Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
ধারাবাহিক উপন্যাস  পর্ব ২৫

নুড়ি পাথরের দিনগুলি

‌‌বাড়িতে তৈরি ঘুগনি আর পাঁউরুটি এনে দিলেন শ্রীকণা। মেনু দেখে মজা পেলেন কমলেশ। ঘুগনি পাঁউরুটি দিয়ে কবে শেষ টিফিন করেছেন মনে পড়ল না। খাওয়া শেষ করে বিদেশে পড়তে যাওয়ার খবরটা দিলেন।

ছবি: অমিতাভ চন্দ্র

ছবি: অমিতাভ চন্দ্র

প্রচেত গুপ্ত
শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

পূর্বানুবৃত্তি: বিতানের ফ্ল্যাটেই যাবে বলে গাড়ি ঘোরাল আহিরী। সৌহার্দ্য কমলেশকে বলল, সে এক বার চেষ্টা করে দেখতে পারে অফিসের কম্পিউটারের গন্ডগোল সারানো যায় কি না। কমলেশ বসে বসে শ্রীকণার কথা, তাঁর সঙ্গে পরিচয়, সম্পর্কের কথা ভাবতে লাগলেন।

এক শান্ত, নিস্তব্ধ দুপুরে কমলেশ শ্রীকণার বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে ম্যানেজমেন্ট পড়ার দুর্দান্ত সুযোগের খবর জেনেছিলেন সে দিনই। ভেবেছিলেন, শ্রীকণাকে খবরটা দিয়ে চমকে দেবেন। গিয়ে দেখলেন, শ্রীকণা ছাড়া বাড়িতে কেউ নেই। উত্তরপাড়া না ব্যান্ডেলে আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছে সবাই।

‘‘তুমি যাওনি?’’

শ্রীকণা বলেছিলেন, ‘‘ধুস, এখন কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে গেলে কেবল একটাই প্রশ্ন, তোর কবে বিয়ে। কান ঝালাপালা হয়ে যায়। আমি আর কোথাও যাই না। শরীর খারাপ বলে কাটিয়ে দিই।’’

‘‘বেশ করো। চট করে কিছু খেতে দাও দেখি। ‌খুব খিদে পেয়েছে। খেতে খেতে তোমাকে একটা দারুণ খবর দেব।’’

‌‌বাড়িতে তৈরি ঘুগনি আর পাঁউরুটি এনে দিলেন শ্রীকণা। মেনু দেখে মজা পেলেন কমলেশ। ঘুগনি পাঁউরুটি দিয়ে কবে শেষ টিফিন করেছেন মনে পড়ল না। খাওয়া শেষ করে বিদেশে পড়তে যাওয়ার খবরটা দিলেন। শ্রীকণার মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল, আবার ম্লানও হয়ে গেল।

‘‘মন খারাপ হয়ে গেল?’’

শ্রীকণা জোর করে হেসে বললেন, ‘‘ছি ছি, ভাল খবরে মন খারাপ হবে কেন? কত দিন থাকবে?’’

কমলেশ শ্রীকণার হাত ধরে পাশে বসিয়েছিলেন। ‘‘যত তাড়াতাড়ি পারি কোর্স শেষ করে চলে আসব। এই সুযোগ খুব কম জনেই পায়।’’ বলতে বলতে শ্রীকণার হাত ধরেছিলেন।

শ্রীকণা ম্লান হেসে বলেছিলেন, ‘‘তুমি তো কম জনের এক জন। এই পড়া এখানে পড়া যেত না?’’

কমলেশ ভুরু কুঁচকে বিরক্ত গলায় বললেন, ‘‘যাবে না কেন? তা হলে ওই দশ জনের এক জন হয়ে থাকতে হবে।’’

‌শ্রীকণা বলল, ‘‘ও। আমি তো এত জানি না।’’

কমলেশ নিজেকে সামলে নরম গলায় বলেছিলেন, ‘‘আমার স্বপ্ন ছিল চার্টার্ড পাশ করার পর বিদেশ থেকেও আরও ডিগ্রি নিয়ে আসব। শ্রীকণা, আমার স্বপ্ন সত্যি হলে তুমি খুশি হবে না?’’

শ্রীকণা বলেছিলেন, ‘‘আমি খুশি হয়েছি।’’

কমলেশ বলেছিলেন, ‘‘ওই ভাবে বললে হবে না, হেসে বলতে হবে।’’

শ্রীকণা হেসে বলেছিলেন, ‘‘আচ্ছা, হেসেই বলছি, আমি ভীষণ ভীষণ খুশি।’’

দু্’হাতে শ্রীকণার মুখ চেপে ধরে বন্ধ হয়ে যাওয়া চোখের পাতায় চুমু খেয়েছিলেন কমলেশ।

‘‘এই, কী হচ্ছে!‌ ছাড়ো ছাড়ো!’’ বলতে বলতে গভীর লজ্জা নিয়ে সে দিন আত্মসমর্পণ করেছিলেন শ্রীকণা। ঘরের এক পাশে রাখা সামান্য তক্তপোশের ওপর শ্রীকণাকে সম্পূর্ণ নগ্ন করে কমলেশ অনুভব করেছিলেন, শুধু চোখ নয়, এই মেয়ের সারা শরীর জুড়ে মায়া ছড়িয়ে আছে। অপটু, অনভিজ্ঞ হাতে শ্রীকণাকে আদরে পাগল করে দিতে দিতে কমলেশ সে দিন তাঁর কানে ফিসফিস করে বলেছিলেন, ‘‘আমার জন্য অপেক্ষা করবে। যত দেরি হোক, আমার জন্য অপেক্ষা করবে।’’

কমলেশের বুকে আঙুল বোলাতে বোলাতে শ্রীকণা বলেছিলেন, ‘‘আচ্ছা, আমি তোমার সঙ্গে যেতে পারি না?’’

কমলেশ বলেছিলেন, ‘‘খেপেছ? আমি স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাচ্ছি, তুমি কী করবে?’’

শ্রীকণা একটু থমকে থেকে বলেছিলেন, ‘‘কেন, স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া যায় না?’’

কমলেশ গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘‘এটা ঠিক নয় শ্রীকণা। কোথায় তুমি বলবে, আমি যেন ভাল করে কোর্সটা শেষ করতে পারি, তা না করে তুমি বিয়ে-টিয়ের মতো পাতি বিষয় নিয়ে ভাবছ।’’

‘‘রাগ করছ কেন? মজা করলাম তো।‌’’

কমলেশ শ্রীকণার মুখটা কাছে টেনে এনে বললেন, ‘‘বললাম তো অপেক্ষা করবে।’’

শ্রীকণা গাঢ় স্বরে বললেন, ‘‘সাবধানে থাকবে। মেমসাহেবদের পাল্লায় পড়বে না। আর.‌.‌. আর শুনেছি ও সব জায়গায় সবাই খুব ড্রিংক-ট্রিঙ্ক করে। তুমি কিন্তু একদম না.‌.‌.‌ মাতালে আমার বড্ড ভয়।’’

কমলেশ হোহো হেসে উঠে বলেছিলেন, ‘‘তুমি কি একশো বছর আগের মানুষ শ্রীকণা?’’

টেবিলে চা দিয়ে গিয়েছে। চোখ খুলে, চেয়ারের ব্যাক-রেস্ট থেকে মাথা তুলে কমলেশ হাত বাড়ালেন। চা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। কাপটা সরিয়ে নিজের মনেই হাসলেন কমলেশ। জীবনের অনেক উত্তাপই এ রকম। কখন যে ঠান্ডা হয়ে যায়, বোঝাও যায় না। হঠাৎ এক সময় খেয়াল হয়।

সে দিনের পর থেকেই খটকা শুরু হয়েছিল। বিদেশে পড়া শুরু করেই কমলেশ খুব দ্রুত বুঝতে পেরেছিলেন, বড় ভুল করেছেন। শ্রীকণার মতো শান্ত, অতি সাধারণ মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করা উচিত হয়নি। তিনি যে জীবনে প্রবেশ করতে চলেছেন, সেখানে শ্রীকণা বেমানান। টিফিনের মেনুতে ঘুগনি–পঁাউরুটি‌, মেমসাহেবদের সঙ্গে না মেলামেশা করা, মদ খাওয়া নিয়ে সেকেলে ভাবনাচিন্তা হয়তো বাইরে থেকে বদলানো যাবে, ভিতর থেকে যাবে না। এটা কি কমলেশ হঠাৎ জানতে পারলেন? নিজেকেই প্রশ্ন করেছিলেন কমলেশ।‌ না, শ্রীকণা যে এক জন সাধারণ মেয়ে, সে কথা তিনি সেই কলেজ-জীবন থেকেই জানতেন। তিনি নিজেও তো অসাধারণ কিছু ছিলেন না। লেখাপড়া, কেরিয়ারের মধ্যে দিয়ে যত একটু একটু এগিয়েছেন, আর পঁাচ জনের থেকে আলাদা হয়েছেন। শ্রীকণার সঙ্গে মেলামেশা করেই বুঝেছেন, টাকাপয়সা, শিক্ষা, রুচিতে দুটো পরিবারে তফাত অনেকটাই। কিন্তু তা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনও প্রয়োজনই হয়নি। নিজের পারিবারিক আভিজাত্য, বাবা–মা, দুই দিদির নাক-উঁচু আচরণ তাঁকে হয়তো খানিকটা ক্লান্ত করেছিল। শ্রীকণাকে ভাল লাগার এটাও একটা বড় কারণ। এই মেয়ে সাধারণ মেয়ে। তখন তো ভাবতে হয়নি এই ‘সাধারণ মেয়ে’টিকে তরুণ বয়সে ভাল লাগছে ঠিকই, কিন্তু সারা জীবন পাশে নিয়ে চলতে কেমন লাগবে? মায়াভরা দুটো চোখ কখনও অর্থহীন, অসহ্য মনে হবে না তো? ‌এত দিনের ভালবাসা, আবেগ, মুগ্ধতা বিয়ের মতো একটা সামান্য কারণে বিশ্রী কলহ, হিংসা, ডিভোর্সে ভেসে যাবে না তো? যাবেই তো। কমলেশ স্পষ্ট দেখতে পেলেন। জীবন তাঁর ঝকঝকে কেরিয়ারের জন্য বারবার বাধা তৈরি করছে। সে দিন শরীরের ভালবাসায় মেতে ‘অপেক্ষা’ করতে বলাটা কি ভুল হয়েছে? হতে পারে। মানুষ কি ভুল করে না? সেই ভুল সংশোধনও করে।

কিন্তু কী ভাবে? শ্রীকণাকে এ সব কথা মুখে বলা যাবে না। চিঠি লিখে? না, তাও নয়। এ প্রত্যাখান শ্রীকণা বুঝতে পারবে না। কমলেশ ক’দিন খুব অশান্তির মধ্যে রইলেন। ক্লাসে মন বসল না, রাতে ঘুম হল না।

এক ঝিরঝিরে বৃষ্টির বিকেলে হাইড রোডের পাবে বসে বিয়ার খেতে খেতে কমলেশ নিজেকে বোঝালেন, কিছু কিছু সময় জীবনকে কঠিন হতে হয়। চারপাশে অনেকেই ভুল বোঝে, নিন্দে করে। করুক। শ্রীকণা আর তাঁর স্বার্থেই, তিনি শ্রীকণাকে ভুলে যাবেন। ভুলতে হবে। তিনি ভুলতে শুরুও করলেন। যোগাযোগ একেবারে বন্ধ করে দিলেন। দেশে ফিরলেন পঁাচ বছর পর। সঙ্গে দু’বছর ম্যানেজমেন্ট পড়া ডিগ্রি আর তিন বছর বিদেশে চাকরি করার জবরদস্ত সিভি। কলকাতায় নয়, বিমান থেকে কমলেশ নামলেন মুম্বই। সেখানেই বিখ্যাত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তাঁকে প্রথম পোস্টিং দেয়। নবনীকে বিয়ে তারও এক বছর পর। ম্যাট্রিমনিতে যোগাযোগ।

মোবাইল বেজে উঠল। কমলেশ রায় চমকে উঠলেন। এত খুঁটিনাটি সব মনে আছে!‌ না কি মস্তিস্ক ভুলে যাওয়া সব কিছু ফিরিয়ে দিচ্ছে আবার? ডিলিট হয়ে যাওয়া ফাইল‌ ফিরে পাওয়ার মতো!

মোবাইলটা বেজেই চলেছে। ক্লান্ত ভাবে কমলেশ ফোন তুললেন। নবনীর ফোন।

১৩

বিতান রান্নাঘরে। টুংটাং, খুটখাট আওয়াজ হচ্ছে। আহিরীকে বলে দিয়েছে, রান্নাঘরে উঁকিঝুঁকি দেওয়া চলবে না।

আহিরী গলায় কৌতুক নিয়ে বলল, ‘‘ঠিক আছে যাচ্ছি না। কিন্তু কী বানাচ্ছ জানতে পারি?’’

বিতান কঁাধ ঝঁাকিয়ে কায়দা করে বলল, ‘‘অবশ্যই পারো। কিন্তু সবটা পারো না। সারপ্রাইজ় এলিমেন্ট নষ্ট হয়ে যাবে। আমি তোমার জন্য আজ একটা ইতালিয়ান ডিশ বানাচ্ছি ম্যাডাম।’’

আহিরী আঁতকে উঠে বলল, ‘‘এই রে!‌ বিতান, সুস্থ ভাবে বাড়ি ফিরতে পারব তো? আমাকে কিন্তু ড্রাইভ করতে হবে।’’

বিতান বলল, ‘‘দেখেছ, তুমিই আমাকে বলো, সব ব্যাপারে রসিকতা করবে না? বলো কি না?’’

আহিরী বলল, ‘‘সরি স্যর।’’

বিতান বলল, ‘‘আমি গান চালিয়ে দিচ্ছি, তুমি শোনো। অনুভবের মিউজিক সিস্টেমটা চমৎকার। ইচ্ছে না থাকলেও আমাকে মাঝে মাঝে চালাতে হয়। অনুভব এসে যদি দেখে না চালিয়ে ওটা বিগড়েছে, বিরাট চেঁচামেচি করবে। হয়তো সারানোর খরচ চেয়ে বসবে।’’

ফ্ল্যাটটা সাজানো গোছানো। মালিক যে শৌখিন তা বোঝা যায়। যাকে সে থাকতে দিয়েছে, সেও যত্ন করেই রেখেছে। ড্রইংরুমটা বেশ। সোফা ছাড়াও নিচু ডিভান রয়েছে। ডিভানের ওপর কুশন। আহিরী কোলের ওপর একটা কুশন নিয়ে ডিভানে পা তুলে বসেছে। বসেছে আরাম করে, কিন্তু অস্বস্তিও হচ্ছে। সকাল থেকে এক শাড়ি–জামায় রয়েছে, এই জন্য অস্বস্তি। শাড়িটা সুন্দর। কটন কোটা, গোলাপি-কালো কম্বিনেশন। আজ কলেজে কয়েক জন কলিগ প্রশংসা করেছে। করিডরে কয়েক জন ছাত্রীও বলল, ‘‘ম্যাম, ইউ আর লুকিং গর্জাস।’’

আহিরী হেসে বলেছে, ‘‘থ্যাঙ্কু। রেজাল্ট ভাল হলে তোমাদেরও এ রকম গর্জাস লাগবে।’’

সাজগোজে আলাদা করে বিরাট মন না দিলেও কলেজে আসার সময় শাড়িটা বেছেই পরে আহিরী। ফ্যাশনের জন্য নয়, রুচিশীল আর এনার্জেটিক দেখানোর জন্য। সে বিশ্বাস করে, এক জন শিক্ষককে কখনওই ক্লান্ত, বিষণ্ণ দেখানো উচিত নয়। তাকে যত ঝলমলে দেখাবে, ছেলেমেয়েরাও তত নিজেদের একঘেয়েমি ঝেড়ে ফেলতে পারবে। এই ব্যাপারটা নিয়ে আজও কোনও কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকার নাক-কোঁচকানো ভাব আছে। আহিরী তর্কও করেছে। একটা সময় ছিল, শিক্ষকরা যেমন-তেমন পোশাক পরে কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে আসতেন। পুরুষরা কঁাধে তাপ্পি দেওয়া ব্যাগ, এক মুখ দাড়ি, ময়লা জামাকাপড়ে ক্লাস নিতেন। মহিলারা সাদা শাড়ি, হাতখোঁপা, হাতে গাদাখানেক বইয়ে ছিলেন স্বছন্দ। সময় বদলেছে। যে ছেলেমেয়েরা বাইরে ঝলমলে জীবন দেখছে তারা লেখাপড়ার জগৎটাকে বিবর্ণ দেখবে কেন? কেন তাদের মনে হবে লেখাপড়া নিয়ে থাকা মানে ময়লা পোশাক, তাপ্পি দেওয়া ব্যাগ? তখন বেতন কম ছিল, এখন তো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা গাড়ি চড়ছে। ভাল ফ্ল্যাট কিনছে। পোশাক ফিটফাট থাকতে সমস্যা কোথায়? এই বিশ্বাসেই কলেজে যাওয়ার আগে নিজের সাজপোশাকে একটু হলেও খেয়াল রাখে আহিরী।

আহিরীর মনে হচ্ছে, স্নান করতে পারলে হত। বিতানকে দেখে হিংসে হচ্ছে। সে একটা কালো রঙের ক্যাজু্য়াল ট্রাউজার পরেছে। গায়ে লাল টি-শার্ট। আর সে কিনা বসে আছে জবুথবু হয়ে, সারা দিনের ঘাম আর ধুলো মেখে। বিচ্ছিরি!

‌মিউজিক সিস্টেম চালু করে দিয়ে গিয়েছে বিতান। পেন ড্রাইভে গান বাজছে। কারপেন্টার্সের ‘টপ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। আহিরীর খুব প্রিয় গান। বিতান জানল কী করে? গাড়িতে শুনেছে নিশ্চয়ই। ‌

আহিরী ভেবেছিল, বেল টিপে বিতানকে চমকে দেবে। যদিও সে ফ্ল্যাটের নম্বর জানে না। তাতে কী? ঠিক জেনে নেওয়া যাবে। জানা হল না। গেটে সিকিয়োরিটি আটকে দিল। বিতান মুখোপাধ্যায়ের নাম বলে লাভ হল না। ফ্ল্যাটের নম্বর চাই। যাওয়ার অনুমতিও চাই। আহিরী বাধ্য হয়ে বিতানকে ফোন করল। বিতান ফোন ধরল তিন বার বাজার পর।

‘‘কী হয়েছে?’’

আহিরী বলল, ‘‘বড় বিপদ হয়েছে। তুমি ভিআইপি হয়ে গেছ।’’

বিতান অবাক হয়ে বলল, ‘‘মানে!‌’’

ক্রমশ

অন্য বিষয়গুলি:

Novel Series
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy