শনিবার ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল লিগে জাভার দুই ক্লাব আরেমা এবং পার্সিবায়া সুরাবায়ার মধ্যে খেলা চলছিল। এই ম্যাচে আরেমা ২-৩ ব্যবধানে হেরে যায়। আরেমা ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েন দু’দলের সমর্থকরা। কার্যত হাঙ্গামায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। হামলা চালানো হয় ফুটবলারদের উপরেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করলে সমস্যা আরও বাড়ে। কানজুরুহান স্টেডিয়ামের ভিড়ে ঠাসা গ্যালারিতে তখনই আতঙ্ক ছড়ায়। স্টেডিয়াম থেকে বেরোনোর জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে এবং শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত সেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৪। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বহু বার খেলার মাঠ পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে।
১৯৮২ সালের ২০ অক্টোবর। এফসি স্পার্টাক মস্কো এবং এইচএফসি হারলেমের মধ্যে উয়েফা কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ চলছিল রাশিয়ার সেন্ট্রাল লেনিন স্টেডিয়ামের। সেই সময় স্টেডিয়ামের ‘গ্র্যান্ড স্পোর্টস এরিনা’য় হঠাৎই ঘটে যায় বিপর্যয়। খেলা দেখতে আসা এফসি স্পার্টাক মস্কোর এক তরুণী সমর্থকের জুতো হারিয়ে যায়। তিনি সেই জুতো খুঁজতে নামলে অন্য সমর্থকেরা তাঁর পিছু পিছু জুতো খুঁজতে নামেন। এর পরই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। জুতো খুঁজতে নেমে পদপিষ্ট হয়ে মোট ৩৪০ জন এফসি স্পার্টাক মস্কোর সমর্থক মারা গিয়েছিলেন।