weather department forecasts Saturday to be the coldest day of this season with a record temperature drop in next few days dgtl
West Bengal Weather Update
বাংলার ঘরে ফিরল ‘নিরুদ্দেশ’ শীত! কত দিন থাকবেন ‘অতিথি’?
চলতি বছর কনকনে ঠাণ্ডার প্রায় মুখই দেখেনি বঙ্গ, এরই মধ্যে কেটে গিয়েছে বড়দিন, এসেছে নতুন বছর। তবে শনিবার সকালেই শেষমেশ শীতের দেখা মিলল শহরবাসীর।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৫৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
মকর সংক্রান্তির আগে জমিয়ে ঠাণ্ডা না পড়লে চলে না। অনেকটা সেই আমেজ ফিরিয়ে আনতেই বাংলার ঘরে ফিরল ‘শীত’। চলতি বছর কনকনে ঠাণ্ডার প্রায় মুখই দেখেনি বঙ্গ, এরই মধ্যে কেটে গিয়েছে বড়দিন, এসেছে নতুন বছর। তবে শনিবার সকালেই শেষমেশ শীতের দেখা মিলল শহরবাসীর।
০২২০
শুধু কলকাতাই নয়, হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা হাওয়ার দেখা মিলেছে দক্ষিণ বঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবারই এই মরসুমের শীতলতম দিন। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই এক ধাক্কায় পারদ নেমেছে বেশ কয়েক ডিগ্রি।
০৩২০
শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা কমে হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৪২০
দমদম এবং সল্টলেকে পারদপতন আরও বেশি। যথাক্রমে ১১ এবং ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৫২০
তীব্র শীতে কাঁপছে পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়াও। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা দুই জেলার মানুষদের। শনিবার পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়ায় ৮ ডিগ্রি। দুই বর্ধমানেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ।
০৬২০
আগামী দু’দিনে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আরও এক থেকে দু’ডিগ্রি কমতে পারে বলেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস।
০৭২০
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাস পড়ে গেলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চেনা শীতের দেখা মেলেনি চলতি মরসুমে। তাপমাত্রার পারদ ঘোরাফেরা করেছে ১৬ থেকে ১৭ ডিগ্রির আশপাশে।
০৮২০
ডিসেম্বরেও শীত তেমন ছিল না। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে কয়েক দিনের জন্য কলকাতার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছেছিল। তবে তার পর আবার পারদ উঠেছে চড় চড় করে।
০৯২০
হাওয়া অফিস অবশ্য জানিয়েছিল, আগামী কয়েক দিনে আবার ঠান্ডা পড়বে। তাপমাত্রা আরও দুই থেকে চার ডিগ্রি নামতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
১০২০
আপাতত পাঁচ দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। মিলবে হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি।
১১২০
আবহবিদরা জানিয়েছেন, কনকনে উত্তুরে হাওয়ার কারণেই রাজ্যে ফিরে এসেছে শীত। বিনা বাধায় উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করতে শুরু করেছে বঙ্গে। সেই কারণেই আবার ঠান্ডা পড়ছে।
১২২০
এত দিন এই উত্তুরে হাওয়ার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যা কেটে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।
১৩২০
তবে হাওয়া অফিস এ-ও জানিয়ে দিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা ভিজতে পারে বৃষ্টিতে। আর বৃষ্টি হলে শীতের পথে আবার বাধা তৈরি হবে বলেই আবহবিদরা জানিয়েছেন।
১৪২০
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিম হিমালয় থেকে ঝঞ্ঝা এবং বঙ্গোপসাগর থেকে আর্দ্রতা ঢুকে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
১৫২০
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ, মঙ্গলবার হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে জেলায়। ১৭ জানুয়ারি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায়।
১৬২০
এ ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি, অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
১৭২০
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায় মঙ্গলবার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং জেলায়।
১৮২০
বৃষ্টিতে শীতকালীন ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলেও সাবধান করেছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতরের পরামর্শ, কৃষকরা যেন ১৬ জানুয়ারির আগেই মাঠের ফসল কেটে ঘরে তুলে ফেলেন।
১৯২০
তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও পৌষ সংক্রান্তিতে ঠান্ডার আমেজ অনুভব করতে পারবে বাঙালি।
২০২০
আপাতত দু’দিন মশগুল থাকবে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনায়। পাশাপাশি রসাস্বাদন করতে পারবে নতুন খেজুর গুড় এবং পিঠেপুলির।