ছবি: দীপঙ্কর ভৌমিক
বাইরে তাকিয়ে থাকেন অমিতা। এক অদেখা কলকাতা চলতে থাকে তাঁর সঙ্গে। নিউ টাউন, রাজারহাট... নতুন কলকাতার এত বিস্তার! আজ নতুন আবিষ্কারের আনন্দ। যাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাকে নতুন করে পাওয়া। এখনও কিছু গ্রাম, জমি লুকিয়ে আছে লোভী থাবার আড়ালে। এত সকালেও প্রচণ্ড ট্রাফিক। ছেলেমেয়েদের কাউকে সি-অফ করতে আসতে দেননি অমিতা। বিদায়দৃশ্যটা মনে পড়তেই মনটা আবার মেঘলা।
চেক-ইন কাউন্টারে অমিতাই প্রথম। চেনাশোনা কারও সঙ্গে দেখা হোক, তিনি চাননি। তাঁর চলে যাওয়ার খবর এক রাতেই সারা কলকাতায় ছড়িয়ে পড়েছে। কারও সঙ্গে দেখা হলেই বহু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সিকিয়োরিটি চেকিং পার হয়ে তিনি এগিয়ে যান ডিপার্চার লাউঞ্জের দিকে। কাচের জানলার ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে, একটা প্লেন টারম্যাকে এগোচ্ছে। দূরে একটা উড়ে যাচ্ছে। কাছেই একটা কফি শপ। অনেক ক্ষণ চা-কফির ইচ্ছে করছে। মনটা অজস্র চিন্তায় আচ্ছন্ন, তাই টের পাননি। কফি কাউন্টারে তাঁর আগে একটি অল্পবয়সি মেয়ে, কোলে একটি বাচ্চা। দেখে তাজুর কথা মনে পড়ল। তাজু অমিতার সবচেয়ে ছোট নাতি। কী করছে সে এখন? বাচ্চাটি অমিতার স্কার্ফটা ধরে ফেলেছে। অমিতা প্রশ্রয়ের হাসি হাসেন। মেয়েটি অপ্রস্তুত। ‘‘স্যরি’’ বলে বাচ্চাটির হাত সরিয়ে নেয় সে।
‘‘ভারী সুন্দর তোমার মেয়ে,’’ হেসে বলেন অমিতা।
‘‘চমৎকার বাংলা বলেন তো আপনি!’’ বলে মেয়েটি।
অমিতা মৃদু হাসেন। একটা বড় কাপ কফি নিয়ে সিটে ফেরেন।
*****
এই কড়া কফি খাওয়ার অভ্যেসটা করিয়েছিলেন কবীর। টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলো কফির কাপের ফেনার মতো ভেসে ওঠে। কবীর আর ওঁর প্রেম চিরাচরিত ডাক্তার আর নার্সের প্রেমকাহিনি। অসাধারণ প্রাণবন্ত ছিলেন কবীর। একটা পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর মতো। অমিতা ভেসে গিয়েছিলেন সেই ভালবাসার টানে।
বাবা বলেছিলেন, ‘‘এমি, ভাল করে ভেবে দেখ। প্রয়োজন হলে আর একটু সময় নে। এক জন বিদেশিকে বিয়ে করে শেষ পর্যন্ত বিদেশে গিয়ে থাকতে পারবি? ভাল করে ভাব! ডাক্তার লাহিড়ী মানুষ হিসেবে অসাধারণ ঠিকই, কিন্তু... অ্যালেক্স এখন এখানে থাকলে তোকে বোঝাতে পারত।’’
অ্যালেক্স অমিতার দাদা। ওঁর চেয়ে দু’বছরের বড়। ওঁদের মধ্যে বন্ধুর মতো সম্পর্ক।
মা ব্যাপারটার তল পাচ্ছিলেন না। বলেছিলেন, ‘‘তুই এক জন ইন্ডিয়ানকে বিয়ে করবি! ইন্ডিয়ায় থাকবি! ল্যান্ড অব স্নেকস অ্যান্ড টাইগার্স!’’ মার চোখ-মুখ দেখে মনে হচ্ছিল যে, ওঁকে বাঘে খেয়ে ফেলল বুঝি এখুনি। ছবিটা এতটুকু অস্পষ্ট হয়নি এত দিন পরও।
স্মৃতি থেকে বর্তমানে ফিরে এসে অমিতা দেখলেন, কফির কাপটা শেষ হয়ে গিয়েছে। উঠে গিয়ে সেটাকে বিনে ফেলে এলেন। পা-টা ধরে গিয়েছে বসে বসে। পায়চারি করার জায়গা নেই। লাউঞ্জে ভাসমান লোক। কাচের বাইরে আকাশটায় মেঘ ও রোদের লুকোচুরি খেলা। কোনটা অ্যারাইভাল, কোনটা ডিপার্চার কে বলবে! ভাবেন অমিতা। জীবনটাই একটা ট্রানজ়িট লাউঞ্জ।
*****
কলকাতায় এসে হিন্দু মতে বিয়ে হয়েছিল। এমি লাওয়েল থেকে অমিতা লাহিড়ী। সম্প্রদান করেছিলেন আভার বাবা। বলেছিলেন, ‘‘আজ থেকে আমার দুই মেয়ে।’’ নিজের মেয়ের মতোই ভালবাসতেন তাঁকে। আভা ওঁর ছোট জা। অপরিচিত পরিবেশে মানিয়ে নিতে হৃদয় দিয়ে ওঁকে সাহায্য করেছে সে। অমিতা ওর কাছে কৃতজ্ঞ। সত্যি বলতে ও বাড়িতে তাঁর কখনও নিজেকে বিদেশি বলে মনে হয়নি। আস্তে আস্তে বাংলা শিখেছেন। পরিবারটিকেও ভালবেসে ফেলেছেন নিজের অজান্তেই। সংসারে বিশেষ সময় দিতে পারেননি। ডাক্তার কবীর লাহিড়ীর নার্সিংহোমের সব দায়িত্ব পালন করতেই কেটে যেত দিনরাত। সেই প্রাত্যহিকতার স্রোতে সময় বয়ে গিয়েছে। ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে। মীরা ডাক্তার। বাবার নার্সিংহোম চালায়। সেই বিশাল মাপের প্রাণবন্ত মানুষটা এক দিন হঠাৎই চলে গেলেন। কী হল বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ। কবীর কাউকে সুযোগ দিলেন না তাঁর জন্য কিছু করার।
স্মৃতিচারণ নয়, অমিতা যেন একটা ফিল্মের ফাস্ট ফরওয়ার্ড দেখছেন। কী তাড়াতাড়ি সময় চলে যায়। আনন্দে, বিষাদে। তাঁর সংসার এখন পরিপূর্ণ। পরিচিতদের কথায়, নাতি-নাতনি নিয়ে জমজমাট সংসার।
ঘড়ির দিকে তাকাতেই ঘোষণা শুনতে পেলেন। নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে লাইনের দিকে চলতে গিয়ে একটা তীক্ষ্ণ ব্যথা যেন তাঁকে ছিন্নভিন্ন করে দিল। সত্যি তিনি কলকাতা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন! নিজেরই নিজেকে কেমন অপরিচিত লাগে।
*****
শুভ সে দিন বলতে এসেছিল, ওরা অমিতার পঁয়ষট্টি বছরের জন্মদিন সেলিব্রেট করতে চায়— ওর ভাষায় ‘ধামাকা’ করে। অমিতা আপত্তি করতে পারেন ভেবে দু’ভাই-ই এসেছিল মা-কে রাজি করাতে।
মা এক কথায় রাজি হয়ে যাবে ভাবেনি ওরা। খানিকটা হতভম্ব হয়ে পড়েছিল। কী হল ব্যাপারটা! মা মজা দেখছিলেন, বলেছিলেন, ‘‘কী হল! কিছু তো বল! এসেছিস, ভালই হয়েছে। আমিই তোদের ডাকতাম, আজ বা কাল। একটা কথা ছিল।’’
ছেলেরা উদ্গ্রীব। কী বলবে মা!
তার পর অমিতা যা বলেছিলেন, তাতে ছেলেরা ঠিক বুঝতে পারছিল না কী ভাবে রিঅ্যাক্ট করবে! ঠিক শুনছে তো? মা কলকাতা ছেড়ে ইংল্যান্ডে— কেন্টে ফিরে যাবে! সব ব্যবস্থা, মায় টিকিট কাটা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে! কেউ টের পেল না কিছু! মা চলে যাবে ঠিক এক মাস পর! অর্থাৎ, জন্মদিনের পর দিন, ভোরের ফ্লাইট!
‘‘দেখ! শুভ, বিভু... তোরা সবাই সেটল্ড। আমি আনন্দে, সুখে আছি। তবুও এখন কিছু দিন থেকে আমার মনে হচ্ছে, আমার আর একটা বাড়ি আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমার এখানকার কাজ তো শেষ। বাকি জীবনটা অভ্যেসে কাটবে এখানে। চলতে চলতে চলে যাবে। মনে হচ্ছে কেন্টে গেলে— ‘ফিরে গেলে’ বলছি না — নতুন করে একটা জীবন পাব। বুঝতে পারছিস কী বলছি! কিংবা, এ ভাবে বলি, একুশ বছর বয়সে একটা বাড়ি ছেড়ে এসেছিলাম। এত বছর বাদে যদি আবার নতুন করে শুরু
করা যায়?’’
‘‘মা, আর ইউ ক্রেজ়ি! এ বয়সে নতুন করে শুরু করবে! বিদেশে? একা একা থাকবে?’’
‘‘দেশ, বিদেশ সীমানাগুলো এখন কি আর খুব রেলিভ্যান্ট, শুভ? চিন্তা করিস না। অ্যালেক্স আছে পাশের বাড়িতে।’’
‘‘কিন্তু আঙ্কল তো অসুস্থ!’’
বিভু এত ক্ষণ চুপ করে মায়ের কথা শুনছিল। আস্তে আস্তে বলেছিল, ‘‘মা, তোমার সেন্টিমেন্ট বুঝতে পারছি। তুমি এ বার নিজের মতো করে বাঁচতে চাও। আ লাইফ অব ইওর ওন। কিন্তু একেবারে চলে যাবে! আর আসবে না!’’
‘‘তেমন কিছু তো বলিনি। তোরাও হয়তো ইংল্যান্ড যাবি কাজেকর্মে। ছেলেমেয়েরাও হয়তো যাবে কোনও দিন লেখাপড়া করতে! তা ছাড়া বিভু, এখন স্কাইপ, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের কল্যাণে সবাই কাছাকাছিই আছি সব সময়। বিভু, মানুষের কি একটা ঘর, একটা বাড়ি! মনের ভিতরে কত আস্তানা, কত ঠিকানা! জানতেই পারি না সব সময়। হঠাৎ কোনও একটা ঘর, কোনও একটা বাড়ি বুকের দরজায় কড়া নাড়ে... নাঃ, বড় বেশি ফিলজ়ফিকাল হয়ে যাচ্ছি। ভয় পাস না। আসা-যাওয়ার পথ খোলা থাকবে সব সময়।’’
শুভ এত ক্ষণ চুপ করে মা-র কথা শুনছিল। হঠাৎ বলল, ‘‘ডক্টর কার্সন জানেন তুমি ফিরে যাচ্ছ? ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছ?’’
এ বার অমিতার চমকাবার পালা! তাঁর মনে হয়, ‘শুভ কি ভাবছে আমি ডেভিডের জন্য ফিরছি? ও কি আমার ইংল্যান্ড চলে যাওয়ার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ খুঁজছে?’ মুখে বলেন, ‘‘না, ডেভিড জানে না। শুভ, তুই ভুল ভাবছিস।’’
শুভময় যখন স্কুল শেষ করে কেন্টে গিয়েছিল দাদুর কাছে, অ্যালেক্স তাকে ডক্টর কার্সনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘এ শুভময়, এমির ছেলে।’’
প্রসন্ন হাসিতে ভরে উঠেছিল ডক্টর কার্সনের মুখ, বলেছিলেন, ‘‘খুব হ্যান্ডসাম ছেলে। এমিরই প্রোফাইল। জানো শুভময়, তোমার বাবার জন্য আমি এমিকে পেলাম না!’’ বলেই হো হো করে প্রাণখোলা হাসি, ‘‘তোমার বাবা-মা দু’জনেই আমার প্রিয় বন্ধু। কবীরের তো তুলনাই হয় না।’’
ডক্টর কার্সন বিয়ে করেননি। অমিতা-কবীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ওঁরা যত বার ইংল্যান্ড গিয়েছেন, ডক্টর কার্সন শুভ-বিভুর জন্য প্রচুর খেলনা, চকলেট পাঠিয়েছেন। এখন ডক্টর কার্সন কোথায় আছেন, বা আদৌ আছেন কি না কে জানে!
কথাগুলো হঠাৎ এ ভাবে মনে পড়ায় নিজেই মনে মনে বিব্রত বোধ করে শুভ। কিন্তু তার মা কেন চলে যাচ্ছে— এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর খুঁজে পায় না।
*****
টানা এত ক্ষণ বসে থেকে অমিতার দু’পা অসাড় হওয়ার উপক্রম। উঠে আইল ধরে হাঁটতে শুরু করলেন। লোকজন যাতায়াত করছে। প্লেনটা যেন নিজেই একটা পৃথিবী। কত দেশের কত লোক, কত চিন্তা, কত গন্তব্য! কার কোথায় ঘর? কে কার বাড়ি যাচ্ছে? আস্তে আস্তে সিটে গিয়ে বসলেন অমিতা। খাবার আসছে।
ছেলেদের বারণ করেছিলেন কাউকে কিছু বলতে। জন্মদিনের বিশাল পার্টি। প্রায় বিয়েবাড়ির মতো আয়োজন। মনে করতে পারছেন না কেউ বাদ ছিল কি না! প্রচুর লোক, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব। কত ভাল ভাল কথা বলেছিল সবাই অমিতার সম্বন্ধে। অবাক লাগছিল অমিতার। ভাবছিলেন, ‘এই আমি!’ মন খারাপ হয়ে যাচ্ছিল তাঁর, আবার এক অদ্ভুত আনন্দে মন ভরে উঠছিল। সবার শেষে অমিতার বলার পালা। তাঁর বলা শেষ হয়েছিল ঘোষণায়, ‘‘আমি কাল ইংল্যান্ড চলে যাচ্ছি।’’
মুহূর্তটা মনে পড়লে এখনও কেমন লাগছে অমিতার। সেই ঘোষণায় হলঘরে যেন অখণ্ড নীরবতা। কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগ না দিয়ে হল থেকে সোজা বাড়ির ভিতরে চলে এসেছিলেন তিনি। আজ সকাল থেকে বাড়িতে ফোনের বন্যা বইবে। ছেলে-মেয়ে-বৌদের জবাব দিতে দিতে হয়রান হতে হবে। খারাপ লাগছে ভাবতে। কিন্তু কিছু করার ছিল না অমিতার।
*****
চার মাস আগেই অ্যালেক্সকে জানিয়েছিলেন তাঁর ফেরার সিদ্ধান্ত। অমিতার বাবা তাঁর জন্য বাড়িটা রেখে গিয়েছিলেন... যদি কোনও দিন…
ফোনে বলেছিলেন, ‘‘তোর জন্যই থাকল, যখনই আসিস...’’
এখন অ্যালেক্স যদি তাঁর বাড়িটা একটু থাকবার মতো করে গুছিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে, সুবিধে হয়। অ্যালেক্সও জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘ডেভিড জানে?’’
‘‘না। ওর সঙ্গে অনেক
দিন কোনও যোগাযোগ নেই,’’ বলেছিলেন অমিতা।
‘‘তুই জানিস?’’
‘‘কী?’’
‘‘ও এখন টার্মিনালি ইল। ক্যান্সার। লাস্ট স্টেজ। অনেক দেরিতে ডিটেক্টেড হয়েছে।’’
শুনে অনেক ক্ষণ চুপ করে থাকেন অমিতা।
‘‘হ্যালো, এমি!’’
‘‘অ্যালেক্স, আমি ছেড়ে দিচ্ছি এখন। পরে কথা হবে।’’
ফোন রেখে দিয়েছিলেন অমিতা। পাহাড়ের উপর থেকে যেন একটা প্রকাণ্ড পাথর গড়িয়ে নামছে তাঁর উপর। পালানোর পথ নেই। এ খবরে কবীরের কেমন লাগত? উনি সব সময় বলতেন, ‘‘এমি, কষ্ট থেকে কেউ কাউকে বাঁচাতে পারে না। দুঃখ-কষ্ট সামলাতে শিখতে হয়। নিজেকে তৈরি করতে হয়।’’ কবীরের কথাগুলো ওঁর হৃদয়ের উত্তাপের মতোই আশ্রয় দেয় অমিতাকে। যা আশ্রয় দেয় তা-ই তো ঘর, তা-ই তো বাড়ি।
শুভ বুঝতে পারবে না, অমিতা ফিরে যাচ্ছেন একটা চেরি ফুলের গাছের জন্য। তাঁর কেন্টের বাড়ির গেটের পাশে সেই চেরি ফুলের গাছ। অ্যালেক্স বছরে এক বার ফুলের সময় তাঁকে ছবি তুলে পাঠায়। হালকা গোলাপি ফুলে আচ্ছন্ন গাছটা প্রতি বছর ছবিতে বার বার দেখার পরও গাছটার প্রতি এক অলৌকিক বিস্ময় জমে থাকে অমিতার মনে।
শুভ বুঝতে পারবে না, অমিতা ফিরে যাচ্ছেন একটা বুনো, টক আপেল গাছের জন্য। রান্নাঘরের পিছনের এক ফালি বাগানে ছোট ছোট লাল আপেলগুলো বড় হওয়ার আগেই ঝরে পড়ত মাটিতে। কুড়িয়ে শেষ করতে পারত না ছোট্ট এমি।
কিছু জিনিসের টান কখনও নষ্ট হয় না। পিছুটানের মতো কোথাও বাঁধা পড়ে থাকে মনের শেকড়। কেউ বুঝবে না... অমিতা লাহিড়ীর মনের বন্ধ দরজায় অনেক দিন ধরেই কড়া নাড়ছে সেই গাছ দু’টো।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy