World's first electric flying car ‘Model A’ could soon be a reality, US gives green signal dgtl
Flying Car
যানজট এড়াতে উড়ে যান আকাশে, বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত গাড়ির সওয়ারি হতে পারেন ২০২৫ সালে
‘মডেল এ’ নামে ওই গাড়িটি রাস্তায় ঘোরাফেরার পাশাপাশি উড়তে পারে আকাশে। যদিও সেটিতে এখনই সওয়ার হতে পারবেন না।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ক্যালিফোর্নিয়া শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৩ ১৩:৪২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
সাতসকালে পড়িমরি করে অফিসের পথে গাড়ি ছুটিয়েও কাজের কাজ হয়নি। ফেঁসে গিয়েছেন যানজটে। এমন তো হামেশাই হয়। তবে সে সমস্যার সমাধান করতে পারে উড়ন্ত গাড়ি।
০২১৭
কল্পবিজ্ঞানের গল্প নয়। ২০২৫ সালে বাস্তবিকই উড়ন্ত গাড়িতে সওয়ার হয়ে অফিসে যেতে পারেন। এমনই জানিয়েছে আমেরিকার অ্যালেফ এরোনটিক্স নামে এক সংস্থা।
০৩১৭
বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি হিসাবে অ্যালেফের একটি বৈদ্যুতিন যানকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে আমেরিকার অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)।
০৪১৭
আমেরিকা তো বটেই, বিশ্বে এই প্রথম ছাড়পত্র পেল কোনও উড়ন্ত গাড়ি। ‘মডেল এ’ নামে ওই গাড়িটি রাস্তায় ঘোরাফেরার পাশাপাশি উড়তে পারে আকাশে। যদিও সেটিতে এখনই সওয়ার হতে পারবেন না। তার জন্য অন্ততপক্ষে আরও বছর দুয়েক অপেক্ষা করতে হবে। এ গাড়ির বৈশিষ্ট্য কী কী? গতিবেগই বা কত?
০৫১৭
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ক্যালিফোর্নিয়ার সান মাতেয়ো সংস্থা অ্যালেফের এ গাড়ি ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিন। এতে দু’জন যাত্রী সওয়ার হতে পারেন।
০৬১৭
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’ জানিয়েছে, এক-একটি উড়ন্ত গা়ড়ির খরচ তিন লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দু’কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা।
০৭১৭
উড়ন্ত গাড়ির ছবি প্রকাশ্যে এনেছে অ্যালেফ। এক ঝলকে দেখে মনে হবে কল্পবিজ্ঞানের কোনও সিনেমা থেকে উঠে আসা যান। ঢাকা পড়েছে ঢাকনার আড়ালে চাকা। মসৃণ গাড়ির গায়ে কাচ এঁটে বসে রয়েছে।
০৮১৭
আরপাঁচটা সাধারণ গাড়ির মতোই একে গ্যারাজে রাখা যায়। উড়ন্ত হলেও তা ঘোরাফেরা করতে পারে রাস্তায়। তবে ট্র্যাফিকের ঝামেলা এড়াতে চাইলে একে নিয়ে আকাশে উড়ে যেতে পারেন।
০৯১৭
অ্যালেফের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। সে সংস্থা তৈরির নেপথ্যে রয়েছেন পাভেল মারকিন, কনস্টাইনটাইন কিসলি, ওলেগ পেত্রভ এবং জিম ডুকোভনি মতো নামজাতা প্রযুক্তিবিদ।
১০১৭
ক্যাফেতে বসে আলোচনার সময় একটি ন্যাপকিনের উপর উড়ন্ত গাড়ির প্রাথমিক ছবি এঁকেছিলেন পাভেলরা। মাস ছয়েকের মধ্যেই সেটি বাস্তবে পরিণত হবে বলে ধারণা ছিল তাঁদের। তবে বাস্তবে এটি তৈরি করতে আরও কয়েক বছর পেরিয়ে গিয়েছে।
১১১৭
২০১৯ সালে ‘মডেল এ’র পরীক্ষামূলক গাড়ি তৈরি করে ফেলে অ্যালেফ। ২০১৫ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে এটি বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আশাবাদী সংস্থা।
১২১৭
‘মডেল এ’-র গতি অবশ্য সাধারণ গাড়ির মতো নয়। এটি প্রতি ঘণ্টায় ১৭৭ কিলোমিটার উড়তে পারে। তবে রাস্তায় নামলে ঘণ্টা প্রতি ৩২২ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে এ গাড়ি।
১৩১৭
অ্যালেফের দাবি, গতির পাশাপাশি একে সাশ্রয়ী এবং কার্যকরী হিসাবেও গড়ে তোলাই লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্যে গত অক্টোবরেই বাজার ধরতে নেমেছিলেন তাঁরা। বাজারে ছাড়ার আগেই এটি বিক্রির জন্য বুকিং নিতে শুরু করে দেন।
১৪১৭
‘মডেল এ’ নির্মাতাদের আরও দাবি, গত বছরের শেষ পর্যন্ত ৪৪০টি গাড়ির বুকিং হয়ে গিয়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে কর্পোরেট সংস্থা থেকে শুরু করে বিত্তশালীরাও রয়েছেন বলে জানিয়েছে অ্যালেফ।
১৫১৭
চলতি বছরের গোড়ায় একটি বিবৃতি জারি করে অ্যালেফের সিইও ডুকোভনি জানিয়েছিলেন, ইতিহাসের প্রথম উ়ড়ন্ত গাড়ি তৈরি করতে বদ্ধপরিকর অ্যালেফ। সেই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে সংস্থা।
১৬১৭
‘মডেল এ’ বাজারে আসার আগে থেকেই এর আরও উন্নত সংস্করণ তৈরির লক্ষ্যে এগোচ্ছে অ্যালেফ। একসঙ্গে যাতে চার যাত্রী সওয়ারি হতে পারেন, সে জন্য ‘মডেল জ়েড’ বাজারে আনতে চায় তারা।
১৭১৭
অ্যালেফের মতে, ২০১৫ সালে বাজার আসতে পারে ‘মডেল জ়েড’। উড়ন্ত অবস্থায় সেটির গতি হতে পারে ঘণ্টা প্রতি প্রায় ৪৮৩ কিলোমিটার। রাস্তায় যেটি প্রতি ঘণ্টায় ৩২২ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে।