the weather department informs that temperature of Bengal might rise again soon dgtl
West Bengal Weather
বড়দিনে শীতের আমেজ নিয়ে চিন্তায় আবহবিদেরা, ডিসেম্বর শেষের আগেই পারদ আবার ঊর্ধ্বমুখী
গত সপ্তাহ থেকে জাঁকিয়ে বসা ঠান্ডা সবে একটু উপভোগ করতে না করতেই হাওয়া অফিসের নতুন ঘোষণা। শীত আবার কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা।
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৫১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
বহু অপেক্ষার পর শেষমেশ শীত পড়ল বাংলায়। তাপমাত্রা কমতে কমতে স্বাভাবিকের থেকে বেশ অনেকটা নীচে নেমে যায়। গত সপ্তাহ থেকে জাঁকিয়ে বসা ঠান্ডা সবে একটু উপভোগ করতে না করতেই হাওয়া অফিসের নতুন ঘোষণা। শীত আবার কমে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে তারা।
০২১৪
প্রথমে ঘূর্ণিঝড় তারপরেই গভীর নিম্নচাপ। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ অবধি শীতের পথে কাঁটা হয়ে ছিল নানা কিছু। তবে সম্প্রতি উত্তুরে হাওয়ার সৌজন্যে কনকনে ঠান্ডা পড়েছে রাজ্য জুড়ে।
০৩১৪
এ দিকে, এই সপ্তাহের শেষেই শীতের দাপট কমতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শীতের আশায় বসে থাকা বাঙালির জন্য হঠাৎ এই দুঃসংবাদ কেন?
০৪১৪
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী শুক্রবার-শনিবার থেকে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে তাপমাত্রা। পারদ দু’তিন ডিগ্রি বেশি চড়তে পারে।
০৫১৪
ডিসেম্বরের শেষের মুখে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঠিক কারণ কী, তা জানাননি আবহবিদেরা। তবে মনে করা হচ্ছে, হাওয়ার গতিপথে কোনও পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বাড়বে।
০৬১৪
রবিবারের তুলনায় সোমবার কলকাতার তাপমাত্রা সামান্য বেশি। রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৭১৪
সোমবার তা বেড়ে হয়েছে ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৮১৪
যদিও দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে বেশ ঠান্ডা রয়েছে। পাশপাশি আবহবিদেরা জানিয়েছেন, আগামী দু’দিন তাপমাত্রায় বিশেষ হেরফের হবে না দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
০৯১৪
উত্তরের জেলাগুলিতে কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা থাকবে। ব্যাপক ঠান্ডাও পড়বে। সোমবার দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১০১৪
তবে আগামী কয়েক দিনে রাজ্যের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়াই থাকবে বলে জানিয়েছে হওয়া অফিস।
১১১৪
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে শীতের লেশমাত্র দেখা যায়নি। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। প্রভাব পড়েছিল বঙ্গেও।
১২১৪
তিন দিন ধরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলেছে। যার ফলে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া তৈরি হয়েছিল।
১৩১৪
অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ের মেঘ কেটে ওঠে রোদ। আর তাতেই পারদ নামতে শুরু করেছিল রাজ্যে। তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস যে, তাপমাত্রা আবার বাড়বে।
১৪১৪
ফলে বড়দিনের সময় শীতকাতুরে বাঙালি ভাল রকম ঠান্ডা উপভোগ করতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।