পাই’? শব্দ আর লজিকের জোড়কলমে তুমুল হইহল্লা। গেছো ইঁদুরের গল্পে তিন বোন থাকে ঝোলাগুড়ের কুয়োর নীচে। অবাক অ্যালিস শুধোয়, ঝোলাগুড়ের কুয়োর নীচে কেন? ভাবুক উত্তর আসে: কুয়োটা ঝোলাগুড়ের কিনা, তাই হয়তো! অ্যালিস যখন প্রশ্ন করে, ওরা কুয়ো থেকে ঝোলাগুড় তুলত কী করে? হ্যাটার উত্তর দেয়, জলের কুয়ো থেকে জল তুলতে পারলে, ঝোলাগুড়ের কুয়ো থেকে ঝোলাগুড় তুলতে পারা কী এমন কাজ! এমন সব নিষ্পাপ ছেলেভুলোনো যুক্তিতেই তো শৈশব পেরোই আমরাও! ক্যারল সেই ঝোলাগুড়োপম মিঠে ছেলেবেলায় নিয়ে ফেলেন আমাদের।
কে ভুলতে পারে ‘কুইন অব হার্ট’কে? নামের মধ্যেই এক পোঁচ বিদ্রূপ মোলায়েম মাখিয়েছেন ক্যারল: নিদয় হৃদয় যাঁর, তিনি নাকি কুইন অব হার্ট, হৃদয়েশ্বরী! সাদা রং সইতে পারেন না অথচ তাঁর বাগানেই কী কুক্ষণে ফুটে বসে সাদা গোলাপ, আর মরিয়া তিন মালি প্রাণপণে লাল রং করতে থাকে তাদের গায়ে। বিশ্বসংসারের ওপর এই ওয়ান্ডারল্যান্ডেশ্বরীর রাগ, সব কিছুতেই বিপক্ষের চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্র খুঁজে পান, তাই কেস-নির্বিশেষে তাঁর একটাই ফতোয়া, অফ উইথ হিজ হেড! ওর গর্দান নিয়ে নাও! বেড়ালের ওপর রাগলেও তা-ই, শত্রুপক্ষের কেউ মওকা পেয়ে তাঁর কান মুলে দিলেও তা-ই। তাবৎ খেলাধুলোপরবমোচ্ছবের হযবরল ছাপিয়ে বাজতে থাকে তাঁর চিল-চিৎকার: ‘অফ উইথ হিজ হেড!’ রানির সাধের ‘টার্ট’ চুরি গেছে বলে বিচারসভা বসে, সেখানে সাক্ষীরা মূর্খ, হাকিমরা মূর্খতর। জুরি-র রায়ের তোয়াক্কা না করেই রানি বলেন: শাস্তি আগে, রায়-টায় পরে শোনা যাবে! একটু চেনা লাগছে না কি চরিত্রটা? বোধহয়, অনেকেরই অনেক কিছুই চেনা লাগে, আর গায়ে ফোসকা পড়ে! চিন-এ, ১৯৩১ সালে নিষিদ্ধ হল এই বই, কারণ হিসেবে দর্শানো হল ‘জন্তুরা মানুষের মতো কথা বলছে এখানে, তা কক্ষনও উচিত নয়।’ সন্দেহ হয়, আসল কারণটা হয়তো আরও কিছু, বেশি বলতে গেলে স্বৈরাচারীর রেগে-ওঠার লক্ষণগুলো ‘চিনে’ নেওয়া যেত!
অ্যালিসের বইতে যখন এক রাজা বলে ওঠেন, 'Begin at the beginning and go on till you come to the end: then stop!' তখন মনে হয়, আপাত ভাবে জলের মতো সোজা এই কথাটাই তো যে কোনও কাজ সুসম্পন্ন করার সেরা ম্যানুয়াল, কারণ, এক বাঙালি মহাপুরুষ আমাদের সাবধান করেই গিয়েছেন, ‘আমরা আরম্ভ করি, শেষ করি না...’
যা-কিছু ‘ক্লাসিক’, তার মধ্যে ‘কনটেম্পোরারি’কে খোঁজে দুই প্রজাতির জীব: খেয়েদেয়ে কাজ না-থাকা লোক, আর শিল্পী। কিন্তু কী আর করা, খোদ কুইন ভিক্টোরিয়া আর অস্কার ওয়াইল্ড যে বইয়ের ফ্যান, দেড়শো বছরে যে বই কক্ষনও আউট-অব-প্রিন্ট হয়নি, অন্তত চুয়াত্তরটা ভাষায় যার অনুবাদ আর একশোরও বেশি এডিশন জ্বলজ্বলিং, সে বইয়ের তো ব্যাপারই আলাদা। তাবৎ গণমাধ্যমেও সে বাম্পার হিট! এই বই থেকে বানানো প্রথম ‘গেম’টা বেরোয় ১৮৮২-র ইংল্যান্ডে, লুইস ক্যারল বেঁচে থাকতেই। বিশ শতকের গোড়ায়, ১৯০৩-এ প্রথম সাইলেন্ট ফিল্ম, ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’। আর প্রথম সবাক চলচ্চিত্র হয়েছিল ১৯৩১-এ। আজ পর্যন্ত ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ আর তার সিকুয়েল ‘থ্রু দ্য লুকিং গ্লাস’ থেকে ছবি হয়েছে কুড়িরও বেশি। ‘অ্যালিস অ্যাট দ্য প্যালেস’ নাটকে, পরে এই নামেরই টিভি-ছবিতে অ্যালিস হয়েছিলেন মেরিল স্ট্রিপ (তিনি আবার হোয়াইট কুইন আর হাম্পটি ডাম্পটি-ও হয়েছিলেন, কিন্তু সেরা শট নিশ্চয়ই ছোট্ট একটা মেয়ের ভূমিকায় তাঁর বিস্ময়াবিষ্ট জেগে ওঠা!) সারা বিশ্বের হরেক সং-স্টাইল ছেনে তৈরি হয়েছিল সেই ছবির গানগুলো। অ্যালিসকে নিয়ে হয়েছে গুচ্ছের অ্যানিমেশন আর লাইভ অ্যাকশন ছবি, হাফ ডজন কমিক্স (শুধু আইপ্যাডের জন্য স্পেশাল ‘অ্যালিস ফর দি আইপ্যাড’), মিউজিকাল, অপেরা, ব্যালে। প্যান্টোমাইমেও জয়জয়কার অ্যালিসের, ক্যারলের গল্প থেকে উড়াল দিয়ে সেখানে বিষয়বস্তু ওয়ান্ডারল্যান্ডের প্রেক্ষাপটে মার্ডার মিস্ট্রি! ব্রিটিশ লেখক হেক্টর হিউ মুনরো লিখেছেন ‘দি ওয়েস্টমিনস্টার অ্যালিস’ নামের প্যারডি, আর সেই কবে ১৯৭৬ সালে বাড টাউনসেন্ড বানিয়ে ফেলেছেন আস্ত একখান পর্ন মিউজিকালও! প্রাগ শহরের একটা থিয়েটার-দল’এর নাটক ‘অ্যাসপেক্টস অব অ্যালিস’-এ অ্যালিস বাচ্চা থেকে হয়ে ওঠে তরুণী, আর তার বেড়ে ওঠার অবসরে দর্শক আসলে দেখতে থাকেন চেক রিপাবলিক দেশটার বদলে যাওয়া ইতিহাসও! চিকিৎসাবিজ্ঞানেও খুঁজে পাওয়া যাবে বাচ্চা মেয়েটাকে, ছোট জিনিসকে বড় আর বড় জিনিসকে ছোট্ট দেখার নিউরোলজিকাল ডিসঅর্ডারের নাম ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সিনড্রোম’ (সেটা নাকি খোদ ক্যারলেরই ছিল)! সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে গাদা ‘লুইস ক্যারল সোসাইটি’, এ বছর ন’টা দেশে অন্তত শ’ ছুঁই-ছুঁই ইভেন্টের খবর এখনই ইন্টারনেট দাপাচ্ছে। এগজিবিশন থেকে কনফারেন্স, টি-পার্টি থেকে নাচের ওয়ার্কশপ, পিকনিক থেকে গাইডেড ট্যুর, প্যারেড, আর্ট ইনস্টলেশন, ফেয়ারি ফেস্টিভ্যাল— যত রকমের উদ্যাপন সম্ভবে, হতে চলেছে। বল, ব্যালে, অপেরা, নানান কিসিমের নাটক, কনসার্ট তো বাদই দিলাম। এত সব, সব অ্যালিস আর তার আজব দেশকে ঘিরে। অ্যালিস নিজেই হয়তো সব দেখেশুনে চোখ বড় বড় করে বলে উঠত: ‘Curiouser and curiouser!’
iwritemyright@gmail.com
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy