ছবি: সুমন চৌধুরী
এক প্রৌঢ়ের তলপেটে ছুরি চালাচ্ছিলেন রণজয় দত্ত। চল্লিশ বছরের নিত্য অভ্যাসে বিষয়টা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাখনের ভিতর ছুরি চালানোর মতোই। এই সব হার্নিয়া, অ্যাপেনডিক্স জাতীয় কেসগুলো তাঁর কাছে এমনই জলভাত যে চোখে ফেট্টি বেঁধে দিলেও নামিয়ে দিতে কোথাও এতটুকু ভুলভ্রান্তি হবে না। এই মফস্সল শহরে তাঁর সহ-শল্যচিকিৎসকরা বলেন, দত্তদার হাত দু’খানা একেবারে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়ার মতোই। তাই কোথাও কোনও সমস্যা থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
অপারেশন থিয়েটারে সেলফোন রাখাটা প্রফেশনাল এথিক্স বিরুদ্ধ, তাই ওটা ভাইব্রেশন মোডে রাখা ছিল দূরে টেবিলের উপর। গোঁ-গোঁ করছিল অনেক ক্ষণ থেকে। সেলাই শেষ করে গ্লাভসটা ট্রে-তে ছেড়ে রেখে তবে এগিয়ে গিয়েছিলেন ফোনটা ধরতে। উনিশটা মিস্ড কল দেখাচ্ছে স্ক্রিন। রিং ব্যাক করতে যাচ্ছিলেন শেষ নম্বরটায়, অমনি জেগে উঠল আরও একটা কল। ডা. সঞ্জয় সেন কলিং। রিসিভ করে বাইরের করিডরে বেরিয়ে এসে বললেন, ‘বল সঞ্জয়, কী খবর?’
ও পারের কণ্ঠস্বর উদ্বিগ্ন, ‘রণজয়দা, ঠিক আছ তো?’
‘কেন? কী হয়েছে, আমার আবার কী হবে?’
‘না, মানে ইয়ে, মানে লোকজন বলছে...’
‘কী বলছে, আমি মরে গিয়েছি? পুরনো কথা। তোরটা নিয়ে কম করে এই তেত্রিশটা কল রিসিভ করলাম, সবাইকে এক কথা বলতে-বলতে মুখে ফেনা ওঠার জোগাড়। ভাবছি এ বার একটা ভয়েস সেট করে রাখব, আমাকে ফোন করলেই বাজবে: আমি বেঁচে আছি, বহাল তবিয়তে বেঁচে আছি।’
‘না, মানে... চার পাশে সবাই এমন ভাবে বলছে, তাই...’
‘না না, ইট’স ওকে। তোরা কাছের লোকজন, দুশ্চিন্তা তো হতেই পারে। কিছুক্ষণ আগে গাইনি মণিরত্ন ফোন করেছিল। বলছিল, কে নাকি বলেছে আমায় পুলিশ অ্যারেস্ট করেছে, লক-আপে আছি। ডা. রায় তোর বউদিকে ফোন করে জানতে চেয়েছে, আমার হার্ট অ্যাটাক করেছে, খবরটা কি ঠিক? ইনকাম ট্যাক্সের লোকজন কাল বিকেলে আমার বাড়িতে রেড করতে এলে আমি নাকি বুক ধরে বসে পড়ি, ব্যস, ওখানেই শেষ!’
‘থ্যাংক গড! তোমার গলা শুনে ধড়ে প্রাণ এল।’
‘ওরে ব্যাটা, ডাক্তারের বুক অত সহজে ধড়াস করে উঠলে চলবে? সন্ধের দিকে ফ্রি হলে কল করিস, কথা আছে। নার্সিং হোমে নতুন কিছু মেশিন বসাব ভাবছি, আলোচনা আছে।’
‘ডেফিনিটলি। সাড়ে সাতটা নাগাদ কল করব।’
কফিতে গলাটা ভিজিয়ে নিয়ে এক্ষুনি আবার ও.টি.’তে ঢুকতে হবে। পর পর সাতখানা অপারেশন, তার মধ্যে অন্তত দুটো বেশ ক্রিটিকাল! মিনিট পাঁচেকের মধ্যে প্রিয় গানের একটা কলি গুনগুন করতে-করতে আবার যে রকম ফুরফুরে মেজাজে ও.টি.’তে ঢুকলেন, তাতে অ্যানেসথেটিস্ট ডা. রঞ্জন দে, চার জন নার্স, দুজন নার্সিং হোম স্টাফ, কারও পক্ষেই টের পাওয়ার উপায় ছিল না, সকাল থেকে মন ভাল নেই ডাক্তারবাবুর।
এমনিতে কোনও পরিস্থিতিতে তিনি মনের ভাব মুখে ফুটে উঠতে দেন না। কিন্তু আজকের দিনটা একেবারেই আলাদা। এই রকম একটা দিনও যে কখনও আসতে পারে, ভাবতে পারেননি দুঃস্বপ্নেও। শেষ পঁয়ত্রিশ বছর যেখানে বাস, সেই শহরের লোকজন কী আশ্চর্য নির্দ্বিধায় তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দিল! সবচেয়ে বড় কথা, সবাই যেন ভয়ানক আমোদিত এই খবরে। কর্মচারীদের মুখে দফায় দফায় যে সব কথা কানে আসছে, তাতে পরিষ্কার, খবরটা নিয়ে আলোচনারত মানুষেরা উল্লসিত।
কাউকে বুঝতে না দিলেও বিষয়টা মনের গভীরে ক্ষত তৈরি করেছে, এক নাছোড়বান্দা মাছির মতো পাক খেয়ে উড়ে উড়ে এসে বসছে বিশ্রী একটা চিন্তা। এই টাউনের লোকজন ভেতরে-ভেতরে তাঁকে তা হলে এতটা ঘৃণা করে! তাতে অবশ্য হাতের কাজে বাধা পড়ে না মোটেও, যান্ত্রিক দক্ষতার কাঁচি চালাতে থাকেন মাংসের দেওয়ালে।
ও.টি. শেষ করে ড্রয়িংরুমে বসে খবরের কাগজ দেখছিলেন, একই সঙ্গে টিভিতে নিউজ চ্যানেলও খোলা ছিল। ডিমনিটাইজেশন নামক সরকারি ফরমান বলবৎ হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে হাজার-হাজার কোটি টাকার নোট বদলে গিয়েছে কাগজের টুকরোয়। তবে কাগজে বা পরদায় আর কী খবর থাকে, আসল খবর তো ফেরে পাবলিকের মুখে।
কাগজটা গুটিয়ে উঠতে যাবেন, ঘরে এসে ঢোকে বিশ্বস্ত কর্মচারী কানাই বিশ্বাস। ‘কী খবর কানাই?’ জিজ্ঞেস করতেই সে বলে, ‘আর বলবেন না স্যর, এক চায়ের দোকানে একটু আগেই শুনে এলাম আর এক আজব কথা। ইনকাম ট্যাক্সের লোকজন নাকি কাল রাতে রেইড করে আপনার ঘরের ডিভানের তলা থেকে ছ’কোটি টাকা সিজ করেছে!’
‘মনে করব কেন রে ব্যাটা। আমি তো বেড়ে মজা লুটছি।’
‘না স্যর, শুধু আপনাকে নিয়ে না, টাউনের সব পসারওয়ালা ডাক্তারদের নিয়েই কমবেশি গুজব ছড়াচ্ছে।’
‘কী আর বলি বল, শহরে যেন আমরাই একমাত্র টাকা কামাই। হাজার একটা ব্যবসাদার রয়েছে, প্রোমোটার, আড়তদার, আমলা, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাচ পড়ানো মাস্টার, তাও দ্যাখ সব সময় আমাদের দিকেই আঙুল ওঠে। অথচ কত মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছি, নামমাত্র পয়সায় কত প্যাঁচালো অপারেশন উতরে দিয়েছি, কত গরিব পেশেন্টের কাছ থেকে এক পয়সাও নিইনি।’ বলতে বলতে চেয়ার ছেড়ে উঠেন তিনি।
আপন মনেই বিড়বিড় করতে থাকেন, ‘অথচ সারা দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করি। এত বছরের অভিজ্ঞতায় এই পরিমাণ দক্ষতা অর্জন করেছি, তার তো কোনও একটা রিওয়ার্ড থাকেই। ভিজিট সবাই নেয়, আমিও নিই, ডাকাতি তো করতে যাইনি!’
পার্সোনাল রুমের নম্র নীল আলোটা জ্বেলে বসেন। কিন্তু বড্ড একা লাগছে। অস্থির লাগতে শুরু করলে উঠে গিয়ে দাঁড়ান জানলায়। রাস্তার উপর চোখ পাতেন। নীচের রাস্তাটা দিয়ে চলাচল করা মানুষগুলো আজ তাঁর প্রাসাদোপম বাড়ির সামনেটা পেরিয়ে যাওয়ার সময় বারবার তাকাচ্ছে, উঁকিঝুঁকি মারছে। কী সব ফিসফিস করছে। শহর জোড়া মানুষজনের বেশির ভাগ তো তাঁকে মেরেই ফেলেছে। যারা প্রাণে বাঁচিয়ে রাখার অনুগ্রহটুকু দেখিয়েছে, তারা তো মনে হচ্ছে আরও বিপজ্জনক। মাথাটা টনটন করে ওঠে ডাক্তার দত্তর। ঘরের এ মাথা থেকে ও মাথা অনবরত পায়চারি করতে থাকেন। এত অর্থ ক্ষমতা উঁচুতলায় যোগাযোগ, অথচ আজ তাঁর কিচ্ছুটি করার নেই! এই পরিস্থিতিতে কেউ তাঁকে কোনও ভাবে সাহায্য করতে পারবে না, সম্ভবত ঈশ্বরও না!
সন্ধের দিকে মাথার যন্ত্রণায় রগ ছিঁড়ে যাওয়ার জোগাড়, তবু পূর্বনির্ধারিত রুটিনের হাত থেকে নিষ্কৃতি নেই। সাড়ে ছ’টা থেকে শুরু করে টানা এগারোটা অবধি আবার পর পর অপারেশন আছে। দুনিয়া রসাতলে গেলেও এই শেডিউল নড়চড়ের উপায় নেই। ভাগ্যিস নেই, আজকের দিনে অন্তত কাজের মধ্যে আরও বেশি করে ডুবে থাকাটাই নিষ্কৃতি। মগজ ফাঁকা পেলেই দুশ্চিন্তাগুলো দাঁত-নখ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে, ছিঁড়েখুঁড়ে একসা করবে।
অপারেশন থিয়েটার থেকে অবশেষে যখন বেরিয়ে এলেন, আপাদমস্তক ক্লান্তিতে ন্যুব্জ। তবু এ যেন দুর্দান্ত রমণের ক্লান্তি। জীবনের চরমতম বিড়ম্বনার এই দিনে তাঁর পেশি, স্নায়ুদল ধ্বস্ত, তবু বেশ বেপরোয়া, চনমনে। কিন্তু ডিনার সারার পর আর টানা গেল না শরীর। বিছানায় শরীর ছড়িয়ে দেওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তন্দ্রা জড়িয়ে এল চোখে। ঘুম এল, নিশ্ছিদ্র ঘুম। তলিয়ে যেতে লাগলেন নির্বিঘ্নে, গভীরে, আরও গভীরে।
অনেক ক্ষণ ধরে কোথাও কিছু ছিল না, কিন্তু একটা সময়ের পর থেকে চার দিক থেকে কেমন যেন একটা শোরগোলের শব্দ মাথাচাড়া দিতে শুরু করল। প্রচুর লোক চার পাশ থেকে জড়ো হচ্ছে, হাতে বড় বড় শাবল, হাতুড়ি, গাঁইতি। সারা শহরের লোকই যেন ভিড় করছে তাঁর বহুতল বাড়িটাকে ঘিরে। কানের পরদায় আছড়ে পড়তে শুরু করল জোরালো ধাতব শব্দ। বাইরের কোলাপসিব্ল দরজাটা ভেঙে ওরা ঢুকে পড়ল ইতালিয়ান মার্বেলে মোড়া নীচের ঘরের চাতালে। দারুণ উল্লাসে যে যার মতো হাতে ধরা হাতুড়ি শাবল গাঁইতি বসাতে লাগল দেওয়ালগুলোয়। চিৎকার করে একে অপরকে বলতে লাগল, ‘এই দেওয়ালগুলোর মধ্যেই লুকনো আছে কোটি কোটি টাকা!’ শুরু হয়ে গিয়েছে যেন এক উৎসব, ভাঙন মহোৎসব। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভাঙার মতো আর কিছু বাকি থাকল না, কিন্তু কোথায় টাকা? একটা নয়া পয়সাও হাতে এল না কারও। গলদঘর্ম হয়ে হাঁপাচ্ছিল ওরা, হঠাৎ কে যেন বলে উঠল, ‘তা হলে সব টাকা ব্যাটা মেঝের তলায় লুকিয়ে রেখেছে! খোঁড়, মেঝে খোঁড়!’ মার্বেল পাথরে লোহার শাবলের ঘায়ে উঠতে লাগল আগুনের ফুলকি। আধ ঘণ্টার সমবেত চেষ্টায় পাঁচ হাজার স্কয়্যার ফিটের চাতালটা পুরো খুঁড়ে ফেলল, গভীর একটা জলাশয় মতো কেটে ফেলল। কিচ্ছু পাওয়া গেল না, তাই বলে থামল না খোঁড়াখুঁড়ি। দেখতে দেখতে একটা বিশাল খনি মতো তৈরি হল, কিন্তু ওরা থামল না। আছে, আরও নীচে কোথাও নিশ্চয়ই আছে। আরও নীচে, আরও নীচে।
নামছে তো নামছেই, নামছে তো নামছেই। কিন্তু কোথাও কিছু নেই, কিচ্ছু নেই। সহসা সম্বিৎ ফিরল কয়েক জনের, এ কোথায় এসে পৌঁছল তারা? চার দিকে চাপচাপ অন্ধকার, গুমোট ভ্যাপসা দমবন্ধ করা অন্ধকার। কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। বিভ্রান্ত হয়ে এদিক-ওদিক হাঁটা লাগিয়ে ওরা পথ হারাল। ভুলভুলাইয়ায় আটকা পড়েছে বুঝতে পেরে আতঙ্কিত হয়ে উঠল। চিৎকার করে উঠল, ‘বাঁচাও বাঁচাও’ আর্তনাদ করতে লাগল, আর সেই সম্মিলিত আর্তনাদ গহ্বরের গায়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে অচিরেই পালটে গেল এক বীভৎস শব্দ-বিস্ফোরণে।
নিজের ধূলিসাৎ বাড়ির চাতালে হাঁটু গেড়ে বসেন ডা. দত্ত। হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে গহ্বরের কিনারে এসে মাথা ঝুঁকিয়ে তাকান নীচে। হাসতে হাসতে হঠাৎ থমকে যান। এ সবের জন্য কি তিনি দায়ী, না ওরা? আটকে পড়ে ওরা এখন কী করবে? গাঢ় ওই ভয়াল অন্ধকারের মুখ দেখে শিউরে ওঠেন ডাক্তার। ঠিকরে বেরিয়ে আসা চোখ দুটোই কি তারারন্ধ্রের ভেতর শুষে নিতে চাইছে অতল এই খাদ, না কি খাদ টানছে তাকে। ভয়ানক আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন ডাক্তার, প্রবল এক ঝাঁকুনিতে তুলে নেন মাথা। এমন জোরে ঝটকা দিয়ে তোলেন যে ছিঁড়ে যায় ভোরের ঘুম। হুড়মুড়িয়ে উঠে বসেন বিছানায়। ফ্যালফেলিয়ে তাকিয়ে থাকেন। পলক পড়ে না চোখে, পড়তে চায় না।
বিছানা থেকে উঠেই দৌড়ে যান সিঁড়ির নীচে। র্যাকের তলা হাতড়ে খুঁজে বের করেন পুরু ধুলোর সর-পড়া এক জোড়া জগিং শু। কোনও ক্রমে পায়ে গলিয়ে কষে বেঁধে নেন ফিতে। সাতসকালে দরজা খুলে দিতে বললে পুরনো দারোয়ান রতন জিজ্ঞেস করে, ‘এত সকালে কোথায় চললেন স্যর?’ ‘এ বার থেকে রোজ এই সময় দরজা খুলে দিও। মর্নিং ওয়াকে বেরোব।’ সে ঘাড় নাড়ে কিন্তু ভ্রুযুগলের মাঝে কুঁচকে রয়েছে যেন এক অনিবার্য প্রশ্ন, ‘কেন, হঠাৎ?’ প্রশ্ন উচ্চারিত হয়নি কিন্তু যেচেই ব্যাখ্যা দিতে ঠোঁট নড়ে ওঠে ডাক্তারের। বিড়বিড় করতে করতে পেরিয়ে আসেন বাইরের দরজা: ‘টাকা তো অনেক রোজগার হল, শরীরটাও তো দেখতে হবে, কী বলো? লোকজন তো আমাকে মেরেই ফেলেছে, দেখি এ বার বেঁচে ফেরা যায় কি না!’
সকালের আলোর মতোই লাজুক মুখ নিয়ে পা দেন রাস্তায়। উলটো দিকে চায়ের দোকানে বসা মানুষগুলো হাঁ করে তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে। মুখে অমায়িক একটা হাসি জাগিয়ে নেন ডাক্তার, চোখ সরিয়ে নেন না কারও চোখ থেকেই, হাত নাড়েন চেনা লোক দেখলে। নিজেকে কেমন যেন অলীক মনে হয়, ভর নেই, ভার নেই, যেন এক মূর্তিমান অশরীরী! জনতার চোখ সে এক বিষম বস্তু, কত সহজে মানুষকে ভগবান বানায়, পর ক্ষণে ভূত। কিন্তু দোষটা কি শুধু ওদেরই ছিল, তাঁর কিছুমাত্র দায় ছিল না কি? ছিল তো বটেই। তাই তো আজ এই ভাবে বেরিয়ে পড়া। কিন্তু পায়ের জুতোটায় বড্ড লাগছে, অনেক কাল পড়ে থেকে থেকে ছোট হয়ে গিয়েছে। লাগে লাগুক, ফোস্কা পড়ে পড়ুক, আজ তাঁকে হাঁটতেই হবে, প্রাণের দায়ে হাঁটতে হবে। এই ভূতটাকে আবার মানুষে বদলে নিতে গেলে তাঁকে এই ভাবে অনেক দিন ধরে হাঁটতে হবে, অনেক রাস্তা হাঁটতে হবে।
আনন্দবাজার পত্রিকায় ছোটগল্প পাঠান। মনোনীত হলে প্রকাশিত হবে ‘রবিবাসরীয়’ বিভাগে। ইউনিকোডে টাইপ করে অনধিক ১৫০০ শব্দের মধ্যে আপনার লেখা মৌলিক গল্প পাঠিয়ে দিন rabibasariya@abp.in ইমেল আইডিতে। ইমেল-সাবজেক্টে ‘রবিবাসরীয়-এর জন্য গল্প’ কথাটির উল্লেখ থাকতে হবে। ডাকযোগেও গল্প পাঠাতে পারেন। ঠিকানা: ‘রবিবাসরীয়-এর জন্য গল্প’, আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১। অমনোনীত গল্পের পাণ্ডুলিপি ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে না। পাণ্ডুলিপির সঙ্গে ফোন নম্বর বা ইমেল আইডি জানাবেন। গল্প প্রকাশের বিষয়ে ফোনে কোনও তথ্য জানাতে আমরা অপারগ। প্রকাশনার সুবিধার জন্য ইউনিকোড ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy